সাদা স্রাব হলে কি মাসিক হয়-মাসিকের রক্ত কালো হলে করনীয়
ইসলামে মাসিকের কতদিন পর সহবাস করা যায়
প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব সাদা স্রাব হলে কি মাসিক হয়,
মাসিকের রক্ত কালো হলে করনীয়, বন্ধু মাসিক চালু করার উপায়, মাসিকের রক্ত কম হলে
কি খেতে হবে, মাসিকের ব্যথা কমানোর উপায়, অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার
কারণ ও বাচ্চা নষ্ট করার কতদিন পর মাসিক হয় ইত্যাদি বিষয়ে।
আপনি যদি মাসিক সম্পর্কে জানার জন্য গুগলে সার্চ করে থাকেন তাহলে আজকের
আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এই আর্টিকেলের মাসিক সম্পর্কে সকল তথ্য সহজেই আপনাদের
সাথে ব্যাখ্যা করা হবে । আশা করি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি আপনি মনোযোগ সহকারে
পড়বেন।
সূচিপত্র: সাদা স্রাব হলে কি মাসিক হয়-মাসিকের রক্ত কালো হলে করনীয়
মাসিকের রক্ত কম হলে করনীয়
মাসিকে নানান ধরনের সমস্যা আজকালকার মেয়েদের যেন একটি নিত্যদিনের সমস্যা হয়ে
দাঁড়িয়েছে। এত সমস্যার মাঝখানে মাসিকের রক্ত কম হওয়াও একটি। আমাদের অনেকের
মাসিকের সময় রক্ত কম হয়ে থাকে। এতে করে আমরা চিন্তিত হয়ে পড়ে কেন এমন হচ্ছে।
তাই আজকের আলোচনা করব মাসিকের রক্ত কম হলে করনীয় কি। চলুন তাহলে এই বিষয়
সম্পর্কে জানা যাক। মাসিকের রক্ত কম হওয়ার পেছনে কিছু কারণ রয়েছে সেগুলো হলো:
- ওজন কমে যাওয়া।
- মাসিক বা পিরিয়ড বন্ধ করার ঔষধ খাওয়া।
- শরীরের রক্তস্বল্পতা থাকা।
- শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো।
- হরমোনাল কোন সমস্যা।
- অতিরিক্ত স্ট্রেস নেওয়া।
- অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম করা।
- পর্যাপ্ত পরিমাণের খাবার না খাওয়া।
উপরোক্ত সমস্যাগুলোর কারনে আপনার মাসিকের রক্ত কম হতে পারে। এ সমস্যা থেকে রেহাই
পাওয়ার জন্য আপনাকে শারীরিক দিক দিয়ে একটু যত্নশীল হতে হবে। নিয়মিত সুষম খাবার
এবং পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। মাসিকের রক্ত কম হলে আমিষ জাতীয় খাবার খেতে হবে
যেমন: মুরগির বা গরুর কলিজা, মাছ ইত্যাদি। তাছাড়া সবুজ শাক-সবজি ও পর্যাপ্ত
পরিমাণে খেতে হবে।
অতিরিক্ত স্ট্রেস নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুমাতে হবে।
শরীরের ওজনের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। স্বাভাবিকের চেয়ে ওজন কম হলে মাসিকের সময়
কম রক্ত হতে পারে। তাই আপনার ওজন ঠিক আছে কিনা সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
পর্যাপ্ত পরিমাণের খাবার খেতে হবে এবং অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম করা থেকে বিরত
থাকতে হবে।
এ সকল দিকে খেয়াল রাখার পরও যদি আপনার মাসিকের রক্ত কম হয় তাহলে অবশ্যই
ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার কোন হরমোন আর সমস্যা থাকতে পারে যার
কারণে মাসিকের রক্ত কম হতে পারে। আশা করি মাসিকের রক্ত কম হলে করণীয় কি সে
সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন।
মাসিকের সময় পেটে ব্যাথা হলে করণীয়
মাসিকের সময় পেটে ব্যথা যেন সকল মেয়ের একটি সমস্যা। এই পেটে ব্যথা হওয়ার কারণে
আমরা মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ি। অনেকের ক্ষেত্রে মাসিকের সময় পেটে
ব্যথা তীব্র ব্যথার মতো হয়ে থাকে। পেটে ব্যথা হওয়ার কারণে আমাদের মেজাজ খিটখিটে
হয়ে থাকে, মাথাব্যথা, কোমর ব্যথা, হাত পা জ্বালাপোড়া সহ আরো নানান ধরনের সমস্যা
হতে পারে।
তাই আমরা সবাই মাসিকের সময় পেটে ব্যথা হলে করণীয় কি সেই সম্পর্কে জানতে বেশ
কৌতূহল প্রকাশ করি। তাই আজকে আমি আলোচনা করব মাসিকের সময় পেটে ব্যথা হলে করণীয়
কি।
- মাসিকের সময় পেটে ব্যথা কমাতে প্রথমত আপনি গরম পানির সেঁক নিতে পারেন। গরম পানির সেঁক নেওয়ার কারণে আপনার পেটে কিছুটা স্বস্তি অনুভূতি হবে।
- মাসিকের সময় পেটে ব্যথা কমাতে এলোভেরার রস বেশ কার্যকরী। তাই আপনার যদি মাসিকের সময় তীব্র ব্যথা অনুভূত হয় তাহলে অ্যালোভেরার রসের জুস বানিয়ে খেতে পারেন।
- পানি আমাদের পেটের জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে। তাই মাসিকের সময় পেটে ব্যথা কমানোর জন্য আপনাকে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে।
- পিরিয়ডের সময় পেটে ব্যথা কমাতে আপনি কাঁচা পেঁপে খেতে পারেন। কাঁচা পেঁপে পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে বেশ কার্যকরী।
- মাসিকের সময় পেটে ব্যথা কমাতে পেটে তেল এর মালিশ করতে পারেন। তেলের মালিশ করার কারণে পেটে কিছুটা শান্তি অনুভূত হবে এবং ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে।
- ব্যায়াম আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাই আপনার যদি পিরিয়ড বা মাসিকের সময় পেটে ব্যথা হয় তাহলে নিয়মিত ব্যায়াম করতে পারেন। ব্যায়াম পেটে ব্যথা কমাতে বেশ সাহায্য করবে।
- এক টুকরো আদা দিয়ে চা বানিয়ে গরম গরম খেতে পারেন। এতে করে পেটে ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে।
উপরোক্ত উপায়গুলো মেনে আপনি সহজে মাসিকের সময় পেটে ব্যথা কমাতে পারবেন। এমন
অসহ্যনিও ব্যাথা থেকে রক্ষা পেতে অবশ্যই উপরোক্ত উপায় গুলো মেনে চলুন। আশা করি
মাসিকের সময় পেটে ব্যথা হলে করণীয় কি আপনারা জানতে পেরেছেন।
বন্ধ মাসিক চালু করার উপায়
আমাদের মধ্যে এমন অনেক মেয়ে রয়েছে যাদের অনিয়মিত মাসিক হয়ে থাকে। আমরা জানি
একজন মেয়ে প্রতিমাসে পাঁচ থেকে ছয় দিনের মতো মাসিক হয়ে থাকে। প্রতি মাসে মাসিক
না হলে তখন তাকে অনিয়মিত মাসিক বলা হয়। তাই অনিয়মিত মাসিক বা বন্ধ মাসিক চালু
করার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব। চলুন তাহলে জানাজাক বন্ধ মাসিক চালু করার উপায়
সমূহ।
- বন্ধ মাসিক চালু করার জন্য প্রথমত আমরা টক জাতীয় ফল খেতে পারি। টক জাতীয় ফলগুলোর মধ্যে রয়েছে তেঁতুল, জলপাই, কমলা ইত্যাদি। বেশি বেশি টক খাওয়ার ফলে আপনার বন্ধ মাসিক তাড়াতাড়ি চালু হয়ে যাবে।
- আদা, বন্ধ মাসিকে চালু করতে বেশ কার্যকর। এক টুকরো আদা আপনি নিয়মিত খেতে পারেন এতে করে আপনার অনিয়মিত মাসিক ঠিক হয়ে যাবে। তাছাড়া আদা দিয়ে গরম পানি এবং চাও খেতে পারেন।
- অ্যাপেল ফিডার ভিনেগার অনিয়মিত মাসিক হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারবে। প্রতিদিন এক টেবিল চামচ করে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে করে অন্যান্য শারীরিক সমস্যা থেকে এবং অনিয়মিত মাসিক হওয়া থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
- অনিয়মিত মাসিককে নিয়মিত করতে চাইলে আপনি তিল খেতে পারেন। তিল দিয়ে তৈরি এমন কোন খাবার নিয়মিত তৈরি করে খাবেন এতে করে আপনার বন্ধ মাসিক তাড়াতাড়ি চালু হয়ে যাবে।
- ব্যায়ামের মাধ্যমেও বন্ধ মাসিক চালু করা সম্ভব। আপনার যদি অনিয়মিত মাসিক হয়ে থাকে বা দীর্ঘদিন যাবত আপনার মাসিক বন্ধ হয়ে গেছে তাহলে আপনি নিয়মিত ব্যায়াম করতে পারেন। এটি আপনার অনিয়মিত মাসিকে ঠিক করতে সাহায্য করবে।
বন্ধ মাসিক চালু করার জন্য অবশ্যই আপনাকে সচেতন ভাবে জীবন যাপন করতে হবে।
অপরিষ্কার খাবার এবং স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এমন খাবার থেকে নিজেকে বিরত রাখতে
হবে। আশা করি বন্ধ মাসিক চালু করার উপায় আপনারা জানতে পেরেছেন।
মাসিকের রক্ত কম হলে কি খেতে হবে
মাসিকে কম রক্ত হলে আমাদের নিয়ম করে কিছু খাবার খেতে হবে যা সহজেই আমাদের মাসিক
কে ঠিক করে দিবে। মাসিকের রক্ত কম হলে কি খেতে হবে আজকে এই বিষয়ে আলোচনা করব।
মাসিকের রক্ত কম হওয়ার কারণ হলো আমাদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি রয়েছে। আবার অনেক
সময় রক্তস্বল্পতার কারণেও মাসিকের সময় রক্ত কম হয়।
আয়রনের ঘাটতি পূরণ করার জন্য আমাদেরকে মাছ, মাংস, ডিম, কলিজা খেতে হবে। তার সাথে
বিভিন্ন ধরনের সবুজ শাকসবজি যেমন: কচু শাক, পুঁইশাক, পালং শাক ইত্যাদি খেতে হবে।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া প্রয়োজন। খেজুর আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত
উপকারী একটি খাবার। তাই আপনার যদি শরীরে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয় তাহলে আপনি
নিয়মিত খেজুর খেতে পারেন।
তাছাড়া ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার যেমন: কমলা, মালটা, তেতুল, আমড়া ইত্যাদি খেতে
হবে। তাছাড়া খাদ্য তালিকায় লাল মাংস রাখতে পারেন যা আপনার শরীরের রক্তস্বল্পতা
দূর করবে। অনেক সময় শরীরে পানি স্বল্পতা দেখা দিলেও মাসিকের সময় রক্ত কম হয়।
সেজন্য আপনি পানি সমৃদ্ধ ফল যেমন: শসা, তরমুজ, বাঙ্গি ইত্যাদি খেতে পারেন।
নিয়মিত এ সকল খাবার কারণে মাসিকের রক্ত স্বাভাবিক হতে পারে। আশা করি মাসিকের
রক্ত কম হলে কি খেতে হবে সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
ঘন ঘন মাসিক হওয়ার কারণ কি
নারীদের শারীরিক অবস্থার কারণেও অনেক সময় ঘন ঘন মাসিক হতে পারে। এটি একেক বয়সের
নারীদের একেক রকমের হতে পারে। তবে ঘন ঘন মাসিক হওয়ার কিছু কারণ রয়েছে। যা
আমাদের একেবারেই এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। চলুন তাহলে জেনে নেই ঘন ঘন মাসিক হওয়ার
কারণ কি।
- ঘনঘন মাসিক হওয়ার কারণ হতে পারে অতিরিক্ত পিল গ্রহণ করা।
- অতিরিক্ত ওজন বেড়ে গেলেও ঘন ঘন মাসিক হতে পারে।
- একজন নারী যদি সন্তানকে বুকের দুধ পান করায় তাহলে সেজন্য ঘন ঘন মাসিক হতে পারে।
- ডিম্বাশয় এর অপরিপক্কতার কারণেও ঘন ঘন মাসিক হয়।
- একজন অবিবাহিত নারীর ঘন ঘন মাসিক হওয়ার পেছনে একটি কারণ হল জন্ম নিয়ন্ত্রণ ঔষধ খাওয়ানো।
- হরমোনাল সমস্যার কারণেও ঘন ঘন মাসিক হয়।
- জরায়ুতে টিউমার, পলিপ বা জরায়ু প্রদাহ সৃষ্টি হলে ঘন ঘন মাসিক হতে পারে।
- থাইরয়েডের সমস্যা থাকলেও ঘন ঘন মাসিক হয়।
- অতিরিক্ত স্ট্রেস নেওয়ার কারণেও ঘনঘন মাসিক হয়।
- পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুম না হলে ঘন ঘন মাসিকের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
উপরোক্ত সমস্যাগুলোর কারনে ঘন ঘন মাসিক হতে পারে। তাছাড়া আপনার যদি আরও অন্যান্য
লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে কমেন্টের মাধ্যমে শেয়ার করুন। আশা করি ঘনঘন মাসিক হওয়ার
কারণ কি আপনারা জানতে পেরেছেন।
মাসিকের রক্ত কালো হলে করনীয়
আমাদের অনেক সময় মাসিকের রক্ত কালো রঙের হয়ে থাকে। তখন রক্ত দেখে আমাদেরকে
স্বাভাবিক হতে হবে নাকি চিন্তিত হতে হবে সেই বিষয়টি আমরা বুঝতে পারিনা। তাই আজকে
আমি আলোচনা করব মাসিকের রক্ত কালো হয় কেন এবং মাসিকের রক্ত কালো হলে করণীয় কি।
মাসিকের রক্ত বিভিন্ন রং এর হতে পারে।
যদি আপনি জানতে চান মাসিকের রক্ত কালো হয় কেন তাহলে বলবো মাসিকে শেষের দিকে
রক্তের রং কালো হতে পারে। যা একদমই স্বাভাবিক একটি বিষয়। তখন রক্তস্রাব হয় এর
জন্য রক্তের রং কিছুটা কালচে রঙের হয়ে থাকে। তবে আপনার যদি মাসিকের প্রথম থেকে
শেষ পর্যন্ত রক্তের রং কালো হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে অবশ্যই গাইনোকোলিস্ট দেখাতে
হবে।
তাছাড়া আপনারা বাড়িতে কিছু উপায় মেনে এই সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
মাসিকের রক্ত কালো হলে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন। তাছাড়া পানীয়
সমৃদ্ধ খাবারও খেতে পারেন। যদিও মাসিকের রক্ত কালো হওয়া একেবারেই স্বাভাবিক তাই
আপনাকে তেমন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে না। আশা করি মাসিকের রক্ত কালো হলে করনীয় কি তা বুঝতে পেরেছেন।
সাদা স্রাব হলে কি মাসিক হয়
আমরা অনেক সময় লক্ষ্য করে দেখি যে মাসিক হওয়ার কিছুদিন আগ থেকে সাদা স্রাব যেতে
থাকে। তখন আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে সাদা স্রাব কেন যায় আর সাদা স্রাব হলে কি
মাসিক হয় নাকি। আসলে এটি স্বাভাবিক একটি বিষয় সাদা স্রাব হলে কিছুদিনের মধ্যেই
আপনার মাসিক হতে পারে। মাসিক শুরু হওয়ার এক থেকে দুই বছর আগে থেকেই সাদা স্রাব
যাওয়া শুরু হয়।
যা স্বাভাবিকভাবে আপনার মাসিক বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত চলতেই থাকবে। সুতরাং
বলা যায় যে সাদা স্রাব হলে মাসিক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যদি সাদা স্রাবের রং এবং
গন্ধয়ের কিছুটা পরিবর্তন মনে হয় তাহলে অবশ্যই আপনাকে সঠিক চিকিৎসা নিতে হবে।
আশা করি সাদা স্রাব হলে কি মাসিক হয় কিনা সেই সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।
অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ
অনেক সময় অবিবাহিত মেয়েদের ক্ষেত্রেও মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে। যা একটি
স্বাভাবিক বিষয় নয়। মাসিক বা পিরিয়ড হওয়া একটি মেয়ের জীবনে অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস। তাই অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়া কখনোই একটি
স্বাভাবিক বিষয় হতে পারে না। অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ রয়েছে
সেগুলো হলো অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন, অতিরিক্ত ডায়েট করা, হরমোনাল সমস্যা,
পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ না করা ইত্যাদি।
অনেক অবিবাহিত মেয়ে রয়েছে যারা সৌন্দর্যের জন্য অতিরিক্ত ডায়েট করে
থাকে। যার ফলে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া একেবারেই কমিয়ে দেয়। এতে করে শরীরে নানান
ধরনের জটিলতা দেখা। এই জটিলতার কারণে মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আবার অনেক
মেয়েদের জন্মগতভাবে হরমোনাল সমস্যা থাকে যার কারণে মাসিক হয় না।
সে ক্ষেত্রে চিকিৎসার মাধ্যমেও তা ঠিক করা সম্ভব। তাই মাসিক যেন বন্ধ না হয়
সেজন্য প্রতিটি মেয়েকে পর্যাপ্ত পরিমাণের খাবার খেতে হবে এবং শরীরের দিকে
যত্নশীল হতে হবে। আশা করি অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ আপনার বুঝতে
পেরেছেন।
সিজারের কতদিন পর মাসিক হয়
বাচ্চা হওয়ার সময় অনেকেরই জটিলতার কারণে সিজারে ডেলিভারি করতে হয়। তাই যারা
সিজার করে থাকে তাদের মনে একটি কমন প্রশ্ন হল সিজারের কতদিন পর মাসিক হয়। এই
প্রশ্নের উত্তরে বলব সিজার করার পর কিছুটা রক্ত যেতে পারে।
স্বাভাবিক মাসিক হওয়ার জন্য প্রায় ৫ সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে। এই সময়টা
সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনি শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন নাকি দুধের পাশাপাশি
ফর্মুলা খাওয়াচ্ছেন। আশা করি সিজারের কতদিন পর মাসিক হয় আপনারা জানতে পেরেছেন।
বাচ্চা নষ্ট করার কতদিন পর মাসিক হয়
বাচ্চা নষ্ট করার কতদিন পর মাসিক হয় এই প্রশ্ন সকলেরই জানতে ইচ্ছে। বাচ্চা নষ্ট
বা মিসক্যারেজ হলে একজন নারী কিছুটা রক্তপাত হতে পারে। তবে স্বাভাবিক মাসিক বা
পিরিয়ড হওয়ার জন্য প্রায় এক থেকে দুই মাস লেগে যায়।
যদিও এটি সকল নারীর ক্ষেত্রে একই নয়। কোন কোন নারীর কিছুটা আগে স্বাভাবিক মাসিক
শুরু হয়ে যায় আবার কোন কোন নারীর ক্ষেত্রে এর থেকেও বেশি সময় লাগে। যদি দুই
মাসের বেশি সময় লাগে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ
করতে হবে। আশাকরি বাচ্চা নষ্ট করার কতদিন পর মাসিক হয় আপনারা জানতে পেরেছেন।
পরিশেষে কথা
মাসিক একটি মেয়ের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই প্রতিটি মেয়েকে খেয়াল রাখতে
হবে যে তার নিয়মিত মাসিক হচ্ছে কিনা এবং মাসিকের রক্ত কি রকম। তাই আজকের
আর্টিকেলে সাদা স্রাব হলে কি মাসিক হয় এবং মাসিকের রক্ত কালো হলে করনীয় কি সে
সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা আরো অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। এমন আরো
অনেক তথ্য পেতে www.twestinfo.com পেজে
চোখ রাখুন এবং কমেন্টের মাধ্যমে আপনাদের মতামত প্রকাশ করুন।
টুইস্ট ইনফোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।প্রতিটি কমেন্টের উত্তর দেয়া হয়।
comment url