এশার নামাজ কয় রাকাত ও নামাজের নিষিদ্ধ সময় সম্পর্কে জানুন
জায়নামাজের দোয়া কখন পড়তে হয় জানুন
আসসালামু আলাইকুম আপনি কি এশার নামাজ কয় রাকাত ও নামাজের নিষিদ্ধ সময় সম্পর্কে
জানতে চাচ্ছেন?তাহলে আমি বলব আপনি সঠিক ওয়েবসাইটে এসেছেন ।মহান আল্লাহতালা
আমাদের উপরে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন এবং কিছু নামাজের নিষিদ্ধ সময়
রয়েছে। আজকের এই আর্টিকেলে এশার নামাজ কয় রাকাত ও নামাজের নিষিদ্ধ সময়
সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।
নামাজ হলো ইসলামের মূল ভিত্তি। মুমিন ব্যক্তি ও কাফেরদের মধ্যে বড় পার্থক্য হলো
নামাজ।পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে শেষে আমরা যে ওয়াক্তের নামাজ পড়ি সেটা হচ্ছে
এশার নামাজ।প্রতিটি ওয়াক্তের নামাজে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম।আপনি যদি না জানেন
কোন ওয়াক্তের নামাজে কত রাকাত এবং নামাজের নিষিদ্ধ সময় গুলো না জানেন তাহলে
আপনার নামাজ কবুল হবে না।তাই এশার নামাজ কয় রাকাত ও নামাজের নিষিদ্ধ সময়
সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পেজ সূচিপত্রঃ এশার নামাজ কয় রাকাত ও নামাজের নিষিদ্ধ সময় জানুন
এশার নামাজ কয় রাকাত
কোন ব্যক্তি নামাজ ছাড়া বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবে না। সুতরাং নামাজ পড়ার আগে
আমাদের নিয়ম, নিয়ত ও কত রাকাত নামাজ রয়েছে তা সঠিকভাবে জেনে তারপরে নামাজ
আদায় করা জরুরী।বর্তমানে অনেকে এশার নামাজ কয় রাকাত এই সম্পর্কে কোন ধারণ নেই।
তাই আজকে আপনাদেরকে এশার নামাজ কয় রাকাত সেটি সঠিকভাবে জানানোর চেষ্টা করবো।
আরো জানুনঃ তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম,নিয়ত,সময়
এশার নামাজ মোট ১৫ রাকাত
- প্রথমে ৪ রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করতে হয়।
- পরে ৪ রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করতে হয়।
- ৪ রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করার পরে আবার ২ রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করতে হয়।
- তারপরে ২ রাকাত নফল নামাজ আদায় করতে হয়।
- এবং এশার নামাজের সর্বশেষে ৩ রাকাত বিতর নামাজ আদায় করতে হয়।
আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য নামাজ সঠিকভাবে আদায় করা অতি জরুরী। আশাকরি এশার
নামাজ কয় রাকাত সে সম্পর্কে আপনারা সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন।এবার চলুন নামাজের
নিষিদ্ধ সময় সম্পর্কে আমরা ধারণা নেই
নামাজের নিষিদ্ধ সময়
আমরা সকলেই চাই আল্লাহর নিকট বেশি বেশি ইবাদত করতে এবং আমাদের নামাজ গুলো
সঠিকভাবে আদায় করার জন্য।আপনি চাইলে সারাদিন সারারাত আল্লাহর ইবাদত করতে পারেন
আল্লাহর জন্য জিকির আজগার করতে পারেন।তবে আমাদের মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই
সাল্লাম তিনটি সময় নামাজ পড়া নিষিদ্ধ করেছেন।
আরো জানুনঃ দুশ্চিন্তা ও ঋণ থেকে মুক্তির দোয়া
- ১.আসরের নামাজের পরে সূর্য না ডুবা পর্যন্ত কোন প্রকার নামাজ নেই।
- ২.ফজরের ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পর সূর্য না ওঠা পর্যন্ত আর কোন নামাজ নেই।
- ৩.সূর্য ঠিক মাথার উপরে আসার পর থেকে শুরু করে সূর্য একটু ঢোলে না পরা পর্যন্ত কোন প্রকার নামাজ নেই।
আশাকরি নামাজের নিষিদ্ধ সময় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন আপনাদের সুবিধার্থে আর একটু
সংক্ষিপ্তভাবে বুঝিয়ে দেই।সূর্যোদয় শুরু হওয়ার সময় থেকে শুরু করে পুরোপুরি
সূর্যোদয় সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত নামাজ পড়া যাবে না, সূর্য যখন সরাসরি আপনার
মাথার উপরে থাকবে তখন নামাজ পড়া যাবে না এবং সূর্যাস্ত শুরু হওয়ার সময় থেকে
শুরু করে সূর্যটি পুরোপুরি ভাবে না ডুবা পর্যন্ত কোন প্রকার নামাজ নেই।
লেখকের মন্তব্য
আল্লাহ তাআলা আমাদের উপরে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করে দিয়েছেন। তবে পাঁচ ওয়াক্ত
নামাজের পাশাপাশি আরো অনেক নফল ইবাদত করা যায়। আমরা সবাই চেষ্টা করব ফরজ নামাজের
পাশাপাশি নফল ইবাদত বেশি বেশি করার জন্য।
এখন সকলেই এশার নামাজ কয় রাকাত ও নামাজের নিষিদ্ধ সময় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে
পেরেছেন। আর্টিকেলটি পরে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের
সাথে শেয়ার করবেন। যাতে তারাও এশার নামাজ কয় রাকাত নামাজের নিষিদ্ধ সময় গুলো
জানতে পারে । আরো ইসলামিক পোস্ট পেতে চোখ রাখুন
টুইস্ট ইনফো ওয়েবসাইটে আল্লাহ হাফেজ।
টুইস্ট ইনফোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।প্রতিটি কমেন্টের উত্তর দেয়া হয়।
comment url