মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় জানতে পড়ুন
দ্রুত মাসিক হওয়ার উপায়
আজকের আর্টিকেলে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় আলোচনা করা হবে তা হল মাসিক মিস হওয়ার
কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়। তাছাড়া আপনাদের আরো প্রশ্ন যেমন: মাসিকের কত
দিন পর সহবাস করলে গর্ভবতী হয় না, মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে,
প্রেগনেন্ট হওয়ার কতদিন পর মাসিক বন্ধ হয়, মাসিকের কত দিন পর গর্ভধারণ হয়, কত
দিন মাসিক না হলে গর্ভবতী হয় ও গর্ভবতী অবস্থায় মাসিক হয় কেন এ সকল বিষয়
নিয়ে।
উপরোক্ত সকল বিষয়ের সঠিক উত্তর জানতে অবশ্যই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি সকল তথ্য জানতে পারবেন এবং মাসিক ও
প্রেগনেন্ট হওয়া নিয়ে আপনাদের মনে আর কোন প্রশ্ন থাকবে না।
সূচিপত্র: মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় জানতে পড়ুন
মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়
আমাদের অনেকেরই প্রশ্ন থাকে যে মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা
যায় এই সম্পর্কে। একজন মহিলার গর্ভবতী হওয়ার পূর্বে তার মধ্যে কিছু লক্ষণ
দেখা দেয়। এই লক্ষণগুলোর মাধ্যমে আপনি যাচাই করতে পারবেন আপনি প্রেগন্যান্ট
কিনা। তাছাড়া সাধারণত মাসিক মিস হওয়ার ১৪ দিন অথবা ৩০ দিনের মধ্যে মহিলারা
গর্ভবতী হয়ে থাকে।
আরো পড়ুন:একদিনে মাসিক হওয়ার ঘরোয়া উপায়
এই সময়ের মধ্যে আপনি বুঝতে পারবেন আপনি গর্ভবতী কিনা। তাছাড়া অনেকের ক্ষেত্রে
প্রেগন্যান্ট হওয়ার লক্ষণ প্রকাশ পেতে ৪২ দিন থেকে ৫৬ দিন সময় লাগতে পারে। এই
সময়টা নির্ভর করবে আপনার শারীরিক অবস্থার ওপর। তবে সবচেয়ে আলোচিত একটি লক্ষণ
হল পিরিয়ড মিস হওয়া। আবার অনেকের ক্ষেত্রে পিরিয়ড মিস হওয়ার আগেও লক্ষণ
দেখা দেয়। সে লক্ষণগুলো হলো:
- মুড সুইং ও মাথা ঘোরা।
- শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া।
- মর্নিং সিকনেস।
- বমি বমি ভাব হওয়া।
- অতিরিক্ত টয়লেটে যাওয়া।
- খাওয়া-দাওয়ায় অরুচি সৃষ্টি হওয়া।
- স্তন ফুলে যাওয়া অথবা ব্যথা অনুভব করা।
- অনেক ক্ষেত্রে ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া।
- বারবার প্রস্রাব হওয়া।
উপরুক্ত এই লক্ষণ গুলো আপনার মধ্যে দেখা দিলে বুঝতে হবে আপনি প্রেগন্যান্ট। যদি
আপনার পিরিয়ড মিস হওয়ার আগে এই লক্ষণ গুলো দেখতে পান তাহলে অবশ্যই
প্রেগনেন্সি টেস্ট করাতে হবে। আশা করি মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট
বোঝা যায় সে সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন।
মাসিকের কত দিন পর সহবাস করলে গর্ভবতী হয় না
আমাদের মধ্যে অনেকেই মাসিকের কতদিন পর সহবাস করলে গর্ভবতী হয় না এই প্রশ্নের
উত্তর জানা নেই বলে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ হয়ে থাকে। অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণের
ফলে একজন মায়ের যেমন ক্ষতি হয় তেমনি সমাজে অতিরিক্ত জনসংখ্যার কারণে ও নানান
ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তাই আমাদের সকলকে জানতে হবে মাসিকের কতদিন পর সহবাস
করলে গর্ভবতী হয় না।
আরো পড়ুন:সাদা স্রাব হলে কি মাসিক হয়
একজন মহিলার মাসিক চক্র সাধারণত ২৮ দিনের হয়ে থাকে। এই ২৮ দিন পর একজন
মহিলার মাসিক হয় যা প্রায় ৭ দিনের মতো স্থায়ী হয়। এই সময়ের মধ্যে কখন
সহবাস করলে গর্ভবতী হয় বা গর্ভবতী হয় না এই সম্পর্কে কিছুটা অজানা রয়েছে।
যদি বলা হয় গর্ভবতী হওয়ার উত্তম সময় কখন তাহলে বলা যাবে মাসিক শুরু হওয়ার
প্রথম দিন থেকে ১৪ তম দিন পর্যন্ত গর্ভবতী হওয়ার আদর্শ সময় বলে মনে করা হয়।
আরো পড়ুন:মাসিকের রক্ত কালো হলে করনীয়
আর যদি প্রশ্ন করা হয় মাসিকের কত দিন পর সহবাস করলে গর্ভবতী হয় না তাহলে বলবো
মাসিক শুরু হওয়ার দিন থেকে ৭ দিন ও শেষ হওয়ার ৭ দিন পর্যন্ত সহবাস করলে
গর্ভবতী হয় না। শুরু হওয়া এবং শেষ হওয়ার এই সময়ের মাঝে যদি সহবাস করা হয়
তাহলে একজন মহিলার গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা একদম কম থাকে। আশা করি মাসিকের
কতদিন পর সহবাস করলে গর্ভবতী হয় না সে সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।
মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে
অনেক মহিলারা রয়েছে যাদের কিছুদিন মাসিক না হওয়ার কারণে তাদের মনে বাচ্চা
হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। মাসিক না হওয়ার পেছনে বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা
থাকে কিন্তু সব সময় মাসিক বন্ধ হয়ে গেলে বা না হলে তখন বাচ্চা হওয়ার
সম্ভাবনা থাকে না। তাই এখন আলোচনা করব মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা
থাকে এই সম্পর্কে।
আরো পড়ুন:সিজারের কতদিন পর মাসিক হয়
সাধারণত আমরা জানি একজন মহিলা যখন গর্ভবতী হয় প্রাকৃতিক নিয়মে তার মাসিক বন্ধ
হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে ধরা হয় সেই মহিলাটি প্রেগন্যান্ট। কিন্তু এমন অনেক
সমস্যা রয়েছে যার কারণে ও একজন মহিলার মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এ সমস্যার
মধ্যে প্রথমত আলোচনা করব হরমোনাল সমস্যা নিয়ে। শরীরে কোন প্রকার হরমোনাল
সমস্যা থাকলে সাধারণত মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
তাছাড়া শরীরের রক্তস্বল্পতা ও অতিরিক্ত ওজন কমে যাওয়ার কারণেও মাসিক হয় না।
তাই আপনারা যদি সঠিকভাবে জানতে চান আপনার বাচ্চা হবে কিনা সে ক্ষেত্রে মাসিক
বন্ধ হয়ে গেলে ১৫ বা ৩০ দিনের মধ্যে প্রেগনেন্সি টেস্ট করাতে পারেন।
প্রেগনেন্সি টেস্ট করানোর পর যদি পজিটিভ আসে তাহলে বুঝে নেবেন যে আপনি গর্ভবতী।
আর যদি মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর প্রেগনেন্সি টেস্ট করলে নেগেটিভ আসে তাহলে
বুঝে নিবেন আপনার শরীরে হরমোনাল কোন সমস্যা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে
তাড়াতাড়ি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
আশা করি মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সে সম্পর্কে জানতে
পেরেছেন তবুও আমি সহজে বলে দেওয়ার চেষ্টা করছি। মাসিক না হলে বাচ্চা হওয়ার
সম্ভাবনা থাকে কিন্তু তা সকল ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। অবশ্যই আপনাকে প্রেগনেন্সি
টেস্ট করার মাধ্যমে যাচাই করতে হবে।
প্রেগন্যান্ট হওয়ার কত দিন পর মাসিক বন্ধ হয়
প্রেগনেন্ট হওয়ার কতদিন পর মাসিক বন্ধ হয় এই প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দেওয়া
সম্ভব নয়। কারণ একেক জন মহিলার একেক সময় মাসিক হয় এবং তা বন্ধের ক্ষেত্রেও
ভিন্ন সময় বহন করে। যদি সহজে বলি, মনে করেন আপনার প্রতি মাসের ৫ তারিখে মাসিক
হয় এবং তা ৯ অথবা ১০ তারিখ পর্যন্ত থাকে।
এরপর ১১ তারিখ থেকে পরের মাসের আট তারিখ পর্যন্ত আপনার সহবাসের বা মিলনের সময়
থাকে। এর মধ্যে যদি আপনার মিলন হয় তাহলে আপনার পরের মাসে ৫ তারিখে মাসিক হবে
না। সেক্ষেত্রে বলা যায় যে, আপনি যদি প্রেগনেন্ট হয়ে থাকেন তাহলে মাসিক শেষ
হওয়ার ১৫ দিন পর থেকে মাসিক বন্ধ হয়ে যাবে।
আরো পড়ুন:মাসিকের কত দিন পর সহবাস করা উচিত
সেটি আপনি বুঝতে পারবেন পরের মাসে যখন আপনার আর মাসিক হবে না। তবে একটু
সতর্কতার সাথে থাকতে হবে। কারণ মাসিক মিস হলেই যে আপনি গর্ভবতী সে বিষয়টিও
নয়। অবশ্যই আপনাকে সত্যতা যাচাই করার জন্য প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে হবে।
প্রেগনেন্সি টেস্ট এর মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন আপনি গর্ভবতী হয়েছেন কিনা।
আশা করি প্রেগন্যান্ট হওয়ার কতদিন পর মাসিক বন্ধ হয় সেই সম্পর্কে কিছুটা
ধারণা দিতে পেরেছি।
মাসিকের কতদিন পর গর্ভধারণ হয়
আমাদের অনেকের মনে এই প্রশ্নটি থাকে যে মাসিকের কত দিন পর গর্ভধারণ হয়। একজন
মহিলার মাসিক শুরু হওয়ার প্রথম দিন থেকে ১৪ তম দিনের মধ্যে যদি সহবাস হয়
তাহলে ওই মহিলা গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সেক্ষেত্রে বলা যায় যে
মাসিক শেষ হওয়ার পর ১০ থেকে ১৫ দিন সময়ের মধ্যে গর্ভধারণ হওয়া সম্ভব।
আরো পড়ুন:বাচ্চা নষ্ট করার কতদিন পর মাসিক হয়
তবে আপনাকে অবশ্যই সহবাস করার সময় সঠিক নিয়মে করতে হবে। নতুবা আপনার গর্ভধারণ
করা সম্ভব হবে না। সুতরাং বলা যায় যে মাসিকের পর ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে সহবাস
করলে গর্ভধারণ করা সম্ভব। আশা করি মাসিকের কতদিন পর গর্ভধারণ হয় সে সম্পর্কে
আপনারা জানতে পেরেছেন।
কত দিন মাসিক না হলে গর্ভবতী হয়
কত দিন মাসিক না হলে গর্ভবতী হওয়া যায় এই সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই ধারণা নেই।
আবার অনেকেই মনে করে তিন মাস মাসিক বন্ধ থাকলে গর্ভবতী নির্ণয় করা যায়। কত
দিন মাসিক না হলে গর্ভবতী হয় এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর হল আপনি যদি সঠিক নিয়মে
সহবাস করে থাকেন তাহলে মাসিক শেষ হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যেই আপনি গর্ভবতী হতে
পারবেন।
সেক্ষেত্রে আপনি গর্ভবতী হয়েছেন কিনা তা বুঝতে হলে আপনাকে পরবর্তী মাসিক
পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। পরবর্তী মাসিক সঠিক সময়ে হয়েছে না হয়নি তার ওপর
নির্ভর করবে আপনি গর্ভবতী কিনা। যদি পরবর্তী মাসে মাসিক না হয় তাহলে আপনি
প্রেগনেন্সি টেস্ট করার মাধ্যমে নির্ণয় করতে পারবেন আপনি গর্ভবতী হয়েছেন
কিনা।
এখন আপনাদের প্রশ্ন কতদিন মাসিক না হলে গর্ভবতী হয় এটির উত্তরে বলব সঠিক
নিয়মে সহবাস করলে এবং আপনার শারীরিক কোন সমস্যা না থাকলে তাহলে এক মাসে মাসিক
না হলে আপনি গর্ভবতী হতে পারবেন।
গর্ভবতী অবস্থায় মাসিক হয় কেন
আমাদের মধ্যে অনেক মহিলারা গর্ভবতী অবস্থায় রক্তপাত দেখলে ঘাবড়ে ওঠে। কারণ
গর্ভবতী অবস্থায় মাসিক হয় কেন এই সম্পর্কে তারা কিছুই জানে না। গর্ভধারণের
প্রথম তিন মাসের মধ্যে যদি আপনার মাসিক হয় এটি একটি কমন বিষয় হিসেবে ধরা হয়।
কারণ গর্ভাবস্থায় জরায়ুর মুখে একটি নতুন নালী তৈরি হয় ফলে যৌনি পদ দিয়ে
রক্ত যেতে পারে। এটি একটি সাধারণ বিষয় তবুও না জানার কারণে অনেক গর্ভবতী
মহিলারা গর্ভবতী অবস্থায় মাসিক হলে ভয় পেয়ে যায়। আশা করি গর্ভবতী অবস্থায়
মাসিক হয় কেন সে সম্পর্কে আপনারা বুঝতে পেরেছেন।
পরিশেষে কথা
গর্ভবতী হওয়া একজন মহিলার জীবনে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আর একজন মহিলা যদি সঠিক
সময় মাসিক না হয় তাহলে তার গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। আবার অনেকেই
গর্ভবতী অবস্থায় নানান উপসর্গ দেখে ঘাবড়ে ওঠে। তাই আপনাদের কে সকল বিষয়ে
জানাতে আজকের এই আর্টিকেল লেখা।
আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর
প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়, গর্ভবতী অবস্থায় মাসিক হয় কেন, মাসিকের কত দিন পর
সহবাস করলে গর্ভবতী হয় না, মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে,
প্রেগনেন্ট হওয়ার কতদিন পর মাসিক বন্ধ হয় ও মাসিকের কতদিন পর গর্ভধারণ হয়
ইত্যাদি বিষয়ে।
আশাকরি আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের উপকারে আসবে। এরকম আরো অনেক তথ্য জানতে
www.twestinfo.com পেজে চোখ রাখুন এবং
ভালো লাগলে কমেন্টের মাধ্যমে মতামত প্রকাশ করুন।
টুইস্ট ইনফোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।প্রতিটি কমেন্টের উত্তর দেয়া হয়।
comment url