মুড়ি ইংরেজি কি,গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে কি হয় ও ডায়াবেটিসে মুড়ি খাওয়া যাবে কি

খালি পেটে ইসবগুলের ভুসি খেলে কি হয় প্রিয় পাঠক আপনি মুড়ি ইংরেজি কি, গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে কি হয় ও ডায়াবেটিসে মুড়ি খাওয়া যাবে কি এই বিষয়ে জানতে গুগলে সার্চ করেছেন? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এই আর্টিকেলে আরো জানতে পারবেন মুড়ি খেলে কি ওজন কমে, মুড়ি খেলে কি ওজন বাড়ে, খালি পেটে মুড়ি খাওয়ার উপকারিতা, রাতে মুড়ি খাওয়ার উপকারিতা / রাতে মুড়ি খেলে কি হয়,
মুড়ি ইংরেজি কি ও গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে কি হয় ও ডায়াবেটিসে মুড়ি খাওয়া যাবে কি
মুড়ি খেয়ে ওজন কমানোর উপায়, মুড়ি খাওয়ার পর পানি খেলে কি হয় ও গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে কি হয় ইত্যাদি বিষয়ে। উপরোক্ত সকল বিষয়ে জানতে অবশ্যই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। আশা করি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার পর আপনি উপকৃত হবেন এবং অজানা তথ্য জানতে পারবেন।
সূুচিপত্র: মুড়ি ইংরেজি কি | গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে কি হয় | ডায়াবেটিসে মুড়ি খাওয়া যাবে কি

মুড়ি ইংরেজি কি/মুড়ি meaning in english

মুড়ি আমাদের একটি পরিচিত খাবার। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই মুড়ি ইংরেজি কি তা জানিনা। যদিও এটি একটি সাধারণ খাবার। তবুও মুড়ি ইংরেজি আমাদের অনেকেরই জানা নেই। মুড়ি সাধারণত চাল থেকে তৈরি হয়। তাই মুড়ি ইংরেজি হল Puffed rice অথবা Popped rice/pop rice। মুড়ি এক ধরনের স্ফীত খাবার যা বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায়।
মুড়ি ভারত ও বাংলাদেশের বেশ জনপ্রিয় একটি খাবার। মুড়ি তৈরি করার জন্য গরম বালিতে তাপ দিয়ে চাল ভাজা হয়। মুড়ির কিছু অন্যান্য নাম রয়েছে তা হল মুধী, মুরাই, হুরুম, মুরমুরে, পারমাল ইত্যাদি। মুড়ি দিয়ে তৈরি ঝাল মুড়ি বাংলাদেশের বেশ জনপ্রিয় একটি খাবার। আশা করি মুড়ি ইংরেজি কি আপনারা জানতে পেরেছেন।

মুড়ি খেলে কি ওজন কমে

বর্তমান সময়ে ওজন কমানো একটি নৈত্যদিনের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বাস্থ্য সচেতনতা ও অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণে ওজন কমানোর বিষয়টি আলোচিত। আমরা জানি ভাত খেলে ওজন বাড়ে সে ক্ষেত্রে ওজন কমানোর জন্য আমরা বিকল্প হিসেবে কি খেতে পারি এই নিয়ে আমাদের অনেকেরই প্রশ্ন রয়েছে। সকল প্রশ্নের মধ্যে মুড়ি খেলে কি ওজন কমে এই প্রশ্নটি সকলেই করে থাকে।
চলুন তাহলে জানি মুড়ি খেলে কি ওজন কমে। মুড়ি আমাদের পরিচিত একটি খাবার। আমরা জানি চাল থেকে মুড়ি তৈরি করা হয় ফলে মুড়ির পুষ্টিগুণ কম তা বলা একেবারে সঠিক হবে না। তবে ভাত খেলে যেমন ওজন বৃদ্ধি পায় মুড়ি খেলে কিন্তু ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার ভয় থাকে না। মুড়িতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে।
তবে মুড়িতে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকায় মুড়ি খেলে পেট ভরে যায়। আপনি যদি ওজন কমাতে মুড়ি খেতে চান তাহলে নিশ্চিন্তে খেতে পারেন। মুড়ি খেলে ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার ভয় থাকে না কারণ মুড়িতে ক্যালরির পরিমাণ কম। পেট ভরে মুড়ি খেলে ওজন বৃদ্ধি পাবে না বরং ওজন কমাতে সাহায্য করবে। আশা করি মুড়ি খেলে কি ওজন কমে এই বিষয়ে আপনারা জানতে পেরেছেন।

মুড়ি খেলে কি ওজন বাড়ে

আমরা অনেকেই মনে করি মুড়ি খেলে ওজন বৃদ্ধি পায়। মুড়িতে রয়েছে ক্যালরি, শর্করা, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও সোডিয়াম। এ সকল উপাদান আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তবে মুড়িতে কোলেস্টেরল নেই বললেই চলে। কোলেস্টেরল না থাকায় এবং ক্যালোরির পরিমাণ কম থাকার কারণে মুড়ি খেলে ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার ভয় থাকে না।
তাই যারা মনে করেন মুড়ি খেলে ওজন বৃদ্ধি পায় এটি সঠিক নয়। মুড়ি খেলে ওজন বৃদ্ধি পায় না বরং ওজন কমাতে সাহায্য করে। আশা করি মুড়ি খেলে কি ওজন বাড়ে এই সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন।

গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে কি হয়

একজন গর্ভবতী মহিলার স্বাস্থ্য সুরক্ষা করার জন্য নানান ধরনের পুষ্টিকর খাবার খেতে হয়। সে ক্ষেত্রে গর্ভবতী মহিলার জন্য মুড়ি কতটুকু উপকারী এবং গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে কি হয় সেই সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়।
মুড়ি খাওয়ার মাধ্যমেও একজন গর্ভবতী মহিলার নানান ধরনের উপকার হতে পারে। আমরা জানি মুড়িতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও সোডিয়াম রয়েছে। তাছাড়া রয়েছে প্রোটিন শর্করা ভিটামিন বি ইত্যাদি। এ সকল উপাদান একজন গর্ভবতী মহিলার জন্য অত্যন্ত উপকারী। চলুন তাহলে জানা যা গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে কি হয়।

  • মুড়িতে প্রচুর পরিমাণে খনিজ উপাদান রয়েছে যা একজন গর্ভবতী মহিলার শরীরে খনিজ উপাদানের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করবে।
  • মুড়িতে রয়েছে ক্যালসিয়াম যা গর্ভবতী মহিলার শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে এবং গর্ভের সন্তানের হাড় ও দাঁত গঠনে সাহায্য করে।
  • গর্ভাবস্থায় মুড়ি খাওয়ার ফলে শরীরে দুর্বলতা দূর হয় এবং গর্ভবতী মহিলা ও গর্ভের সন্তান দুজনই সুস্থ থাকে।
  • অনেক সময় গর্ভবতী মহিলার খাবারের কারণে এসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যা হয়। এই এসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মুড়ি একটি উপকারী খাবার। তাই গর্ভবতী মহিলার পেটে গ্যাসের সমস্যা হলে মুড়ি খাওয়া উত্তম।
  • গর্ভবতী মহিলার পেটে সমস্যা দূর করার জন্য মুড়ি উপকারী একটি খাবার।
  • তাছাড়া মুড়ি খাওয়ার ফলে একজন গর্ভবতী মহিলার ঠান্ডা জনিত সমস্যা দূর করে। এতে করে বাচ্চার ঠান্ডা হওয়া থেকে রক্ষা করা যায়।
মুড়ি খাওয়ার ফলে একজন গর্ভবতী মহিলার উপরোক্ত উপকার গুলো হতে পারে। তবে অতিরিক্ত মুড়ি খাওয়া থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। কারণ অতিরিক্ত মুড়ি খাওয়ার ফলে গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মহিলার ওজন কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ও পরিমান মত মুড়ি খেতে হবে। আশা করি গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে কি হয় আপনারা জানতে পেরেছেন।

ডায়াবেটিসে মুড়ি খাওয়া যাবে কি

ডায়াবেটিস একটি নিত্যদিনের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেকোনো বয়সেরই মানুষ এখন ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মুড়ি কতটুকু উপকারী বা কতটুকু অপকারী সেই সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। তাই আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে ডায়াবেটিসে মুড়ি খাওয়া যাবে কি না? যদিও মুড়ি আমাদের শরীরের উপকার করে এমন একটি খাবার তবুও এর কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
চলুন তাহলে জানা যাক ডায়াবেটিসে মুড়ি খাওয়া যাবে কি না।আমরা জানি ডায়াবেটিস সাধারণত রক্তে ইনসুলিনের পরিমাণ কমে গেলে হয়ে থাকে। এর জন্য একজন ডায়াবেটিস রোগীকে সুগার খাওয়া থেকে একদম বিরত থাকতে হয়। কারণ ব্লাড সুগার বেড়ে গেলে একজন ডায়াবেটিস রোগীর হার্ট, কিডনি ও চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
তাই ডায়াবেটিস রোগীদের খাবারের প্রতি বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। যে সকল খাবারে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকে সে সকল খাবার খেতে হয়। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স সাধারণত রক্তের সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। আমরা জানি মুড়িতে প্রচুর পরিমাণ এর গ্লাইসামিক ইনডেক্স পাওয়া যায়।যা কার্বোহাইড্রেট ও ষ্টার্চের সমন্বয়ে তৈরি হয়।
কার্বোহাইড্রেট ও ষ্টার্চ রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যা একজন ডায়াবেটিস রুগীর জন্য খারাপ পরিণতি সৃষ্টি করতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মুড়ি খাওয়া একেবারেই নিষিদ্ধ। পরিশেষে বলা যায় ডায়াবেটিসের রোগীদের মুড়ি খাওয়া যাবেনা কারণ এতে প্রচুর পরিমাণ এর গ্লাইসামিক ইনডেক্স পাওয়া যায়। আশা করি ডায়াবেটিসে মুড়ি খাওয়া যাবে কি না সে সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন।

খালি পেটে মুড়ি খাওয়ার উপকারিতা

আমরা জানি মুড়ি আমাদের শরীরের জন্য কত উপকারী। যদি এই মুড়ি আমরা কিছু নিয়ম মেনে খেয়ে থাকি তাহলে এর থেকে আরও বেশি উপকার পেতে পারি। প্রতিদিন খালি পেটে মুড়ি খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে। খালি পেটে মুড়ি খেলে আমরা বিশেষ কিছু উপকার পেতে পারি যা আমাদের দীর্ঘ সময়ের রোগ বালাই থেকে সহজেই রক্ষা দিতে পাবো। চলুন তাহলে জানা যাক খালি পেটে মুড়ি খাওয়ার উপকারিতা গুলো কি কি।

  • গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করে: প্রতিদিন খালি পেটে মুড়ি খেলে আমাদের দীর্ঘদিনের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হবে। মুড়িতে থাকা গ্লুটেন আমাদের গ্যাস্টিকের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
  • ওজন কমাতে সাহায্য করে: আমরা জানি মুড়িতে ক্যালরির পরিমাণ কম রয়েছে। যার ফলে মুড়ি খাওয়ার পর খুদা কম লাগে। তাই আমরা ওজন কমানোর জন্য মুড়ি খেতে পারি যা আমাদের শরীরে কোন প্রকার ক্ষতি ছাড়াই সহজে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
  • হজম শক্তি বৃদ্ধি করে: খালি পেটে মুড়ি খাওয়ার ফলে পেট ফাঁপা হয়ে থাকা দূর হয় এবং আমাদের পেটের পরিপাক নালীর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে খাবার তাড়াতাড়ি হজম হতে সাহায্য করে।
  • হাড় মজবুত করে: মুড়িতে প্রচুর পরিমাণ এর ক্যালসিয়াম ও আয়রন রয়েছে। যা আমাদের হাড়ের পুষ্টি বৃদ্ধি করে এবং হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। মুড়ি খাওয়ার ফলে বাচ্চাদের হাড় ও দাঁত মজবুত হয়।
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে: মুড়িতে সোডিয়াম এর পরিমাণ কম থাকায় এটি আমাদের রক্তচাপকে বেড়ে যেতে বাধা দেয়। তাই যারা উচ্চ রক্তচাপ সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত খালি পেটে মুড়ি খেতে পারেন।
প্রতিদিন খালি পেটে মুড়ি খেলে আপনি উপরোক্ত উপকারগুলো আপনার শরীরের লক্ষ্য করবেন। খালি পেটে মুড়ি খাওয়ার ফলে আমাদের অনেক উপকার হয়। তবে আপনি যদি অন্য কোন রোগে আক্রান্ত থাকেন তাহলে মুড়ি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। আশা করি খালি পেটে মুড়ি খাওয়ার উপকারিতা আপনারা জানতে পেরেছেন।

রাতে মুড়ি খাওয়ার উপকারিতা / রাতে মুড়ি খেলে কি হয়

আমাদের মধ্যে অনেকেই মনে করে রাতে মুড়ি খাওয়ার বিশেষ কিছু উপকারিতা রয়েছে। মুড়ি আমাদের শরীরে অত্যন্ত উপকার করে তবে কিছু সময়ে মুড়ি খাওয়া থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে। রাতে আমরা কি রকম খাবার খাচ্ছি তা আমাদের শরীরে বিশেষ প্রভাব ফেলে। সে ক্ষেত্রে আমরা যদি রাতে মুড়ি খায় তাহলে আমাদের শরীরের উপকারের পরিবর্তে নানান ধরনের ক্ষতি ডেকে নিয়ে আসে।
বিশেষজ্ঞদের মতে রাতে হালকা খাবার খাওয়ার চেয়ে ভারী খাবার খাওয়া উত্তম। হালকা খাবার খাওয়ার ফলে আমাদের নানা বিপদের সম্মুখীন হতে হবে। আমরা যদি রাতে মুড়ি খায় তাহলেও আমাদের শরীরে নানান ধরনের ক্ষতি হবে। কারণ মুড়িতে প্রচুর পরিমাণ এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স রয়েছে যা কার্বোহাইড্রেট দিয়ে তৈরি। এবং মুড়িতে ফাইবারের মাত্রাও কম রয়েছে।
এই গ্লাইসেমিক ইনডেক্স এবং ফাইবারের মাত্রা কম থাকার কারণে আমাদের শরীরের স্বাস্থ্য খারাপ হয়। ফলে দীর্ঘ সময় রাতে মুড়ি খাওয়ার কারণে মাত্রা অতিরিক্ত ওজন কমে যেতে পারে এর সাথে আরো নানান ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।আশা করি রাতে মুড়ি খাওয়ার উপকারিতা / রাতে মুড়ি খেলে কি হয় এই সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন।

মুড়ি খেয়ে ওজন কমানোর উপায়

মুড়ি আমাদের ওজন কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। আপনি যদি মুড়ি খেয়ে ওজন কমাতে চান তাহলে সহজেই আপনি কিছু দিনের মধ্যে ওজন কমাতে পারবেন। মুড়ি খেয়ে ওজন কমানোর উপায় অনেক সহজ। ওজন কমানোর জন্য আপনি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মুড়ি খেতে পারেন। নিয়মিত সকালে খালি পেটে শুধু মুড়ি খেলেও কিছুদিনের মধ্যে ওজন কমে যাবে।
ওজন কমানোর জন্য যদি মুড়ি খেতে চান তাহলে একটি বিষয়ের ওপর আপনার যথেষ্ট সতর্ক থাকতে হবে যে মুড়ি প্রতিদিন একই পরিমাণের খেতে হবে। আমরা জানি মুড়িতে প্রচুর পরিমাণ এর খনিজ উপাদান ও মিনারেল রয়েছে। তাই পরিমাণ মতো মুড়ি না খাওয়ার কারণে ওজন বেড়ে যেতে পারে।
ওজন কমানোর জন্য অবশ্যই আপনাকে প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ এর মুড়ি খেতে হবে। তাছাড়া ওজন কমাতে আপনি মুড়ি পানিতে ভিজিয়ে খেতে পারেন এটিও বেশ কার্যকরী হবে। আশা করি মুড়ি খেয়ে ওজন কমানোর উপায় আপনারা জানতে পেরেছেন।

মুড়ি খাওয়ার পর পানি খেলে কি হয়

আমরা সকলেই জানি মুড়ি খাওয়ার পর পানি খেতে হয় না। কিন্তু মুড়ি খাওয়ার পর পানি খেলে কি হয় সেই বিষয়ে আমরা জানিনা। প্রাচীনকাল থেকেই বড়দের মুখে শুনে আসছি মুড়ি খাওয়ার পর পানি খেলে পেটে মুড়ি ভেসে ওঠে। আসলে এই কথাটি কতটুকু সত্য এই বিষয়ে আমরা কখনোই যাচাই করি না। মুড়ি খাওয়ার পর পানি খাওয়া ঠিক নয় কারণ মুড়ি খাওয়ার পর পানি খেলে মুড়ির পুষ্টিগুণ ও কার্যকরিতা নষ্ট হতে পারে।
আপনি যদি কোন কারনে নিয়মিত মুড়ি খান এবং মুড়ি খাওয়ার পর পানি খেয়ে ফেলেন তাহলে মুড়ির পুষ্টিগুণ ও কার্যকরিতা কিছুই লক্ষ্য করতে পারবেন না। মুড়ি খাওয়ার পর পানি খেলে কি হয় এই প্রশ্নের উত্তরে বলব মুড়ি খাওয়ার পর পানি খেলে মুড়ির কার্যকারিতা নষ্ট হয়। আশা করি মুড়ি খাওয়ার পর পানি খেলে কি হয় এই সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন।

মুড়ি খেলে কি গ্যাস্ট্রিক হয়

আমরা অনেকেই মনে করি মুড়ি খেলে পেটে গ্যাস্ট্রিক হয়। কিন্তু আসলে কথাটি সত্য নয়। মুড়ি খেলে পেটে গ্যাস্টিক কমে যায়। মুড়ি একমাত্র খাবার যা খেলে আপনি কিছুদিনের মধ্যে গ্যাস্টিকের সমস্যা থেকে রক্ষা পাবেন। মুড়িতে থাকা পুষ্টিগুণ উপাদান আমাদের পেটের এসিডিটি বা গ্যাস ধ্বংস করে এবং পেটে নালীর কার্যক্রম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
তাই বলা যায় মুড়ি খেলে গ্যাস্ট্রিক থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এছাড়া ডায়রিয়া, আলসার,পেট ফাঁপা থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়। আশা করি মুড়ি খেলে কি গ্যাস্ট্রিক হয় এই সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন।

মুড়ির গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কত

গ্লাইসেমিক ইনডেক্স হল এমন একটি তালিকা যা কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা জাতীয় খাবারের পরিমাণ বুঝায়। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স রক্তের সুগারের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। মুড়ির গ্লাইসেমিক ইনডেক্স হল ৮৭। তাই বলা হয় মুড়িতে প্রচুর পরিমাণ এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অর্থাৎ শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ বেশি।

মুড়ি তে কত ক্যালরি আছে/১০০ গ্রাম মুড়িতে কত ক্যালরি থাকে

আমরা জানি মুড়িতে প্রচুর পরিমাণে খনিজ লবণ এবং পুষ্টিগুণ রয়েছে। মুড়িতে রয়েছে ক্যালোরি, ফ্যাট, শর্করা, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও সোডিয়াম। প্রতি ১০০ গ্রাম মুড়িতে ক্যালোরি রয়েছে ৪০২ গ্রাম। ক্যালসিয়াম রয়েছে ৬ মিলিগ্রাম, ফসফরাস রয়েছে ৫ মিলিগ্রাম ও সোডিয়াম রয়েছে ৩ মিলিগ্রাম।

পরিশেষে কথা

মুড়ি আমাদের অতি পরিচিত, স্বাস্থ্যকর এবং দামে কম একটি খাবার। যা আমরা বিভিন্ন উপকারের জন্য নিয়মিত খেতে পারি। তবে অবশ্যই পরিমাণমতো মুড়ি খেতে হবে আবার যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তারা মুড়ি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের উপকারে আসবে।
এই আর্টিকেলে আপনারা জানতে পেরেছেন মুড়ি ইংরেজি কি,গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে কি হয়, ডায়াবেটিসে মুড়ি খাওয়া যাবে কি,মুড়ি খেলে কি ওজন কমে, মুড়ি খেলে কি ওজন বাড়ে, খালি পেটে মুড়ি খাওয়ার উপকারিতা, রাতে মুড়ি খাওয়ার উপকারিতা / রাতে মুড়ি খেলে কি হয়, মুড়ি খেয়ে ওজন কমানোর উপায়, মুড়ি খাওয়ার পর পানি খেলে কি হয়,মুড়ির গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কত ও মুড়ি তে কত ক্যালরি আছে/১০০ গ্রাম মুড়িতে কত ক্যালরি থাকে ইত্যাদি বিষয়ে। এমন আরো তথ্য পেতে www.twestinfo.com পেজে চোখ রাখুন এবং কমেন্টের মাধ্যমে মতামত প্রকাশ করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

টুইস্ট ইনফোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।প্রতিটি কমেন্টের উত্তর দেয়া হয়।

comment url