গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন চার্ট ও গর্ভাবস্থায় ৮ মাসে বাচ্চার ওজন
গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে কি হয় প্রিয় পাঠক আপনি কি গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন চার্ট ও গর্ভাবস্থায় ৮ মাসের বাচ্চার ওজন জানতে গুগলে সার্চ করেছেন? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এই আর্টিকেলে আপনারা আরো জানতে পারবেন গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন কত হওয়া উচিত, গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন কত হওয়া উচিত,৪ মাসের বাচ্চার ওজন,৬ মাসের বাচ্চার ওজন,৭ মাসের বাচ্চার ওজন,
গর্ভাবস্থায় ৮ মাসে বাচ্চার ওজন, গর্ভাবস্থায় ৯ মাসে বাচ্চার ওজন ও গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন চার্ট সম্পর্কে। উপরোক্ত সকল বিষয়ে জানার জন্য অবশ্যই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। অজানা এই জটিল প্রশ্নের উত্তর আশা করি আপনাদের মাঝে সহজেই তুলে ধরতে পারবো।
সূচিপত্র: গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন চার্ট ও গর্ভাবস্থায় ৮ মাসে বাচ্চার ওজন
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন কত হওয়া উচিত
গর্ভাবস্থায় একজন মহিলাকে তার ওজন এবং শরীরের প্রতি আলাদা যত্ন নিতে হয়। কারণ গর্ব অবস্থায় গর্ভবতী মহিলার শারীরিক অবস্থার ওপর গর্ভের বাচ্চার শারীরিক গঠন ও বিকাশের বিষয়টি জড়িত থাকে। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাকে তার ওজনের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হয়। একজন গর্ভবতী মহিলাকে অবশ্যই জানতে হবে গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন কত হওয়া উচিত।
শিশুর স্বাভাবিক ওজন ও উচ্চতা ঠিক রাখতে অবশ্যই গর্ভাবস্থায় সঠিক যত্নের প্রয়োজন হয়। গর্ভধারণের প্রায় বিষ সপ্তাহ পর্যন্ত একটি শিশু পা তার পেটের সঙ্গে গুটানো অবস্থায় থাকে। এই সময় শিশুর উপরের অংশ এবং নিচের অংশ পর্যন্ত উচ্চতা লাভ করে। ২০ সপ্তাহ পর থেকে শিশু শারীরিক ভাবে মাথা থেকে পা পর্যন্ত উচ্চতা লাভ করে।
এ ২০ সপ্তাহ পর থেকে আলট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে আপনি বাচ্চার শারীরিক উচ্চতা ওজন সম্পর্কে জানতে পারবেন। বাচ্চা জন্মের পর প্রায় ৩.৫ কেজি ওজনের হয়ে থাকে এবং উচ্চতা প্রায় ৫১ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে। যদিও এটি সকল শিশুর জন্য একই রকম হয় না। তবে ৩.৫ কেজি ওজনের বাচ্চা স্বাভাবিক ওজনের হয়ে থাকে।
আপনি যদি গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন কত হওয়া উচিত এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর খুঁজতে চান তাহলে গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন চার্ট লক্ষ্য করুন। গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন চার্ট এ সঠিক ওজন ও উচ্চতা সম্পর্কে তুলে ধরা হয়েছে।
গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন কত হওয়া উচিত
গর্ভবতী একজন মহিলার কতটুকু ওজন থাকলে তার গর্ভের শিশুর স্বাস্থ্য ভালো হবে এই বিষয়ে অনেক মহিলাদেরই ধারণা নেই। যার ফলে তারা সঠিক শারীরিক যত্ন নেয় না। এতে করে গর্ভের সন্তানের ওপর বিশেষ প্রভাব পড়ে। গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন কত হওয়া উচিত এই সম্পর্কে জানার পূর্বে একজন গর্ভবতী মহিলার ওজন কত সেই বিষয়টি লক্ষ্য করতে হবে।
গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন কত হতে হবে এটি নির্ণয় করা হয় বিএমআই এর মাধ্যমে। বিএমআই সঠিক হলে গর্ভাবস্থায় কতটুকু প্রয়োজনীয় বাড়তি ওজন হতে হবে চলুন এখন জানা যাক। গর্ভবতী মহিলার বিএমআই ১৮ এর কম হলে বুঝতে হবে ওই মহিলার অসাধারণভাবে ওজন কম রয়েছে। সে ক্ষেত্রে বাড়তি ওজন হিসেবে ১৮ থেকে ১৯ কেজি বাড়াতে হবে।
আরো পড়ুন:গর্ভাবস্থায় ফলিক এসিড খাওয়ার নিয়ম
আবার গর্ভবতী মহিলার যদি বিএমআই ২০ থেকে ২৪ এর মধ্যে থাকে তাহলে বুঝতে হবে স্বাভাবিক ওজন রয়েছে। তখন ওই মহিলাকে প্রায় ১৫ থেকে ১৬ কেজি ওজন বাড়াতে হবে। আবার যদি বিএমআই ২৬ থেকে ৩০ এর মধ্যে হয় তাহলে বুঝতে হবে অতিরিক্ত ওজন হয়েছে। তখন ৭ থেকে ১০ কেজি ওজন বাড়ালেই যথেষ্ট।
আবার গর্ভবতী মহিলার যদি ৩০ এর বেশি বিএমআই থাকে তাহলে বুঝতে হবে অতিরিক্ত ওজনের থেকেও বেশি যায় স্থূলতাতে পরিণত হয়েছে। তখন ওই মহিলাকে গর্ভবতী অবস্থায় ৫ থেকে ৯ কেজি ওজন বাড়ালে যথেষ্ট হবে। একজন গর্ভবতী মহিলার ওজন অবশ্যই ৫০ থেকে বেশি হতে হবে। ৫০ কেজি ওজন অস্বাভাবিক কম ওজনের মধ্যে পড়ে।
আরো পড়ুন:গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির উপকারিতা
একজন গর্ভবতী মহিলার তার সন্তানের সুস্থতার জন্য ওজনের দিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে। পরিমাণ মতো খাবার এবং পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন কম হলে শিশুর নানান ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। ওজন কম থাকার কারণে জন্মের পর শিশুর কিছু জটিলতা দেখা দিতে পারে। জটিলতাগুলো হল:
- জন্মের পর শিশু মায়ের বুকের দুধ পান করতে পারবে না।
- শিশু খুব সহজেই অসুখে আক্রান্ত হবে।
- ওজন কম থাকার কারণে শারীরিক গঠনের ত্রুটি থাকতে পারে।
- জন্মের পর শিশুর শরীরে তাপমাত্রা কমে যাবে।
- শ্বাসকষ্ট ও ফুসফুসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- মানসিক বিকাশে বাধাগ্রস্থ হতে পারে।
- প্রাপ্তবয়স্ক হলে নানান ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে পারে যেমন: ডায়াবেটিস ক্যান্সার স্ট্রোক ও হাঁপানি ইত্যাদি।
উপরোক্ত বিষয়গুলো লক্ষ্য রেখে অবশ্যই একজন গর্ভবতী মহিলাকে তার ওজনের দিকে বিশেষ যত্ন নিতে হবে। ওজন অতিরিক্ত কম থাকলে তা সঠিক ওজনের নিতে হবে এবং অতিরিক্ত ওজন বেশি হলে তাকে কমাতে হবে। আশা করি গর্ব অবস্থায় মায়ের ওজন কত হওয়া উচিত সেই সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন।
৪ মাসের বাচ্চার ওজন
র্ভাবস্থায় গর্ভবতী মহিলাকে তার বাচ্চার প্রতি মাসের ওজনের উপর খেয়াল রাখতে হয়। তাই অনেকেই জানতে চায় চার মাসের বাচ্চার ওজন কত। একটি চার মাস বয়সের বাচ্চার ওজন ৬ থেকে ৭ কেজির মত হতে হবে। তবে সকল বাচ্চার ক্ষেত্রে এরকম ওজন না হওয়াটাই স্বাভাবিক। ওজনের কম বেশি হওয়ার কারণ হতে পারে ব্রনের সঠিক ভাবে বিকাশ না পাওয়া। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি একটি ৪ মাসের বাচ্চার ওজন জানতে চান সে ক্ষেত্রে ৬ বা ৭ কেজি ওজন হবে আদর্শ ওজন।
৬ মাসের বাচ্চার ওজন
একটি ৬ মাসের বাচ্চার ওজন ঠিক আছে কিনা সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। বাচ্চার জন্মের পর ৬ মাস হলে সে বাচ্চার মানসিক ভাবে এবং শারীরিকভাবে বিশেষ পরিবর্তন ও বিকাশ ঘটে। সেক্ষেত্রে বাচ্চার ওজন ঠিক আছে কিনা সেদিকে ও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। একটি ৬ মাসের বাচ্চার ওজন ৮ থেকে ১০ কেজির মধ্যে হতে হবে। কিছু কিছু বাচ্চার ক্ষেত্রে এর কম হতে পারে তবে এটি একদমই স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু অতিরিক্ত কমে গেলে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৭ মাসের বাচ্চার ওজন
৭ মাসের বাচ্চার ওজন কেমন বৃদ্ধি পাবে না। সেই ক্ষেত্রে একটি ৭ মাসের বাচ্চার ওজন ৭ থেকে ১০ কেজির মধ্যে হতে পারে। অবশ্যই একটি বাচ্চাকে তার ওজন ৭ থেকে ১০ কেজির মধ্যে রাখতে হবে যখন বাচ্চাটির বয়স ৭ মাস হয়ে যাবে। এ সময় বাচ্চাকে মায়ের দুধের পাশাপাশি তরল জাতীয় খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করতে হবে।
গর্ভাবস্থায় ৮ মাসে বাচ্চার ওজন
গর্ভাবস্থায় একটি বাচ্চার ওজন ঠিক আছে কিনা সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন ঠিক না থাকলে তার মানসিক ও শারীরিক বিকাশে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। গর্ভাবস্থায় ৮ মাসের বাচ্চার ওজন প্রায় ১০০০ গ্রামের বেশি হতে হবে। বাচ্চার ওজন যদি ১০০০ গ্রামের বেশি হয় বা এর কাছাকাছি অবস্থায় থাকে তাহলে বুঝতে হবে বাচ্চাটির সঠিক ওজন হয়েছে। আশা করি গর্ভাবস্থায় ৮ মাসে বাচ্চার ওজন কত হবে আপনারা জানতে পেরেছেন।
গর্ভাবস্থায় ৯ মাসে বাচ্চার ওজন
গর্ভাবস্থার সময় ৯ মাসে একটি বাচ্চা সম্পূর্ণ ভাবে শারীরিক গঠন হয়ে যায়। তাই তখন বাচ্চার ওজন কিছুটা বেশি হতে হয়। গর্ভাবস্থায় ৯ মাসে বাচ্চার ওজন প্রায় ২৬০০ থেকে ২৮০০ গ্রামের মধ্যে হতে হয়। তবে সকল বাচ্চার ক্ষেত্রে এমন ওজন না হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে এর থেকে কম ওজনের হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হবে। আশা করি গর্ভাবস্থায় ৯ মাসের বাচ্চার ওজন কত হবে আপনারা জানতে পেরেছেন।
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন চার্ট
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন ঠিক আছে কিনা এদিকে আমাদের বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে। সাধারণত গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন ও বৃদ্ধি ২০ সপ্তাহের পর থেকে হয়ে থাকে। ২০ সপ্তাহ পর্যন্ত শিশুর পাতার পেটের সাথে গোটানো অবস্থায় থাকে এ সময় উপরের অংশ এবং নিচের অংশে শিশুর উচ্চতা বৃদ্ধি পায়। ২০ সপ্তাহ পর থেকে শিশু স্বাভাবিকভাবে হাত ও মাথার দিকের উচ্চতা ও ওজন বৃদ্ধি হতে শুরু করে।
এরকম ৪০ সপ্তাহ পর্যন্ত শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ হতে থাকে। তবে সকল শিশুর ওজন একই রকম হয় না কারণ সবার ক্ষেত্রে ভ্রূণের বিকাশ একরকম থাকে না। তাই গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজনের ওপর ধারণা করে আপনাদের মাঝে গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন চার্ট তুলে ধরা হয়েছে। গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন চার্ট দেখতে নিচে লক্ষ্য করুন।
পরিশেষে কথা
একজন গর্ভবতী মহিলার গর্ভাবস্থায় তার শরীরে দিকে বিশেষ যত্নশীল হতে হয়। তখন ওজনের দিকেও বিশেষ খেয়াল রাখতে হয়। গর্ভাবস্থায় মায়ের ও বাচ্চার সঠিক ওজন সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের উপকারে আসবে।
আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা জানতে পেরেছেন গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন কত হওয়া উচিত, গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন কত হওয়া উচিত,৪ মাসের বাচ্চার ওজন,৬ মাসের বাচ্চার ওজন, গর্ভাবস্থায় ৮ মাসে বাচ্চার ওজন ও গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন চার্ট সম্পর্কে। এমন আরো তথ্য পেতে www.twestinfo.com পেজে চোখ রাখুন এবং কমেন্টের মাধ্যমে মতামত প্রকাশ করুন।
খুব উপকারি একটি পোস্ট । এমন তথ্য জানানোর জন্য ধন্যবাদ , এরকম বাংলা পোস্ট পড়তে ভিসিট করতে পারেন https://www.pluspointit.com \\\\\\ধন্যবাদ