জীববিজ্ঞান জনক কে - প্রাণিবিদ্যার,উদ্ভিদবিদ্যার,আধুনিক চিকিৎসা ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক কে জানুন

রুই মাছের রক্ত সংবহন তন্ত্র প্রিয় পাঠকগণ আপনি কি জীববিজ্ঞান জনক কে, জীববিজ্ঞান কাকে বলে, প্রাণিবিদ্যার জনক কে, উদ্ভিদ বিদ্যার জনক কে, আধুনিক বিজ্ঞানের জনক কে, প্রাণিবিদ্যা কাকে বলে,আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক কে এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক কে এই সম্পর্কে জানতে গুগলে সার্চ করেছেন? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য।
জীববিজ্ঞান জনক কে
পড়ালেখার বিষয় এবং সাধারণ জ্ঞান হিসেবে উপরোক্ত প্রশ্ন গুলো আমাদের জীবনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। জীবের সৃষ্টি এবং গঠন সম্পর্কে জানতে পাশাপাশি আধুনিক চিকিৎসার আবিষ্কার করেছেন কে এই সম্পর্কে জানা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনি যদি জীববিজ্ঞান জনক কে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক কে ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক কে এই সম্পর্কে জানতে অবশ্যই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন।
সূচিপত্র: জীববিজ্ঞান জনক কে - প্রাণিবিদ্যার,উদ্ভিদবিদ্যার,আধুনিক চিকিৎসা ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক কে জানুন।

জীববিজ্ঞান জনক কে

জীববিজ্ঞানের জনক বলা হয় অ্যারিস্টটলকে। তিনি একজন প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক বিজ্ঞানী যে ইতিহাসের সেরা বুদ্ধিজীবী ব্যক্তিত্ব হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত। তিনি জন্মগ্রহণ করেন খ্রিস্টপূর্ব ৩৮৪ ৭ ই মার্চ। তিনি হারেস উপকূলবর্তী স্টাগিরাস নামক এক গ্রিক উপনিবেশের জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দার্শনিক এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির লেখক ছিলেন। যা তখন খ্রিষ্টান স্কলাস্টিজম এবং মধ্যযুগীয় ইসলামিক দর্শন উভয়ের কাঠামো বহন করে।

জীববিজ্ঞান কাকে বলে

জীববিজ্ঞান হল এমন একটি বিষয় যেখানে জীবনের বৈজ্ঞানিক সম্পর্কে আলোচনা করা হয়ে থাকে। জীববিজ্ঞান বিজ্ঞানের একটি শাখা যেখানে জীব ও জীবের জীবন সম্পর্কে গবেষণা করা হয়ে থাকে। বিজ্ঞানের যে শাখায় জীবের গঠন, জৈবনিক ক্রিয়া এবং জীবন ধারণ সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক জ্ঞান পাওয়া যায় তাকে জীববিজ্ঞান বলে।
জীববিজ্ঞানের মধ্যে জীবের গঠন,বৃদ্ধি,বিবর্তন, শ্রেণীবিন্যাস সহ আরো অনেক ধরনের বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়ে থাকে। জীববিজ্ঞানের আরেকটি নাম হল আধুনিক জীববিজ্ঞান। আধুনিক জীববিজ্ঞানে কোষ, জিন এবং বংশবিদ্যা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। আধুনিক জীবন বিজ্ঞানের কিছু ভিত্তি রয়েছে যেমন:

  • আণবিক জীববিজ্ঞান: বিজ্ঞানের এ শাখায় জীব ও পদার্থবিজ্ঞান এবং জীব রসায়ন সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
  • কোষ জীববিজ্ঞান: জীববিজ্ঞানের এই শাখায় কোষ বিদ্যা, জীবিত বস্তুর কাঠামোগত ব্যাখ্যা এবং তাদের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
  • বিবর্তন: জীববিজ্ঞানের এ শাখায় জীবন পরিবর্তন এবং বিকাশ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
  • শক্তি: বিজ্ঞানের এ শাখায় জীবিত জীবের শরীরে প্রাপ্ত শক্তি কিভাবে শারীরিক রসায়নিক প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে আহরণ করে সেই সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
  • জীবসমষ্টি বিজ্ঞান: বিজ্ঞানের এস শাখায় জীবের বংশগতিবিদ্যা যেখানে জীব সমষ্টি গুলির ভেতরে জিনে কি পরিবর্তন হয়েছে সে সম্পর্কে গবেষণা করা হয়।

আধুনিক বিজ্ঞানের জনক কে

আধুনিক বিজ্ঞানের জনক বলা হয় গ্যালিলিও কে। বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংএর পর গ্যালিলিও আধুনিক বিজ্ঞানের বিশাল অগ্রগতি করেছেন। তারপর গ্যালিলিও এর চেয়ে বেশি অন্য কোন বিজ্ঞানী অবদান রাখতে পারেনি। তাই গ্যালিলিওকে আধুনিক বিজ্ঞানের জনক বলা হয়। গ্যালিলিও ১৫৬৪ খ্রিস্টাব্দের ১৫ ফেব্রুয়ারিতে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি জন্মগ্রহণ করেন ইতালির টুস্কানিতে অবস্থিত পিসা নগড়ীতে। আধুনিক বিজ্ঞানের পাশাপাশি তিনি আধুনিক পদার্থ বিজ্ঞানের এবং আধুনিক জ্যোতিবিজ্ঞানের উপর বিশেষ অবদান রেখেছে বলে আধুনিক অতি বিজ্ঞানের জনক এবং আধুনিক পদার্থ বিজ্ঞানের জনক হিসেবেও অখ্যাত করা হয়েছে।

উদ্ভিদ বিদ্যার জনক কে

উদ্ভিদ বিদ্যার জনক বলা হয় থিওফ্রাস্টাসকে। থিওফ্রাস্টাস হলেন একজন গ্রীক দার্শনিক। তিনি উদ্ভিদবিদ্যার পাশাপাশি আরও বেশ কিছু বিষয়ের ওপর অবদান রেখেছেন। নীতিশাস্ত্র, ব্যাকরন, ইতিহাস, যুক্তিবিদ্যা, পদার্থবিদ্যা, প্রাকৃতিক ইতিহাস, উদ্ভিদবিদ্যা সহ আরো অনেক বিষয়ের ওপর প্রধান আগ্রহ রেখেছেন।
উদ্ভিদ বিদ্যার ওপর বিশেষ অবদান রাখার কারণে তাকে প্রাচীন দর্শনে উদ্ভিদ বিদ্যার জনক বলা হয়। তবে উদ্ভিদ বিদ্যার জনক হিসেবে ভারতীয় একজন বিজ্ঞানীকেও পরিচিতি করা হয়েছে। ভারতীয় বিজ্ঞানী উইলিয়াম রক্সবার্গকেও উদ্ভিদ বিদ্যার জনক বলা হয়।

প্রাণিবিদ্যার জনক কে

প্রাণিবিদ্যার জনক বলা হয় এরিস্টটলকে। তিনি একজন বিশ্ব বিখ্যাত গ্রিক বিজ্ঞানী ও দার্শনিক। তিনি জীববিজ্ঞানের যেমন অবদান রেখেছে তেমনি জীববিজ্ঞানের একটি শাখা প্রাণিবিদ্যার ওপরও বিশেষ অবদান রেখেছেন। তাই তাকে প্রাণিবিজ্ঞানের জনক বলা হয়।

প্রাণিবিদ্যা কাকে বলে

জীববিজ্ঞানের যে শাখায় মানুষ সহ অন্য সব প্রাণীদের নিয়ে গবেষণা করা হয় এবং প্রাণীর বিষয়ে সমস্ত আলোচনা এবং বিভিন্ন তথ্য পরিবেশিত হয় তাকে প্রাণিবিজ্ঞান বা প্রাণী বিদ্যা বলে। প্রাণিবিদ্যায় প্রাণীদের শরীরে গঠন,বিবর্তন এবং শ্রেণীবিন্যাস সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক কে

চিকিৎসা বিজ্ঞান হল রোগ উপশম এর বিজ্ঞান কলা বা শৈলী। মানব শরীর এবং স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য রোগ নিরাময় ও রোগ প্রতিষেধক বিষয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানে আলোচনা করা হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইংরেজি হল মেডিসিন। চিকিৎসা বিজ্ঞানে অসংখ্য অবদান রেখেছেন গ্রীক চিকিৎসক হিপোক্রেটিস। তাই তাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক বলা হয়।

আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক কে

আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক হলেন ইবনে সিনা। যার পুরো নাম আবু আলী হোসাইন বিন আব্দুল্লাহ ইবনুল হাসান বিন আলি ইবনে সিনা। তিনি ছিলেন একজন পারসি মুসলিম বহুবিদ্যাবিশারদ। থাকে ইসলামী স্বর্ণযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ চিকিৎসক, জ্যোতিবিদ্যা, সুগন্ধ চিকিতসা যুক্তিবিদ্যা ধর্মতত্ত্ব বিজ্ঞান গণিত পদার্থবিজ্ঞান ইত্যাদি। তিনি ৯৮০ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আব্দুল্লাহ এবং মাতার নাম সিতারা।

মন্তব্য

আশা করি উপরের আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি উপকৃত হয়েছেন এবং জীববিজ্ঞান জনক কে জীববিজ্ঞান কাকে বলে প্রাণিবিদ্যার জনক কে উদ্ভিদ বিদ্যার জনক কে আধুনিক বিজ্ঞানের জনক কে প্রাণিবিদ্যা কাকে বলে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক কে এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক কে এই সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। এরকম আরো অনেক তথ্য সম্পর্কে জানতে www.twestinfo.com পেজে চোখ রাখুন এবং কমেন্টের মাধ্যমে মতামত প্রকাশ করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

টুইস্ট ইনফোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।প্রতিটি কমেন্টের উত্তর দেয়া হয়।

comment url