সরকারি ভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায় ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
মালদ্বীপে ভিসার ধরন ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলে সরকারি ভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায়, সরকারি ভাবে ইউরোপ
যাওয়ার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ইউরোপের কোন দেশের ভিসা সহজে পাওয়া যায়,
বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায়,ইউরোপের ভিসা করতে কত টাকা লাগে ইত্যাদি
বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
তাই আপনি যদি সরকারি ভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। আশা করি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার
মাধ্যমে আপনি সরকারি ভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায় গুলো জানতে পারবেন।
সূচিপত্র: সরকারি ভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায় ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
ভূমিকা
ইউরোপ আমাদের কাছে একটি স্বপ্নের শহর। ইউরোপে যাওয়ার জন্য বছরে প্রায় অনেক
মানুষ প্রচুর চেষ্টা করে। কিন্তু এত চেষ্টার পরেও অনেকেই ইউরোপ যাওয়ার ভিসা পায়
না। আবার অনেক সময় দেখা যায় ভুয়া দালাল এর কাছে পড়ে অনেক টাকা নষ্ট হয়
কিন্তু ইউরোপ যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয় না।
তাই আজকের আর্টিকেলে সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং সুরক্ষিত মাধ্যমে আপনারা কিভাবে ইউরোপ
যাবেন সেই সম্পর্কে অর্থাৎ সরকারি ভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব।
সরকারি ভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায়
প্রতিবছর প্রায় অনেক মানুষ ইউরোপ যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ করে থাকে। কিন্তু এর মধ্যে
অনেকেই রয়েছে যারা ইউরোপ যাওয়ার সহজ উপায় সম্পর্কে জানেনা। তেমনি সরকারিভাবে ও
ইউরোপ যাওয়া যায়। যদিও সরকারি ভাবে তেমন সহজ করে ইউরোপের ভিসা পাওয়া যায় না
এর জন্য আপনাকে কিছু নিয়ম মানতে হবে।
সরকারিভাবে ইউরোপ যাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে সরকারের প্রদানকৃত কিছু নিয়ম মেনে
আবেদন করতে হবে। প্রথমেই জানা যাক সরকারিভাবে ইউরোপ কত ধরনের ভিসা প্রদান করে।
সরকারিভাবে ইউরোপ সাধারণত তিন ধরনের ভিসা প্রদান করে থাকে।
- স্টুডেন্ট ভিস
- শ্রমিক ভিসা
- চাকরির ভিসা
স্টুডেন্ট ভিসা: স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে শুধুমাত্র অধ্যায়নরত ছেলে বা
মেয়ে আবেদন করতে পারবে। স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে যদি ইউরোপ যান তাহলে আপনি
পড়ালেখার সাথে সাথে বিভিন্ন ধরনের চাকরি ও করতে পারবেন। তাই আমাদের দেশে
বেশিরভাগ সময়ই প্রতিটি স্টুডেন্টের প্রথম পছন্দ থাকে স্টুডেন্ট ভিসা। তবে
স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আপনাকে আইএলটিএস করতে হবে। আইএলটিএস ব্যতীত আপনি স্টুডেন্ট
ভিসার জন্য অ্যাপ্লিকেশন করতে পারবেন না।
শ্রমিক ভিসা: শ্রমিক ভিসা সাধারণত ইউরোপে গিয়ে কৃষি কাজ করার জন্য আবেদন
করে থাকে।এ ভিসা সাধারণত একজন ইউরোপ বসবাসকারী ব্যক্তির এপ্রুভাল এর মাধ্যমে
পেয়ে যাবেন। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি ইউরোপে কৃষি কাজ করতে চান তাহলে এই ভিসার জন্য
আবেদন করতে পারেন।
চাকরির ভিসা: চাকরির ভিসা সাধারণত আমরা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নামেও চিনে
থাকি। এই ভিসা কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য আবেদন করলে এবং ওই প্রতিষ্ঠান এপ্রুভ
করলে আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেয়ে যাবেন। ওয়ার্ক পারমিট ভিসাটি একটি
শক্তিশালী এবং ক্ষমতা সম্পন্ন ভিসা যা আপনাকে ইউরোপে বাসিন্দা করতে বেশ সাহায্য
করবে।
আশা করি সরকারি ভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায় সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন। উপরোক্ত
কোন ভিসাটি আপনার কাছে সুবিধা জনক মনে হয় সেই ভিসা নিয়ম মেনে আপনি আবেদন করতে
পারেন। অবশ্যই আবেদনের পূর্বে ভিসার খরচ সম্পর্কে মাথায় রাখবেন।
সরকারি ভাবে ইউরোপ যাওয়ার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
আপনি ইউরোপের যে কোন কান্ট্রিতেই যান না কেন এর জন্য আপনার বিশেষ কিছু কাগজপত্রের
প্রয়োজন হবে। এ সকল কাগজপত্র অবশ্যই আপনাকে নিয়ম মেনে পূরণ করতে হবে এবং
প্রতিটি কাগজে সঠিক তথ্য থাকতে হবে।
ভুল তথ্য যুক্ত কাগজ যদি আপনি ভিসার আবেদনের জন্য সংযুক্ত করেন তাহলে আপনার ভিসা
বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। চলুন তাহলে জানা যাক সরকারিভাবে ইউরোপ যাওয়ার
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো কি কি।
- ভিসার জন্য প্রথমে আপনাকে দুই কপি রঙিন ছবি দিতে হবে। ছবিগুলো আপনার সাম্প্রতিক ছবি হতে হবে এবং পেছনের ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা হতে হবে।
- ছয় মাসের মেয়াদ সম্পূর্ণ পাসপোর্ট জমা দিতে হবে। আপনার যদি বাংলাদেশী পাসপোর্ট হয় তাহলে অবশ্যই অন্য দেশের ভ্রমণ বা অন্যান্য ভিসা সংযুক্ত থাকতে হবে।
- ইউরোপে আপনার খরচ বহন করতে পারবেন কিনা সেজন্য অন্তত ৩০ হাজার ইউরোর স্বাস্থ্য বীমার প্রয়োজন হবে।
- আপনি যে দেশের নাগরিক ওই দেশে নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র প্রয়োজন হবে। যদি বাংলা লিখা থাকে তাহলে অবশ্যই তার সাথে ইংরেজি অনুবাদের কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে।
- প্রতিটি কাগজপত্র সঠিক তথ্য এবং সত্য হতে হবে। প্রতিটি কাগজের মূল কবীর সাথে একটি করে ফটোকপি ও সংযুক্ত করতে হবে।
উপরোক্ত কাগজপত্র গুলো সঠিক নিয়ম মেনে যদি আপনি আবেদন করেন তাহলে সহজেই ইউরোপের
ভিসা পেয়ে যেতে পারেন। আশা করি সরকারি ভাবে ইউরোপ যাওয়ার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন।
ইউরোপের কোন দেশের ভিসা সহজে পাওয়া যায়
বর্তমান সময়ে ইউরোপের কিছু কিছু দেশে আবেদন করার মাধ্যমে ভিসা প্রদান করা হয়।
সে সকল ইউরোপীয় দেশগুলোতে যেতে আপনার কিছু অর্থ খরচ হতে পারে তবে আপনি সহজে
নিশ্চিন্তে ভিসা পেয়ে যাবেন। ইউরোপের যে দেশগুলোর ভিসা সহজে পাওয়া যায় সেই
দেশগুলো হলো পর্তুগাল ফ্রান্স মালটা সুইজারল্যান্ড নেদারল্যান্ড হাঙ্গেরি
লিথুনিয়া লাটভিয়া ইত্যাদ।
এ সকল দেশগুলোর মধ্যে আপনি যেকোনো ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং সহজেই সে
ভিসা গুলো আপনাকে প্রদান করা হবে। এই সকল দেশগুলোর মধ্যে যদি আপনি ভিসা করতে চান
তাহলে আপনার কিছু টাকা খরচ হতে পারে। সর্বোচ্চ তিন থেকে চার লাখ টাকা খরচ হতে
পারে। ইউরোপের কোন দেশে ভিসা সহজে পাওয়া যায় আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
কম টাকায় ইউরোপ যাওয়ার উপায়
আমরা সবাই অল্প খরচের মধ্যে ইউরোপ যেতে চাই। কিন্তু জানিনা সঠিকভাবে অল্প খরচে
ইউরোপ কিভাবে যাওয়া যায়। যার কারনে আমরা অবৈধ পথ মেনে ইউরোপ যাত্রা শুরু করি।
কম টাকা ইউরোপ যাওয়ার উপায় হিসেবে আপনি প্রথমেই সরকারি ভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায়
গুলো জেনে নিতে পারেন।
সরকারিভাবে ইউরোপ গেলে আপনার অল্প টাকা খরচ হবে কিন্তু একটু সময় লাগবে ভিসা
পেতে। আপনার যদি বাজেট অল্প থাকে তাহলে আপনি সরকারি ভাবে চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
তাছাড়া কম টাকা ইউরোপ যাওয়ার উপায় গুলোর মধ্যে একটি হলো স্টুডেন্ট ভিসার
মাধ্যমে স্কলারশিপ নিয়ে ইউরোপে যাওয়া।
স্কলারশিপ নিয়ে আপনি ইউরোপে গেলে আপনার কম টাকা খরচ হবে কিন্তু স্কলারশিপ পেতেও
আপনাকে বেশ কষ্ট করতে হবে। তাই যদি কম টাকা ইউরোপ যাওয়ার উপায় খোঁজেন তাহলে
প্রথমেই আপনি সরকারি ভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায় গুলো বেছে নিতে পারেন।
সহজে ইউরোপ যাওয়ার উপায়
সহজে ইউরোপ যেতে কে না চায়। কিন্তু সহজে ইউরোপ যাওয়ার জন্য আমরা সঠিক পথ
অবলম্বন করি না। সহজে ইউরোপ যাওয়ার উপায় গুলোর মধ্যে স্টুডেন্ট ভিসা এবং
টুরিস্ট ভিসা হলো অন্যতম। এই ভিসার মাধ্যমে আপনি সহজেই ইউরোপে যেতে পারবেন।
স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে গিয়ে আপনি সেখানে কাজ করেও থাকতে পারবেন। আবার টুরিস্ট
ভিসা করেও সেখানে কিছু নিয়ম অবলম্বন করেও ইউরোপের নাগরিক হওয়া সম্ভব।
ইউরোপের ভিসা করতে কত টাকা লাগে
আমাদের সকলেরই ধারনা ইউরোপ যেতে প্রচুর টাকার প্রয়োজন হয়। আপনি যদি সঠিক পথ
অবলম্বন করে এবং কিছুটা ধৈর্য ধরে ইউরোপের ভিসার জন্য আবেদন করেন তাহলে অল্প
টাকার মধ্যে আপনি ইউরোপ যেতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে সরকারিভাবে ইউরোপ যাওয়া আপনার
জন্য ভালো উপায়।
সরকারিভাবে ইউরোপ গেলে আপনার সর্বোচ্চ চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা খরচ হবে। এই এত
টাকা খরচ করে আপনি ইউরোপে গিয়ে সর্বনিম্ন ৯০০ ডলার পর্যন্ত কাজ করতে পারবেন।
আসলেই এই সুযোগটি খুব অসাধারণ। অল্প টাকায় ইউরোপ গিয়ে ভালো টাকা ইনকাম করার
মজাই অন্যরকম। ইউরোপের ভিসা করতে কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে আশা করি জানতে
পেরেছেন।
বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায়
বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যেতে চাইলে আপনি দুইটি সহজ পদ অবলম্বন করতে পারেন। সেই দুইটি
সহজ উপায় হলো স্টুডেন্ট ভিসা এবং টুরিস্ট ভিসা। স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে একজন
বাঙালি সহজে ইউরোপে ভ্রমণ করতে পারবে। সেক্ষেত্রে কোন কোন ইউরোপ দেশে আপনাকে
ILETS করে যেতে হবে।
আবার ইউরোপের এমন অনেক দেশ রয়েছে যেখানে ILETS ছাড়াও স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে
যাওয়া যায়। টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমেও আপনি ইউরোপে যেতে পারবেন একজন বাংলাদেশী
নাগরিক হয়ে। বাংলাদেশের সকল নাগরিক বিভিন্ন দেশের টুরিস্ট ভিসার আবেদন করলে খুব
সহজে পেয়ে যায়। তাই আপনি বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায় হিসেবে স্টুডেন্ট
ভিসা এবং টুরিস্ট ভিসা কাজে লাগিয়ে দেখতে পারেন।
সহজে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে সহজে যাওয়া যায় এবং সেখানে যেতে অল্প
খরচ হয়ে থাকে। সেই দেশগুলো হলো রোমানিয়া, ফ্রান্স ,সুইজারল্যান্ড, মালটা,
পর্তুগাল, নেদারল্যান্ড। এ সকল দেশগুলোতে আপনি সহজেই অল্প খরচে ভিসা পেয়ে যাবেন।
আর সহজে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায় এই প্রশ্ন আসলে আমি
উপরোক্ত দেশগুলোর নাম উল্লেখ করব।
ইন্ডিয়া থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায়
ইন্ডিয়া থেকে ও ইউরোপের কয়েকটি দেশের সস্তায় যাওয়া যায়। এই দেশগুলো হলো
জর্জিয়া, হাঙ্গেরি, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, ক্রোয়েশিয়া ইত্যাদি। আপনি যদি
ইন্ডিয়া থেকে ইউরোপ যেতে চান তাহলে সহজেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করতে
পারবেন। সে ক্ষেত্রে আপনার যদি ইন্ডিয়ান পাসপোর্ট থাকে তাহলে সহজেই আপনি যেকোনো
ধরনের ইউরোপীয় ভিসা পেয়ে যাবেন।
এতে যেমন আপনার সময় কম লাগবে তেমনি অনেক সময় টাকা ও কম প্রয়োজন হয়। ইউরোপের
বেশ কিছু দেশে ইন্ডিয়ান পাসপোর্ট দেখলেই সেখানে নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়। তাই
আপনি যদি ইন্ডিয়ান নাগরিক হন তাহলে খুব সহজে ইউরোপে সিটিজেনশিপ পেয়ে যাবেন। তাই
সকলের মনে করে ইন্ডিয়া থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায় খুব সহজ।
কাতার থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায়
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার থেকেও ইউরোপ যাওয়া সম্ভব। কাতার নাগরিকদের জন্য ইউরোপ
সকল ধরনের ভিসা চালু করে রেখেছেন। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি বৈধ ভাবে কাতার থেকে
ইউরোপ যেতে চান তাহলে স্টুডেন্ট ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বা স্পন্সর ভিসা দিও
যেতে পারেন। এই তিনটি ভিসার মাধ্যমে আপনি সহজে কাতার থেকে ইউরোপ যেতে
পারবেন।
তবে কাতার থেকে ইউরোপ এই তিনটি সহজ উপায় যাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে কাতার এর
নাগরিক হতে হবে। আবার কাতার থাকা প্রবাসীদেরও ইউরোপ যাওয়ার কিছু উপায় রয়েছে।
সে ক্ষেত্রে প্রবাসীরা কিছু অর্থ খরচ করতে হবে এবং কাতারে অনেক দিন যাবত বসবাস
করতে হবে। তাই বলা যেতে পারে কাতার থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায় বেশ সহজ।
ওমান থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায়
আপনি যদি ওমান থেকে ইউরোপ যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে এম্বাসির মাধ্যমে যেতে
হবে। এম্বাসির সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং আপনার দক্ষতা সম্পর্কে
জানাতে হবে। এবং তারপর আপনি ইউরোপের যে কোন ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। আবার
আপনি চাইলে যে কোন বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমেও যেতে পারবেন।
ওমান থেকে ইউরোপ যেতে প্রায় বেশ খরচ পড়বে। বর্তমানে ধারণা অনুযায়ী ওমান থেকে
ইউরোপ যেতে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার মত খরচ হতে পারে। যদিও খরচ টা একটু বেশি তারপরও
আপনি বিভিন্ন ভিসার মাধ্যমে ইউরোপে যেতে পারবেন। তাই বলা হয়ে থাকে ওমান থেকে
ইউরোপ যাওয়ার উপায় সহজ।
কুয়েত থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায়
মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ গুলোর মধ্যে কুয়েত থেকেও ইউরোপ যাওয়া যায়। আমরা
জানি কুয়েতে অধিবাসীদের কোন থাকার সুযোগ নেই তবে প্রতিবছরই কুয়েত থেকে অধিকাংশ
মানুষ ইউরোপে ভ্রমণ করে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সরকার ব্যবস্থা কুয়েত সহ
মধ্যপ্রাচ্যের আরো বিভিন্ন দেশের ভিসা আবেদন চালু রেখেছেন।
তাই আপনি কুয়েত থেকে ইউরোপে যেতে যে কোন ভিসার আবেদন করতে পারেন। আবেদন করতে
চাইলে আপনি সরকারি অথবা বেসরকারি এজেন্সি এবং এম্বাসির মাধ্যমেও আলোচনা করে আবেদন
করতে পারেন। এতে করে আপনার ইউরোপ যাওয়া সহজ হয়ে যাবে। আশা করি কুয়েত থেকে
ইউরোপ যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
সৌদি আরব থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায়
সৌদি আরব থেকেও সহজে ইউরোপ যাওয়া যায়। সৌদি আরব থেকে আপনি টুরিস্ট ভিসা
,ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে ইউরোপে যেতে পারবেন। আপনি যদি সৌদি আরব থেকে
ইউরোপে যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন করেন তাহলে কিছু টাকা খরচ করে সহজে ইউরোপে যে
কোন দেশের ভিসা পেয়ে যেতে পারেন। আবার অনেকেই ইউরোপে যাওয়ার জন্য অবৈধ পথ
অবলম্বন করেন। অবৈধভাবে ইউরোপের না গিয়ে অবশ্যই সকলকে বৈধভাবে ইউরোপ যাওয়ার
চেষ্টা করতে হবে।
মালয়েশিয়া থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায়
মালয়েশিয়া থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায় গুলো পূর্বের বিভিন্ন মধ্যপ্রাচ্যের
দেশগুলোর মতোই। মালয়েশিয়া থেকে ইউরোপ যাওয়ার জন্য আপনি যেকোনো ধরনের ভিসার
আবেদন করতে পারেন। আপনি যদি ওয়ার্ড পারমিট ভিসার মাধ্যমে ইউরোপে যান তাহলে
সর্বনিম্ন দুই বছর কাজ করার পর আপনি ইউরোপের যে কোন দেশে ভ্রমণের সুযোগ পাবেন তার
সাথে আপনি ইউরোপে নাগরিকত্ব লাভ করতে পারেন।
সিঙ্গাপুর থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায়
সিঙ্গাপুর থেকেও আপনি ইউরোপে পাড়ি জমাতে পারেন। যেকোনো ভিসার মাধ্যমে সিঙ্গাপুর
থেকে ইউরোপ যেতে পারবেন। তবে আপনি যদি সিঙ্গাপুর থেকে যেতে চান তাহলে অবশ্যই
ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন করতে চেষ্টা করবেন। সে ক্ষেত্রে আপনার ইউরোপে ভালো
কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে এবং ইউরোপের নাগরিকত্ব পেতে অল্প সময় লাগবে।
তুরস্ক থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায়
তুরস্ক থেকে প্রচুর মানুষ অবৈধ পথে ইউরো প প্রবেশ করতেন। যার কারনে তুরস্ক থেকে
ইউরোপ যাওয়ার উপায় এখন একটু কঠিন হয়ে গিয়েছে। তুরস্ক ইউরোপের প্রায়
পার্শ্ববর্তী দেশ হওয়ার পরেও তুরস্ক থেকে ইউরোপ প্রবেশ করার জন্য কোন ভিসা
দেওয়া হয় না। অবৈধ পদ অবলম্বন করার কারণে তুরস্কের জন্য ইউরোপের ভিসা প্রধান
বন্ধ রয়েছে। তাই বলা হয়ে থাকে তুরস্ক থেকে ইউরোপ যাওয়ার উপায় এখন বেশ কঠিন।
আপনি যদি তুরস্ক থেকে ইউরোপ যেতে চান তাহলে অবশ্যই বৈধপথ অবলম্বন করার চেষ্টা
করবেন।
পরিশেষে কথা
এক কথায় বলা যেতে পারে ইউরোপে যাওয়া বর্তমান সময়ে প্রতিটি মানুষের স্বপ্ন হয়ে
দাঁড়িয়েছে। যার কারনে প্রায় সময় বিভিন্ন দেশের মানুষ এবং বাংলাদেশী রাও অবৈধ
পথ অবলম্বন করে ইউরোপে পাড়ি জমিয়েছে। অবৈধ পথে ইউরোপ না গিয়ে সরকারিভাবে ইউরোপ
যেতে পারে।
তাই আজকের আর্টিকেলে সরকারি ভাবে ইউরোপ যাওয়ার উপায়,ইউরোপের কোন দেশের ভিসা সহজে
পাওয়া যায়,সরকারি ভাবে ইউরোপ যাওয়ার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র,ইউরোপের ভিসা করতে কত
টাকা লাগে ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এই সম্পর্কে সকলকে জানাতে এবং সতর্ক
করতে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন। এমন আরো তথ্য পেতে www.twestinfo.com পেজে চোখ রাখুন।
টুইস্ট ইনফোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।প্রতিটি কমেন্টের উত্তর দেয়া হয়।
comment url