জন্ডিস হলে কি ডিম,স্যালাইন,লেবু খাওয়া যাবে ও জন্ডিস হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবে না জানতে পড়ুন

ভিটামিন এ এর অভাবজনিত রোগপ্রিয় পাঠকগণ আপনি কি জন্ডিস হলে কি ডিম খাওয়া যাবে,জন্ডিস হলে কি স্যালাইন খাওয়া যাবে,জন্ডিস হলে লেবু খাওয়া যাবে,জন্ডিস হলে কি মাছ খাওয়া যাবে,জন্ডিস হলে কি কলা খাওয়া যাবে,জন্ডিস হলে কি মাংস খাওয়া যাবে,জন্ডিস হলে কি খাবার খাওয়া উচিত ও জন্ডিস হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবে না সম্পর্কে জানতে গুগলে সার্চ করেছেন?
জন্ডিস হলে কি ডিম খাওয়া যাবে
তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আমরা সকলেই জন্ডিস রোগের সাথে অবগত রয়েছি। জন্ডিস রোগে আক্রান্ত হলে যেমন খাওয়ার ওপর বিশেষ খেয়াল রাখতে হয় তেমনি কোন খাবারগুলো খাওয়া যাবে না এগুলো জানতে হয়। তাই আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে জন্ডিস হলে কি ডিম খাওয়া যাবে এই সম্পর্কে জানাবো। উপরোক্ত সকল বিষয়ে জানার জন্য অবশ্যই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
সূচিপত্র: জন্ডিস হলে কি ডিম,স্যালাইন,লেবু খাওয়া যাবে ও জন্ডিস হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবে না

জন্ডিস হলে কি ডিম খাওয়া যাবে

মোটামুটি আমাদের মধ্যে অনেকেই জন্ডিস রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে‌। জন্ডিস রোগে আক্রান্ত হলে শরীরে বিভিন্ন পরিবর্তন দেখা দেয়। এই পরিবর্তনগুলো লক্ষ্য করার মাধ্যমে আমরা জানতে পারি জন্ডিস হয়েছে। জন্ডিস রোগে আক্রান্ত হলে আমাদেরকে অনেক ধরনের খাবার থেকে বিরত থাকতে হয়। তেমনি অনেকেই জানে না জন্ডিস হলে কি ডিম খাওয়া যাবে কিনা।
তাই আজকে এখন আপনাদের সাথে আলোচনা করব জন্ডিস হলে কি ডিম খাওয়া যাবে এই সম্পর্কে। চলুন তাহলে জানা যাক।জন্ডিস হলে সাধারণত আমাদের শরীরের রং হলুদ বর্ণের হয়ে থাকে। তার পাশাপাশি জ্বর হয়। জন্ডিস হওয়ার কারণে আমাদের চোখ ও প্রস্রাবের রং হলুদ কালার হয়ে যায়। তাছাড়া মুখ এবং ত্বকের কালারও হলুদ রঙের দেখা যায়।
এই হলুদ রঙের হয়ে যাওয়ার পেছনে একটি উপাদান কাজ করে। তা হল বেলু্রুবিন। বেলুরুবিন রক্তে জমাট বাঁধার কারণে সাধারণত এই সমস্যাটি হয়ে থাকে। আর তাছাড়া আমরা জানি ডিম একটি পুষ্টিকর খাবার ‌। ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে। এছাড়াও ডিমের রয়েছে এক ধরনের উপাদান যা রক্তে বেলুরুবিন এর মাত্রা বৃদ্ধি করে ফেলে।
তাই জন্ডিস রোগে আক্রান্ত হলে ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। কারণ ডিমের কুসুমে বেলুরুবিনের মাত্রা প্রচুর পরিমাণে থাকায় এটি জন্ডিস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি খাওয়ার ফলে তার রক্তে বেলুরুবিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। তবে ডিম খাওয়ার ক্ষেত্রে আপনি যদি ডিমের কুসুম ব্যতীত শুধু মাত্র সাদা অংশ খান তাহলে এরকম আশঙ্কা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
তাই আপনি চাইলে ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন। আশা করি জন্ডিস হলে কি ডিম খাওয়া যাবে এই সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন। অবশ্যই জন্ডিস রোগীদের ডিমের কুসুম খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে এবং সঠিক নিয়মে জন্ডিস রোগের ওষুধ সেবন করতে হবে।

জন্ডিস হলে কি স্যালাইন খাওয়া যাবে

এ পর্যায়ে আপনাদের সাথে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা করব তা হলো জন্ডিস হলে কি স্যালাইন খাওয়া যাবে কিনা। আমরা ইতোমধ্যে জানতে পেরেছি জন্ডিস রোগে আক্রান্ত হলে অনেক ধরনের খাবার থেকে বিরত থাকতে হয় এবং সচেতনতার মাধ্যমে খাবার গ্রহণ করতে হয়। তেমনই একটি খাবার হল স্যালাইন। স্যালাইন সাধারণত আমরা ডায়রিয়া কিংবা টাইফয়েড রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য খেয়ে থাকি।
কিন্তু জন্ডিসের থেকে বাঁচতে স্যালাইন কতটুকু উপকারী এ সম্পর্কে আমাদের মধ্যে অনেকেরই ধারণা নেই। তাই জন্ডিস হলে কি স্যালাইন খাওয়া যাবে এই প্রশ্নের উত্তর আমরা অনেকেই জানিনা। জন্ডিস সাধারণত হেপাটাইটিস এ, হেপাটাইটিস ই এবং পানি ধারা বাহিত ভাইরাস দিয়ে আক্রান্ত রোগ। জন্ডিস হলে রোগীর চোখ ও শরীর হলুদ রঙের হয়ে যায় পাশাপাশি প্রস্রাব হলুদ হয়ে যায়। খেতে অনিহার সৃষ্টি হয় এবং বমি বমি ভাব হয়।
জন্ডিস হেপাটাইটিস রোগ বলে স্যালাইন খাওয়ার কারণে এর মাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। স্যালাইন আমাদের শরীরের লবণ পানির ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে থাকে। তাই স্যালাইন খাওয়ার কারণে শরীরে লবণের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে ফলে জন্ডিসের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। তাই জন্ডিসের আক্রান্ত রোগীকে অবশ্যই স্যালাইন খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। আশা করি জন্ডিস হলে কি স্যালাইন খাওয়া যাবে এ সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন।

জন্ডিস হলে লেবু খাওয়া যাবে

জন্ডিস নিয়ে আমাদের মধ্যে অনেক ধরনের মতামত রয়েছে। জন্ডিস থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তেমন কোন ঔষধ না থাকলেও আপনি যদি সঠিক নিয়মে এবং সঠিক খাবার খেতে পারেন তাহলে সহজে জন্ডিস থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। তাই জন্ডিস হলে লেবু বিশেষভাবে উপকার করে থাকে। লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা জন্ডিস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
তাই আপনি যদি প্রশ্ন করে থাকেন জন্ডিস হলে লেবু খাওয়া যাবে কিনা তাহলে এই প্রশ্নের উত্তরে বলব জন্ডিস হলে লেবু অথবা বাতাবি লেবু খেলে জন্ডিস থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। তাছাড়া বাঙালি ঘরের পুরনো রীতিতেও বলা আছে জন্ডিসের সময় বাতাবি লেবু খেলে তাড়াতাড়ি জন্ডিস থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। আশা করি জন্ডিস হলে লেবু খাওয়া যাবে কিনা এ বিষয়ে আপনারা জানতে পেরেছেন।

জন্ডিস হলে কি মাছ খাওয়া যাবে

এ পর্যায়ে আলোচনা করব জন্ডিস হলে কি মাছ খাওয়া যাবে এই সম্পর্কে। আমাদের মধ্যে অনেক ধরনের মতামত রয়েছে এর মধ্যে একটি ভুল মতামত হলো জন্ডিস হলে মাছ-মাংস খাওয়া যায় না। যদিও এটি একটি ভুল মতামত কিন্তু জন্ডিসের আক্রান্ত ব্যক্তি মাছ-মাংস খেলে তার শরীরে কোন প্রকার প্রতিক্রিয়া দেখা দিবে না। জন্ডিসের আক্রান্ত রোগীর শরীর দুর্বল হয়ে যায়। এই দূর্বলতা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য জন্ডিসের আক্রান্ত রোগীকে পর্যাপ্ত পরিমাণের আমিষ জাতীয় খাবার খেতে হবে।
তাই এই আমি জাতীয় খাবার গুলোর মধ্যে মাছ অন্যতম। যেহেতু জন্ডিসের আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর দুর্বলতা দেখা দিতে পারে তাই এই দুর্বলতা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য জন্ডিসের আক্রান্ত ব্যক্তিকে মাছ-মাংস উভয় খেতে হবে। তাই বলা যায় যে জন্ডিস হলে মাছ খাওয়া যাবে। আশা করি জন্ডিস হলে কি মাছ খাওয়া যাবে এ সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন।

জন্ডিস হলে কি কলা খাওয়া যাবে

এরপর আরেকটি বিষয় হলো জন্ডিস হলে কি কলা খাওয়া যাবে কিনা। এই প্রশ্নের উত্তরে বলা যাবে জন্ডিস হলে কলা খাওয়া যাবে তবে বিশেষ কথা মনে রাখতে হবে তা হল: পাকা কলা খেতে হবে এবং অতিরিক্ত কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। জন্ডিস রোগীদের জন্য কলা একটি উপকারী ফল কারণ কলাতে প্রচুর পরিমাণ এর ভিটামিন, ফাইবার এবং পটাশিয়াম রয়েছে। ফাইবার জন্ডিস রোগীদের পেটের সমস্যা থেকে রক্ষা করে পাশাপাশি পটাশিয়াম শরীর থেকে অতিরিক্ত লবণ বের করে দেয়।
শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। পেটের ফোলা ভাব কমায় এবং পেটে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া কলাতে থাকা ভিটামিন লিভারের বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয় এবং হজম শক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। চা একজন জন্ডিস রোগীর জন্য অত্যন্ত উপকারী। আশাকরি জন্ডিস হলে কি কলা খাওয়া যাবে এ সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন।

জন্ডিস হলে কি মাংস খাওয়া যাবে

আমরা জানি মাংসে প্রচুর পরিমাণে আমিষ উপাদান এবং খনিজ উপাদান রয়েছে। এই আমিষ এবং খনিজ উপাদান জন্ডিসের আক্রান্ত রোগীর শরীরে বিশেষভাবে উপকার করে থাকে। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই মনে করে জন্ডিস হলে মাংস খাওয়া যাবেনা। এটি একটি ভুল ধারণা ।জন্ডিস হলে ওই ব্যক্তিকে পর্যাপ্ত পরিমাণের আমিষ এবং খনিজ উপাদানের খাবার খাওয়াতে হবে ।কারণ তার শরীরে দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। এই দূর্বলতা থেকে রক্ষা করার জন্য মাংস হতে পারে উপকারী একটি খাবার। আশা করি জন্ডিস হলে কি মাংস খাওয়া যাবে এ সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন।

জন্ডিস হলে কি খাবার খাওয়া উচিত

আমরা অনেকেই জন্ডিস হলে কি খাবার খেতে হবে এই সম্পর্কে জানি না। জন্ডিস একটি হেপাটাইটিস রোগ। তবে এই রোগ থেকে সারিয়ে তোলার জন্য তেমন কোন ঔষধ নেই। তাই আপনি যদি জন্ডিস থেকে রক্ষা পেতে চান তাহলে সঠিক খাবার নিয়মিত খেতে হবে। কিছু খাবার গ্রহণ করার মাধ্যমে আপনি সহজে জন্ডিস রোগ থেকে রক্ষা পেতে পারেন। চলুন তাহলে জানা যাক জন্ডিস হলে কি খাবার খাওয়া উচিত।

  • জন্ডিস হলে আয়রন এবং ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার গুলো খুব উপকারী। তাই যে সকল খাবারে আয়রন এবং ক্যালসিয়াম রয়েছে সে সকল খাবার খেতে হবে।
  • জন্ডিসে আক্রান্ত হলে পেঁপে বিশেষভাবে উপকার করে থাকে। পেঁপে খাওয়ার ফলে শরীরে এনজাইম এলবুমিন এর মাত্রা সঠিক থাকে।
  • জন্ডিস থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পেঁয়াজ বিশেষ ভাবে উপকার করে থাকে। তাই আপনি প্রতিদিন সকালে এবং বিকেলে পেঁয়াজ কেটে গোলমরিচ অথবা বিট লবণের মাধ্যমে খেতে পারেন।
  • আখের রস পান করলেও জন্ডিস থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। আখের রস রক্তে অতিরিক্ত বিলিরুবিনের পরিমাণ ঠিক করে।
  • জন্ডিস থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য দই বিশেষ ভাবে উপকার করে থাকে। দইয়ে থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়া জন্ডিসকে বাড়তে বাধা দেয়।
  • গাজর খাওয়ার মাধ্যমেও জন্ডিস রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। তাই আপনি কিছুদিন গাজরের রস পান করতে পারেন।
  • জন্ডিস থেকে রক্ষা করতে লেবু বিশেষভাবে উপকার করে থাকে। তাই আপনি যদি জন্ডিস রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে প্রতিদিন 15 থেকে 20 মিলি লিটার লেবুর রস পান করুন।
  • ছোলার ডাল জন্ডিস কমাতে সাহায্য করে। তাই জন্ডিসের আক্রান্ত হলে ছোলার ডাল রাতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে পানি খেয়ে ফেলুন।
  • জন্ডিস থেকে রক্ষা করতে টমেটো বিশেষভাবে উপকার করে থাকে। তাই প্রতিদিন টমেটোর রস খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন এতে করে কিছুদিনের মধ্যে জন্ডিস থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
উপরোক্ত বিষয়গুলো পড়ার মাধ্যমে আপনারা জানতে পেরেছেন জন্ডিস হলে কি খাবার খাওয়া উচিত এ সম্পর্কে। জন্ডিস রোগের সঠিক কোন ঔষধ নেই বলে আপনাকে পরিমাণ মতো এবং সঠিক খাবার খেতে হবে। সঠিক খাবার খাওয়ার মাধ্যমে এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়ার মাধ্যমে আপনি সহজেই জন্ডিস রোগ থেকে রক্ষা পেতে পারেন। আশা করি জন্ডিস হলে কি খাবার খাওয়া উচিত এ সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন।

জন্ডিস হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবে না

জন্ডিস হলে কি খাওয়া যাবে এর পাশাপাশি আমাদেরকে জানতে হবে জন্ডিস হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবে না। কারণ ভুল খাবার খাওয়ার ফলে আপনার জন্ডিস কমার চেয়ে আরো বেড়ে যেতে পারে। শরীরে জন্ডিসের মাত্রা অতিরিক্ত হয়ে গেলে কিডনি বা লিভার খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই জন্ডিস রোগে আক্রান্ত হলে সাবধানতার সাথে জীবন যাপন করতে হয়।
তাই এখন আপনাদেরকে জানাবো জন্ডিস হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবেনা। জন্ডিস হলে সাধারণত মিষ্টি জাতীয় খাবারগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে। কাঁচা চিনি খাওয়া অথবা মিষ্টি খাবার খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে। এছাড়াও কাঁচা লবন খেলেও জন্ডিসের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। জন্ডিসের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আরেকটি খাবার হল তেল অথবা মসলাযুক্ত তরকারি।তাই যারা জন্ডিস রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তাদেরকে তেল এবং অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
এরপর যে সকল খাবারগুলো থেকে বিরক্ত থাকতে হবে তা হলো রেড মিট। রেডমিট গুলো হল গরু, মহিষ অথবা ছাগলের মাংস। অ্যালকোহল বা বিভিন্ন ধরনের ফ্যাট যুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এ সকল খাবারগুলো থেকে আপনি যদি বিরত থাকেন এবং সঠিক খাবার খান তাহলে কিছুদিনের মধ্যে জন্ডিস রোগ থেকে রক্ষা পেতে পারেন। আশা করি জন্ডিস হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবেনা এই সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

মন্তব্য

জন্ডিস নিয়ে আমাদের মধ্যে অনেক ধরনের এরই মতবাদ রয়েছে। অনেকেই মনে করে জন্ডিস রোগে আক্রান্ত হলে ঝাড় ফুক অথবা কবিরাজের মাধ্যমে ঠিক করা যায়। এগুলো করে যদিও কোন লাভ হবে না। কারণ জন্ডিস রোগে আক্রান্ত হলে আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণের বিশ্রাম এবং পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। যদিও জন্ডিস রোগের কোন ঔষধ নেই তবে আপনি যদি পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং পুষ্টিকর খাবার খেয়ে থাকেন তাহলে জন্ডিস নিজে নিজে ভালো হয়ে যায়।
তাই আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা জানতে পেরেছেন জন্ডিস হলে কি ডিম খাওয়া যাবে, জন্ডিস হলে কি স্যালাইন খাওয়া যাবে, জন্ডিস হলে লেবু খাওয়া যাবে, জন্ডিস হলে কি মাছ খাওয়া যাবে ,জন্ডিস হলে কি কলা খাওয়া যাবে, জন্ডিস হলে কি মাংস খাওয়া যাবে, জন্ডিস হলে কি খাবার খাওয়া উচিত ও জন্ডিস হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবে না এই বিষয়ে।
আশা করি আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে এবং আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং কমেন্টের মাধ্যমে মতামত প্রকাশ করুন। এমন আরো তথ্য সম্পর্কে জানতে www.twestinfo.com পেজে চোখ রাখুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

টুইস্ট ইনফোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।প্রতিটি কমেন্টের উত্তর দেয়া হয়।

comment url