ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার ও চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার

খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয় আদিম যুগ থেকে রূপচর্চার জন্য নিম পাতা ব্যবহার করে আসছে। রূপচর্চার জন্য নিম পাতা বিশেষভাবে উপকারী। তাই আপনি কি ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার ও চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে জানতে গুগলে সার্চ করেছেন? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য।
ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার ও চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার
এই আর্টিকেলে আপনি জানতে পারবেন নিম পাতা মুখে দিলে কি হয়, চুলের জন্য নিম পাতার উপকারিতা, নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়, চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার ও ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে। এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি উপরোক্ত বিষয়ে সকল তথ্য জানতে পারবেন। তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার ও চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার

নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

রূপচর্চা কিংবা সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য আদিম কাল থেকেই নিম পাতা নারীদের প্রথম পছন্দ। নিম পাতা ত্বকের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। নিম পাতায় প্রচুর পরিমাণ এর ভেষজ গুণ রয়েছে যা আমাদের ত্বকে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান হিসেবে কাজ করে।
তাই ত্বকের ব্রণ কিংবা দাগ দূর করতে নিমপাতা বিশেষভাবে উপকার করে। তাছাড়া মেছতার দাগ দূর করতেও নিম পাতা ব্যবহার করা যায়। তাই এখন আলোচনা করব নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সমূহ সম্পর্কে। চলুন তাহলে জানা যাক নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়।

  • বেসন ও নিম পাতার প্যাক: বেসন ও নিমপাতা একসঙ্গে ব্যবহার করলে আপনি কিছুদিনের মধ্যেই সুন্দর ত্বক পাবেন। প্রথমেই এক চামচ বেসন ও এক চামচ নিমপাতার পাউডার এ কিছুটা গোলাপজল মিশিয়ে ভালো করে পেস্ট তৈরি করুন। এরপর এটি মুখে বা ঘাড়ে লাগিয়ে রাখুন। ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার ত্বকের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করবে।
  • টক দই ও নিমপাতার প্যাক: ব্রনের জন্য টক দই ও নিমপাতার প্যাক বিশেষভাবে উপকারী। এক চামচ টক দই,এক চামচ নিমপাতার গুঁড়ো ও গোলাপ জল দিয়ে ভালো করে মিক্স করুন। এরপর পরিষ্কার ত্বকে ২০ মিনিটের মতো এই প্যাকটি লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনি সপ্তাহে তিন থেকে চার বার ব্যবহার করতে পারেন।
  • হলুদের গুঁড়ো ও নিম পাতার প্যাক: হলুদ আমাদের ত্বকের দাগ দূর করতে সাহায্য করে। তাছাড়া হলুদে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকায় এটি আমাদের ত্বকের ব্রণ দূর করতেও সাহায্য করে। নিম পাতার রস ও হলুদের গুঁড়ো ভালো করে মিক্স করে ২০ মিনিট ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি আপনার ত্বকের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থেকে রক্ষা করবে।
  • নিম পাতার রস: নিম পাতার রস সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করা যায়। এটি আপনার ত্বকে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল হিসেবে কাজ করবে ফলে ত্বকের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাবেন। তাছাড়া ত্বকের দাগ দূর করতে সাহায্য করবে। নিম পাতার রস ব্রণ দূর করে এবং ত্বকে এলার্জির মাত্রা কমিয়ে দেয়।
  • নিম পাতা ও পেঁপের প্যাক: পেঁপে আমাদের ত্বকে গভীরভাবে ফর্সা করতে সাহায্য করে। নিম পাতার রস ও পেঁপে মিক্স করে আপনি ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। এটি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে পাশাপাশি ত্বকের নতুন কোষ তৈরি করতে সাহায্য করবে।
  • মুলতানি মাটি ও নিমপাতার গুড়ো: এক চামচ নিমপাতার গুঁড়ো এবং এক চামচ মুলতানি মাটির সাথে গোলাপজল মিশিয়ে ভালো করে পেস্ট তৈরি করুন। এটি আপনার ত্বকের ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই ব্যাগটি ত্বকের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করবে এবং ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করবে।
  • নিম পাতা ও লেবুর রস: নিম পাতার রস এর সাথে লেবুর রস মিশিয়ে ১৫ মিনিট ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। এরপর হালকা গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ত্বকের ব্রণ দূর করবে এবং ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে সাহায্য করবে ‌। তবে এই প্যাক ব্যবহারের পূর্বে আপনার জানতে হবে লেবুর রসে আপনার এলার্জি আছে কিনা। সতর্কতার সাথে এই প্যাকটি ব্যবহার করুন।
উপরোক্ত নিয়মগুলো মেনে আপনি নিমপাতা ব্যবহার করলে কিছুদিনের মধ্যেই ত্বকের পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবেন। নিম পাতা আমাদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এজন্য বাহিরের কেনা কেমিক্যাল যুক্ত ক্রিম ব্যবহার না করে নিমপাতা দিয়েও আমরা সহজে ফর্সা হতে পারব। আশাকরি নিমপাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন।

চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার

আমাদের অতি পরিচিত একটি রোগ হল চর্মরোগ। এই রোগটি কম বেশি সকলেরই হয়। চর্মরোগ একটি মারাত্মক রোগ যা এক সময়ে স্কিন ক্যান্সারে পরিণত হয়। এমন মারাত্মক রোগ থেকে আপনি কিভাবে সহজে রক্ষা পাবেন এই বিষয়ে জানাতে চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করব। নিম পাতায় প্রায় ১০০ ভেষজ গুণ রয়েছে।
নিম পাতা বিভিন্ন রোগে উপকারী হিসাবে কাজ করে তেমনি চর্ম রোগের জন্য প্রধান ঔষধ হলো নিম পাতার রস বা নিমপাতা দিয়ে তৈরি কোন ফর্মুলা। চর্ম রোগের কারণে শরীরে বিভিন্ন জায়গায় চুলকানি বা দাদের সৃষ্টি হয়। যা একটি বিরক্তিকর ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করেন। এই চুলকানি বা দাদাদের সমস্যা থেকে আপনি নিমপাতা কিভাবে ব্যবহার করলে রক্ষা পাবেন চলুন তাহলে জানা যাক।
চুলকানি বা দাদাদের রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আপনি সরাসরি নিনপাতার রস ব্যবহার করতে পারেন। আবার নিম গাছের শুকনো ছাল খাওয়ার ফলে ও চর্মরোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। আপনাকে নিম গাছের শুকনো ছাল সংগ্রহ করে এর গুড়ো তৈরি করে নিতে হবে। এরপর এক চামচ গুঁড়ো এক গ্লাস পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রেখে পরে দিন সকালে মধু মিশিয়ে খেয়ে নিবেন।
এটি খাওয়ার ফলে কিছুদিনের মধ্যেই আপনি চর্মরোগ থেকে রক্ষা পাবেন। তাছাড়া নিমপাতার রস খেলেও চর্মরোগ থেকে সহজে রক্ষা পাওয়া যায়। পরিষ্কার কিছু পাতার সংগ্রহ করে ভালো করে ধুয়ে এর রস বের করে নিতে হবে। এরপর প্রতিদিন সকালে এই রস খেতে হবে। যদিও নিম পাতার রস খেতে তিতে এর জন্য আপনি মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এভাবে আপনি চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার করে সহজেই রক্ষা পেতে পারেন। আশা করি চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন।

নিম পাতা মুখে দিলে কি হয়

অনেকেই নিম পাতা মুখে দিলে কি হয় এই সম্পর্কে জানতে প্রায় সময় গুগলে সার্চ করে থাকে। আমরা সকলেই জানি নিমপাতা আমাদের জন্য কত উপকারী। নিম পাতা স্বাস্থ্যের জন্য যেমন উপকারী তেমনি নিম পাতা ব্যবহারের ফলেও ত্বকে বিভিন্ন উপকার লক্ষ্য করা যায়। নিম পাতা মুখে দিলে প্রচুর পরিমাণ এর উপকার পাওয়া যায় যেমন: নিম পাতা মুখে ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে।
নিম পাতায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে যা আমাদের ত্বকের বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। এজন্য আপনি যদি মুখে নিম পাতা ব্যবহার করেন তাহলে এটি মুখ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। তাছাড়া নিম পাতা মুখে ব্যবহার করার ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায় যেমন: ব্রণ,ব্ল্যাকহেডস, তৈলাক্ত ত্বক, চুলকানি ইত্যাদি।
নিম পাতা ব্যবহারের ফলে ত্বকের লোম কূপে লুকিয়ে থাকা ময়লা পরিষ্কার হয়। তাছাড়া নিমপাতা বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহারের ফলে ত্বক ফর্সা হয় এবং বয়সে ছাদ দূর হয়। তাই আমাদের সবাইকে নিমপাতা ব্যবহার করতে হবে। আশাকরি তখন নিম পাতা মুখে দিলে কি হয় এই সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন।

ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার

ত্বকের ব্রণ দূর করার জন্য নিমপাতা বিশেষ ভাবে উপকার করে থাকে। আমরা মূলত ত্বকের ব্রণ দূর করতে নিমপাতা বেশি ব্যবহার করে থাকি। তবে কিছু উপায়ে নিম পাতা ব্যবহার করলে তাড়াতাড়ি ব্রনের সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। চলুন তাহলে জানা যাক ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে।

  • টক দই ও নিম পাতা: টক দই ও নিমপাতায় প্রচুর পরিমাণ এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে। এই অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান আমাদের ত্বকের ভেতর থেকে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। সাধারণত ব্যাকটেরিয়া সংক্রমনের কারণে আমাদের ত্বকে ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। এই ব্রণের সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য টক দই ও নিমপাতার ফেসপ্যাক তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন।
  • নিম পাতার রস: নিম পাতায় এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকায় এটি আপনি সরাসরি ব্যবহারের ফলেও ত্বকে ব্রণের সমস্যা দূর করবে। তাই আপনি নিমপাতার রস বের করে সরাসরি মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে সম্পূর্ণ মুখ পরিষ্কার করে নেন। এটি ব্যবহারের ফলে তাড়াতাড়ি ত্বক থেকে ব্রণ দূর হবে।
  • হলুদ ও নিম পাতা: হলুদ ও নিমপাতা একসঙ্গে ব্যবহারের ফলেও তাকে ব্রণ দূর হয়। হলুদ ও নিমপাতা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে যা আমাদের ত্বককে গভীরভাবে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। ফলে তোকে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ বন্ধ হয়ে যায় এবং ব্রণের সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
উপরোক্ত তিনটি ফেসপ্যাক ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি সহজে ব্রনের সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে পারবেন। ব্রনের জন্য নিম পাতা বিশেষভাবে উপকারী। নিম পাতা ব্যবহারে ত্বক যেমন পরিষ্কার হয় তেমনি ব্রণ এবং ব্রণের দাগ দূর করে। আশা করি ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন।

চুলের জন্য নিম পাতার উপকারিতা

আমরা অনেকেই অল্প বয়সে চুলের নানান ধরনের সমস্যায় ভুগে থাকি। চুল পড়ে যাওয়া, চুলে খুশকি হওয়া, অল্প বয়সে চুল পেকে যাওয়াসহ আরো অনেক ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। এ সকল সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে নিমপাতার উপকারিতা অপরিসীম। নিম পাতায় অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও এন্টি ফাঙ্গাল উপাদান থাকা ফলে আমাদের চুলের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে সহজে রক্ষা করতে পারে।নিম পাতা ব্যবহারের ফলে খুশকি সমস্যা দূর হয়।
তাছাড়া নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে এবং অকালে চুল পেকে যাওয়া থেকেও রক্ষা করেন। নিম পাতা প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে চুলে ব্যবহার করা যায়। চুলের জন্য নিম পাতার উপকারিতা এর কোন কমতি নেই। সরাসরি চুলে নিমপাতার রস কিংবা নিমপাতা বেটে ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া বিভিন্নভাবে হেয়ার প্যাক তৈরি করেও ব্যবহার করতে পারেন। তাই বলা যায় যে চুলের জন্য নিম পাতার উপকারিতা অপরিসীম।

পরিশেষে কথা

নিম পাতায় হাজারো ঔষধি গুন থাকায় বিভিন্নভাবে আমাদের উপকার করে থাকে। ত্বক বা চুলের জন্য নিমপাতা বিশেষ ভাবে উপকারী। তাই আপনারা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নিয়মিত নিম পাতার ব্যবহার করতে পারেন।
নিম পাতার বিভিন্ন ব্যবহার ও উপকারিতা সম্পর্কে জানাতে আজকের আর্টিকেলে প্রকাশ করা হয়েছে নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়, চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার, নিম পাতা মুখে দিলে কি হয়, ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার ও চুলের জন্য নিম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে।
আশাকরি আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের উপকারে আসবে। এমন আরো তথ্য পেতে www.twestinfo.com পেজে চোখ রাখুন এবং কমেন্টের মাধ্যমে আপনাদের মতামত প্রকাশ করুন। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

টুইস্ট ইনফোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।প্রতিটি কমেন্টের উত্তর দেয়া হয়।

comment url