অতিরিক্ত ঘাম কোন রোগের লক্ষণ,দূর করার ঘরোয়া উপায়,কারণ ও প্রতিকার জানুন
গর্ভাবস্থায় তলপেটে ব্যথা হয় কেনপ্রিয় পাঠকগণ আপনি কি অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার কারণ ও প্রতিকার, অতিরিক্ত ঘাম কোন
রোগের লক্ষণ, অতিরিক্ত ঘাম দূর করার ঘরোয়া উপায় ও কোন ভিটামিনের অভাবে গা ঘামে
এই সম্পর্কে জানতে গুগলে সার্চ করেছেন? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আমাদের
মধ্যে অনেকেই অতিরিক্ত গা ঘামে। যার ফলে শরীর থেকে দুর্গন্ধ বের হয় এবং দেখতেও
খারাপ দেখা যায়।
তাই এই বিষয় সম্পর্কে আমরা অনেকেই দুশ্চিন্তা করে থাকি। আজকের আর্টিকেলের
মাধ্যমে আমরা জানবো অতিরিক্ত শরীর ঘামা কি আসলে দুশ্চিন্তার কারণ কিনা। চলুন
তাহলে দেরি না করে অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার কারণ ও প্রতিকার, অতিরিক্ত ঘাম কোন রোগের
লক্ষণ,অতিরিক্ত ঘাম দূর করার ঘরোয়া উপায় ও কোন ভিটামিনের অভাবে গা ঘামে এই
সম্পর্কে জানা যাক।
সূচিপত্র: অতিরিক্ত ঘাম কোন রোগের লক্ষণ,দূর করার ঘরোয়া উপায়,কারণ
ও প্রতিকার জানুন
অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার কারণ ও প্রতিকার
গ্রীষ্মকালে অতিরিক্ত গরম কিংবা রোদের মধ্যে কাজ করার কারণে আমাদের শরীর ঘামে।
সাধারণত শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি হয়ে যায় বলে শরীর ঘেমে যায়। আমাদের শরীরে দুই
ধরনের ঘাম গ্রন্থি রয়েছে সেগুলো হল অ্যাক্রিন ও অ্যাপোক্রিন। এই দুইটি গ্রন্থি
দিয়ে সাধারণত আমাদের শরীর থেকে ঘাম বের হয়। শরীর ঘামা কিছু ক্ষেত্রে
স্বাস্থ্যকর তবে অতিরিক্ত শরীর ঘামলে এটি বিশেষ কিছু রোগের কারণ হতে পারে। চলুন
তাহলে অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার কারণগুলো জানা যাক।
আরো পড়ুন: খালি পেটে শসা খাওয়ার উপকারিতা
- গ্রীষ্মকালের অতিরিক্ত তাপমাত্রা ও গরম থাকার কারণে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়।
- যার কারনে স্বাভাবিকভাবেই আমাদের শরীর ঘামে।
- অতিরিক্তও পরিশ্রম করার কারণেও আমাদের শরীর ঘামতে পারে।
- হঠাৎ করে উত্তেজিত হয়ে যাওয়া, ভয় পাওয়া, রাগ করা কিংবা দুশ্চিন্তা করার কারণে ও আমাদের শরীর ঘামতে পারে।
- আমাদের মধ্যে অনেকের শীতকালেও হাত ও পা ঘামার সমস্যা দেখা যায়। এরকম সমস্যা হলে বুঝতে হবে থাইরয়েড গ্রন্থ থেকে কিংবা হরমোন জনিত সমস্যায় আক্রান্ত।
- রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণেও অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে।
- দীর্ঘদিন যাবত নিউরোলজিক্যাল ওষুধ সেবন করার কারণে ও অতিরিক্ত মাত্রায় ঘাম হতে পারে ।
- তাছাড়া ঘুমের ওষুধ যদি অনেক সময় ধরে সেবন করা হয় তাহলেও শরীর ঘামতে পারে।
উপরোক্ত বিষয়গুলো পড়ার মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি অতিরিক্ত ঘামের কারণ গুলো কি
কি। অতিরিক্ত ঘামের কারণে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণ এর পানি বের হয়ে যায় যার ফলে
একসময় শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দিতে পারে। তাই যাদের শরীর অতিরিক্ত ঘাম হয় তারা
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করার অভ্যাস করতে হবে। এবং হরমোন জনিত বা থাইরয়েড
সমস্যার কারণে যদি ঘাম হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
আরো পড়ুন: সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন বাড়ে
প্রতিকার:
গ্রীষ্মকালে কিংবা শীতকালেও যদি আপনার শরীর অতিরিক্ত মাত্রায় ঘামে তাহলে অবশ্যই
আপনাকে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। অতিরিক্ত মাত্রায় শরীর খামার কারণে শরীরে
এক সময় পানি শূন্যতা দেখা দিতে পারে যা আমাদের জন্য একদমই ভালো নয়। তাই এখন
আপনাদের সাথে আলোচনা করব অতিরিক্ত ঘাম থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আপনার কি করনীয়।
আরো পড়ুন:পাথরকুচি পাতার ক্ষতিকর দিক
- অতিরিক্ত ঘাম থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রথমত আপনাকে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
- বেশি বেশি করে ফলের শরবত, স্যালাইন ও গ্লুকোজ পান করতে হবে।
- গরমে কাজ করার ফলে যদি শরীর ঘামে তাহলে সরাসরি ঠান্ডা পানি পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
- বাহিরে বের হওয়ার সময় সাথে করে ঠান্ডা পানিতে স্যালাইন বা গ্লুকোজ রাখতে হবে।
- আমরা যারা মাত্রা অতিরিক্ত চা বা কফি পান করে থাকি তাদের শরীরেও ঘাম হতে পারে। ভাই অতিরিক্ত মাত্রায় চা বা কফি পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
- তৈলাক্ত খাবার থেকে এড়িয়ে চলতে হবে। তৈলাক্ত খাবার বেশি খাওয়ার কারণে ও শরীরে ঘাম হতে পারে।
- শরীরে ঘাম নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার বিশেষভাবে কাজ করে থাকে। তাই যাদের শরীর অতিরিক্ত ঘামে তারা অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার পান করতে পারেন।
- টমেটোর রস নিয়মিত খাওয়ার ফলেও শরীর অতিরিক্ত ঘাম থেকে রক্ষা করা যায়।
- ওজন বেশি হওয়ার কারণেও শরীরে অতিরিক্ত ঘাম হয়। তাই আমাদের সবাইকে ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে।
- বেকিং সোডা শরীরে ঘামের পরিমাণ কমাতে পারে। তাই এক গ্লাস পানি সঙ্গে এক চামচ বেকিং সোডা মেশিয়ে শরীরে বিভিন্ন স্থানে স্প্রে করে দিন।
- ধূমপান,অ্যালকোহল বা ক্যাফে জাতীয় খাবারের কারণে শরীরে অতিরিক্ত ঘাম হয়। তাই এ সকল খাবার থেকে বিরত থাকাই উত্তম।
- অতিরিক্ত মসলা জাতীয় খাবার খাওয়ার কারণে ও শরীরের ঘাম হয়।তাই অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার ত্যাগ করার চেষ্টা করতে হবে।
- সব সময় সুতি বা সিল্কের তৈরি পোশাক পড়ার চেষ্টা করুন। এ সকল কাপড় শরীরের ঘাম চুষে নেয় ফলে শরীর অতিরিক্ত ঘামা থেকে বাধা প্রদান করে।
উপরোক্ত বিষয়গুলো পড়ার মাধ্যমে আপনারা জানতে পেরেছেন অতিরিক্ত ঘাম নিয়ন্ত্রণে
করনীয় কাজগুলো। আশা করি উপরোক্ত সকল বিষয়গুলো অনুসরণ করলে আপনারা সহজে অতিরিক্ত
ঘাম হওয়া থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
অতিরিক্ত ঘাম কোন রোগের লক্ষণ
আমরা কি কখনো ভেবে দেখেছি অতিরিক্ত ঘামের কারণে ও আমাদের বিশেষ কিছু রোগ হতে
পারে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে যাদের শরীরে অতিরিক্ত ঘাম হয় তারা নানান
ধরনের রোগে আক্রান্ত। চলুন তাহলে জানা যাক অতিরিক্ত ঘাম কোন রোগের লক্ষণ।
আরো পড়ুন:অতিরিক্ত কৃমি হলে করনীয় কী
- ডায়াবেটিস: সাধারণত ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের শরীরে প্রচুর ঘাম হয়ে থাকে। কারণ ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে ব্লাড সুগার কমে গেলে তাদের শরীর অস্বাভাবিক ভাবে অস্বস্তি তৈরি হয়। এই অস্বস্তির কারণে তাদের শরীরে প্রচুর ঘাম সৃষ্টি হয়।
- হৃদরোগ: হৃদরোগের কারণেও আপনার শরীরে অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে। বুক ধরফর করা, বুকে ব্যথা হওয়া, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া কিংবা বুকে চাপ অনুভব করার ফলে শরীরে অতিরিক্ত মাত্রায় ঘাম হতে পারে। তাছাড়া আপনার হার্ট স্বাভাবিক মাত্রায় গতিক কমে গেলে আপনার শরীরেও অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে।
- স্ট্রেস বা ভয়ের কারণে: আপনি যদি অতিরিক্ত মাত্রায় স্ট্রেস বা ভয় পেয়ে থাকেন তাহলে আপনার শরীরে এক ধরনের হরমোন ক্ষরণ বেড়ে যায়। এই হরমোনের ক্ষরণ হওয়ার ফলে আপনার শরীরে ঘামের সৃষ্টি হয়।
- ব্রেন স্টোক: আপনার যদি হঠাৎ মাথায় যন্ত্রণা কিংবা শরীরে প্যারালাইসিসের মতো অনুভূতি হয় তখন আপনার শরীর অতিরিক্ত মাত্রায় ঘেমে যেতে পারে। এরকম অনুভূতি হলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
- নিউরোলজিক্যাল: নিউরোলজিক্যাল হলো সাধারণত মাথায় টিউমার কিংবা খিচুনির মতো সমস্যা। এরকম সমস্যার কারণে শরীরে প্রচুর পরিমাণ এর ঘাম দেখা দেয়। এমন উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
তাছাড়া আরও অনেক রোগ রয়েছে যে সকল রোগের কারণে শরীরে প্রচুর পরিমাণে ঘামের
সৃষ্টি হতে পারে। অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি টিউমার, মেনোপজ নারী, রক্তে ইনফেকশন,
ম্যালেরিয়া, হাইপারহাইড্রোসিস ইত্যাদি রোগের কারণে শরীরে অতিরিক্ত ঘামে সমস্যা
দেখা যায়। তাই অতিরিক্ত ঘাম হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। আশা করি
উপরের সকল বিষয় পড়ার মাধ্যমে আপনারা জানতে পেরেছেন অতিরিক্ত ঘাম কোন রোগের
লক্ষণ।
অতিরিক্ত ঘাম দূর করার ঘরোয়া উপায়
অতিরিক্ত ঘাম থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আপনি ঘরোয়া কিছু উপায় অবলম্বন করতে
পারেন। ঘরোয়া উপায় গুলো মেনে আপনি সহজে শরীরের ঘাম থেকে রক্ষা পেতে পারেন। যে
সকল উপাদান গুলো আপনার ঘরে সহজেই পেয়ে যাবেন সেগুলো ব্যবহার করে এত সহজে
অতিরিক্ত ঘাম থেকে রক্ষা পাওয়া যায় সেই সম্পর্কে হয়তো আপনারা কখনো চিন্তাও
করেননি। চলুন তাহলে জানা যাক অতিরিক্ত ঘাম দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে।
আরো পড়ুন: কোমর ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়
- স্যালাইন খাওয়ার মাধ্যমে: অতিরিক্ত ঘাম হলে আপনি যদি নিয়মিত একটি করে স্যালাইন খান তাহলে আপনার শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ হওয়ার পাশাপাশি কিছুদিনের মধ্যে অতিরিক্ত ঘামা থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
- গ্লুকোজ খাওয়ার মাধ্যমে: গ্লুকোজ সাধারণত আমরা শরীরে পানি ঘাটতি পূরণ করার জন্যই খেয়ে থাকি। তাই আপনি নিয়মিত গ্লুকোজ খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে অতিরিক্ত ঘাম থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
- অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার মাধ্যমে: আমাদের সকলেরই বেস পরিচিত একটি উপাদান হল এপেল সিডার ভিনেগার। যা আমরা সহজেই বাসায় তৈরি করতে পারি এবং বাজার থেকে কিনেও নিতে পারি। এটি আপনার শরীরের পিএইচ মাত্রার স্বাভাবিক রাখবে ফলে শরীর অতিরিক্ত ঘামবে না।
- ভিনেগার ব্যবহার করে: ভিনেগার আমাদের সকলের বাসায় রয়েছে। তাই আপনি যদি এই উপাদানটি নিয়মিত ব্যবহার করেন তাহলে সহজেই অতিরিক্ত ঘাম থেকে রক্ষা পেতে পারেন। এক চামচ ভিনেগার অল্প পানিতে ভালো করে মিশিয়ে এতে পছন্দনীয় সুগন্ধি ব্যবহার করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় স্প্রে করুন। এটি আপনার শরীরে ঘাম নিয়ন্ত্রণ করতে বেশ উপকার করবে।
উপরোক্ত বিষয়গুলো অনুসরণ করে আপনি সহজে অতিরিক্ত ঘাম থেকে রক্ষা পেতে পারেন। ঘাম
আমাদের সকলেরই হয়ে থাকে তবে এটি যদি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয় তাহলে অবশ্যই
চিন্তার বিষয়। তাই ঘরে বসে স্বাভাবিকভাবে না নিয়ে আপনার শরীরে যদি অতিরিক্ত ঘাম
হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। আশা করি অতিরিক্ত ঘাম দূর করার
ঘরোয়া উপায় আপনারা জানতে পেরেছেন।
কোন ভিটামিনের অভাবে গা ঘামে
আমরা কি কখনো ভেবে দেখেছি যে ভিটামিনের অভাবেও আমাদের শরীরে অতিরিক্ত ঘামতে পারে?
আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাবে অতিরিক্ত ঘাম হয়। তাই আমাদের সকলকে এই ভিটামিন
ডি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। বিশেষ করে যাদের শরীরে অতিরিক্ত মাত্রায় ঘাম হয় তারা
নিয়মিত ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। কোন ভিটামিনের অভাবে গা ঘামে এই
প্রশ্নের উত্তরে বলব ভিটামিন ডি এর অভাবে গা ঘামে।
পরিশেষে কথা
ঘাম যদিও একটি স্বাভাবিক বিষয় কিন্তু অস্বাভাবিক ঘাম দেখলে আমাদেরকে অবশ্যই
চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার কারণে আমরা অনেক সময় মানুষের
সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলতেও অস্বস্তি বোধ করি। তাই এই অতিরিক্ত ঘাম থেকে রক্ষা
পাওয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
আরো পড়ুন:তোকমা খাওয়ার নিয়ম
আশা করি আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা জানতে পেরেছেন অতিরিক্ত ঘাম কোন রোগের
লক্ষণ, অতিরিক্ত ঘাম দূর করার ঘরোয়া উপায়, অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার কারণ ও প্রতিকার
এবং কোন ভিটামিনের অভাবে গা ঘামে এই সম্পর্কে। আশাকরি আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের
কাছে ভালো লাগবে।আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং
কমেন্টের মাধ্যমে মতামত প্রকাশ করুন। এমন আরো তথ্য পেতে
www.twestinfo.com পেজে চোখ রাখুন।
টুইস্ট ইনফোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।প্রতিটি কমেন্টের উত্তর দেয়া হয়।
comment url