বুকে ব্যথা হলে করণীয় কি?
কোমর ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় আমাদের সকলেরই কখনও না কখনও বুকে ব্যাথা অনুভব হয়।তার কারণ অনেকেরই জানা নেই। গ্যাষ্টিকের ব্যাথা মনে করে ঘরে বসে থাকি। বুকে ব্যথা হওয়ার অসংখ্য কারণ রয়েছে। আজকাল বিভিন্ন কারণে আমাদের বুকের ব্যথা অনুভব হতে পারে তার মধ্যে আবহাওয়া পরিবর্তন ও একটি কারণ হতে পারে।
আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে আমাদের শরীরে স্ট্রেস ফেলে যার কারণে রক্ত চলাচলের
অসুবিধা হয় এবং শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায়। বুকের ব্যথা একসময় হার্ট
এটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় আমাদের দেশে এমন অনেক পরিচিত মুখ রয়েছে যারা হার্ট
অ্যাটাক আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।
আরো পড়ুন:শীতকালে ঠোঁট ফাটা রোধের উপায়
বুকে ব্যথার সঠিক কারণ যদি জানা না থাকে তাহলে আমাদের এই রোগের আসক্ত হওয়ার
কারণ হয়ে যেতে পারে। অনেকেই সামান্য ব্যথা বা গ্যাস্টিকের ব্যথা বলে ঘরে বসে
থাকে।আসলেই কি গ্যাষ্টিকের ব্যাথা কি না? কখনো কি ভেবে দেখেছেন? এই সম্পর্কে
কিছু তথ্য চলুন জেনে নেয়া যাক।
সূচিপত্র:বুকে ব্যথা হলে করণীয় কি?
আজকের পোস্টে উপরোক্ত বিষয়বস্তু থাকছে।
বুকে ব্যাথা কেন হয়?
অনেক রকম কারনে বুকে ব্যাথা হতে পারে। বুকে ব্যাথা হার্ট অ্যাটাকের কারন হতে
পারে। আবহাওয়া পরিবর্তন হলে আমাদের শরিরে অক্সিজেন ঘাটতি হতে পারে, অতিরিক্ত
চাপে রক্ত চলাচলে বাধাগ্রস্থ হতে পারে এসকল কারনে বুকে ব্যাথা অনুভুত হয়। বুকের
ব্যাথাকে হ্দরোগও বলা হয়।
বুকে ব্যাথা হওয়ার কারন:
১.ভয় বা দুশ্চিন্তা: আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যাদের ব্যক্তিগত
বা পারিবারিক জীবনে হতাশা বা দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে থাকে এবং তারা এর সমস্যায়
প্রতিনিয়ত ভুগতে থাকে একসময় দেখা যায় যে দুশ্চিন্তার কারণে তারা অসুস্থ হয়ে
পড়ছে। দুশ্চিন্তা বা ভয়ের কারণে তাদের বুক ধড়ফর করে। অতিরিক্ত ধড়ফর করার
কারণে বুকে ব্যথা অনুভব হয়। এরকম ব্যথা একসময় মৃত্যু ডেকে আনতে পারে।
আরো পড়ুন:শীতে পা ফাটা রোধের উপায়
২.খাদ্য নালীর সম্যসা: অনেক সময় খাবার খাওয়ার সময় আমাদের গলায়
বা খাদ্যনালীতে খাবার আটকে যায় যার কারণে আমাদের শ্বাস নিতে কষ্ট হয় একসময়
এটি বুকে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে। এজন্য খাবার খাওয়ার মাঝে অবশ্যই পানি পান
করে গলা ভিজিয়ে নিবেন।
৩.অ্যসিডিটি হলে: বাহিরের ভাজা পোড়া, মসলা জাতীয় খাবার আমাদের
মধ্যে অনেকেরই খুবই পছন্দের এই সকল মসলা জাতীয় খাবার খাওয়ার কারণে বুকে
জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হতে পারে এতে করে ব্যথা অনুভূত হয়। এন্টার্স সিড বা
এসিডিটির কোন ওষুধ সেবনের মাধ্যমে এ সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
৪.এফট বা এনজাইনার সমস্যা: প্রচুর স্ট্রেস নেওয়ার কারণে এইরকম
ব্যথা হতে পারে অনেক সময় মনে হয় এতে হার্ট অ্যাটাক হবে। কিছুক্ষণ বিশ্রাম ও
ঘুমের মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
পেরিকার্ডাইটিস সমস্যা: হার্টের কোন অংশে প্রদাহ সৃষ্টি হলে তখন ব্যথা অনুভব
হয় এই ব্যথাকে পেরিকারডাইটিস বলা হয়ে থাকে।
৫.মায়োকার্ডাইটিস সমস্যা: অনেক সময় আমাদের হার্টের রক্তনালী দিয়ে
রক্ত প্রবাহ হতে বাধাগ্রস্ত হয় বা রক্ত প্রবাহের পরিমাণ কমে যায় তখন এইরকম
সমস্যা হতে পারে।
৬.এওটিক বিচ্ছেদ: এটিকে সাধারণত বিরল রোগ হিসেবেই ধরা হয়। কারণ
আমাদের হার্টের এয়রটা ছিড়ে গেলে তখন বুকে ব্যথা হয় এই ব্যথা মারাত্মক
ভয়াবহতা সৃষ্টি করতে পারে। এরকম ব্যথা অনুভূত হলে অবশ্যই চিকিৎসার আওতাধীন
হওয়া উচিত।
আরো পড়ুন:নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারন ও প্রতিকার
৭.অ্যাসিড রিফ্লাক্স: অনেক সময় ঝাল কিছু খাওয়ার পর ঢেকুর আসে।
সেই ঢেকুর গলা পর্যন্ত উঠে আসলে বুকে ব্যথা অনুভূত হয়। এরকম ব্যথা হলে
কিছুক্ষণ বিশ্রাম ও পানি পান করার মাধ্যমে ঠিক হতে পারে।
বুকে ব্যাথার লক্ষন:
হার্ট এর সাথে সর্ম্পকিত
- বমি বমি ভাব
- মাথা ঘোরা বা কান্তি অনুভব
- নিশ্বাসের সমস্যা হওয়া
- বুকে টান বা চাপ অনুভব করা
- হার্ট রেট কমে যাওয়া
- সোজা হয়ে দাড়াতে না পাড়া
- পেটে ব্যাথা
অন্যান্য সম্পর্কিত লক্ষন
- খাওয়া ও গিলতে সমস্যা
- মুখে টক স্বাদ অনুভূতি
- শর্দি , কাশি , জ্বর লেগে থাকা
বুকে ব্যাথা নির্ণয়ের উপায়:
- পীড়ন পরীক্ষা
- এমআরআই
- এক্স-রে
- ইকোকার্ডিওগ্রাম
- রক্ত পরীক্ষা
বুকের ব্যাথা কমানোর ঘরোয়া উপায়:
১)শুয়ে থাকা - ব্যাথা অনুভুত হলে মাথা উচু করে কিছুক্ষন শুয়ে
থাকুন।
২) ধুমপান ও মদ এড়িয়ে চলুন।
৩) তুলসি - তুলসিতে প্রচুর পরিমানের ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। যা ব্যাথা
প্রসমে অনেক উপকারি। পরিষ্কার কয়েকটি তুলসি পাতা নিয়ে রস করে খান।
৪)ডালিম- ডালিম আমাদের স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। হৃদরোগের প্রধান
কারন বলা যায় স্ট্রেস।
৫)গরম পানি পান- গরম পানি শরীরের রক্ত চাপ ঠিক রাখে।
৬)মেথি বীজ- মেথি আমাদের শরীরের কেলেস্টরল ঠিক রাখে । যা রক্ত চাপ
সাভাবিক করে।
৭)অ্যালোভেরা- অ্যালোভেরা একটি ঔষধি গাছ। প্রতিদিন গরম পানি দিয়ে
কিছু পরিমান অ্যালোভেরার রস মিশিয়ে খেতে হবে।
মন্তব্য:
অল্প ব্যাথা বা কিছু সময়ের ব্যাথা ভেবে ঘরে বসে থাকবেন না। মাত্রাঅতিরিক্ত
ব্যাথা হলে চিকিৎসা নেয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এই পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হলে
অবশ্যই আপনার প্রিয় জন বা পরিচিত সকলের কাছে শেয়ার করবেন।
যাতে করে তারাও এই সমস্যার কথা জানতে পারে এবং সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিতে পারে।
অবশ্যই কমেন্ট করে আপনাদের মতামত জানাবেন। সকল প্রকার তথ্য জানতে www.twestinfo.com ভিজিট করুন। পছন্দ হলে লাইক,কমেন্ট ও শেয়ার দিয়ে পাশে থাকুন।
টুইস্ট ইনফোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।প্রতিটি কমেন্টের উত্তর দেয়া হয়।
comment url