শীতে পা ফাটা রোধের উপায়

অতিরিক্ত কৃমি হলে করনীয় কী  আমাদের অনেকেই পায়ের গোড়ালি ফেটে যায়। বিশেষ করে শীতের সময় বেশি এই সমস্যা দেখা যায় । তা দেখতে তো খারাপ লাগেই আবার মানুষের সামনে দাড়াতেও লজ্জা লাগে। অনেক সময় নিজের পছন্দ মতো জুতাও পড়তে পারি না।

শীতে পা ফাটা রোধের উপায়
পা দেখতেও খারাপ দেখা যায়। অনেকেই আমরা ডাক্তারের কাছে দৌড়াদৌড়ি করি । এটা যেমন সহজেই হয়ে যায় আবার অনেক সহজেই এর সমাধান করা যায়। চলুন তাহলে কিছু বিষয় জেনে নেয়া যাক।
সুচিপত্রঃশীতে পা ফাটা রোধের উপায়
এই পোস্টে আপনি উপরোক্ত বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। এ সকল বিষয়ে জানতে অবশ্যই সম্পূর্ণ পোস্টটি ভালোভাবে পড়বেন।

পা কেন ফাটে?

পা ফাটার তেমন কোনো মারাত্মক কারন নেই । আমরা সারা দিনে অনেক বেশি হাটাচলা করলে পা ফাটতে পারে। তাছাড়া অনেক সময় ধরে দাড়িয়ে থাকা , দাড়িয়ে কাজ করা , জোড়ে জোড়ে হাটা ইত্যাদি কারনেও পা ফাটতে পারে।

বিভিন্ন রোগের কারনেও এমন হতে পারে। থাইরয়েড , ডায়বেটিকস পা ফাটার কারন হয়ে দাড়াবে। খাবারের অনিয়ম করা , পুষ্টিহীনতায় ভোগা, বয়সের প্রভাব ইত্যাদি হলেও পা ফাটে । আবাহাওয়ার কারনেও আমাদের পা ফাটতে পারে। পানি হীনতাও এর কারন হতে পারে।

পা ফাটা রোধের উপায়:

  • জুতা‌ পরে থাকার অভ্যাস করুন ।
  • পা সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে ।
  • পায়ে মশ্চরাইজার ব্যবহার করুন ।
  • স্টোন দিয়ে পায়ের গোড়ালী নিয়মিত ঘসুন।
  • বর্ষাকালে বাহির থেকে এসে ভালো করে পা পরিষ্কার করতে হবে এবং নারিকেল তেল ব্যবহার করতে হবে।
  • বেশি বেশি পানি পান করা।

পা ফাটা রোধের ঘরোয়া উপায়:

অ্যালোভেরা: অ্যালোভেরাকে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার বলা হয়।এটি পায়ে সিরাম এর মতো কাজ করবে । সপ্তাহে ২/৩ বার অ্যালোভেরা জেল পায়ে ব্যবহার করতে পারেন।
নারিকেল তেল: ঘুমাতে যাওয়ার আগে পায়ে নারিকেলের তেল ব্যবহার করতে পারেন।১০/১৫ ব্যবহার করলে পায়ের ফাটা দূর হয়ে যাবে।
কলার খোসা: কলার খোসার পেষ্ট বানিয়ে সামান্য পরিমাণ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে ১৫/২০ লাগিয়ে হালকা গরম পানিতে পা ধুয়ে ফেলুন। এতে পা‌ ফাটা কমে যাবে।
মধু ও চিনির স্কাব: মধুকে‌ও প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার বলা হয়।মধু সাথে চিনি মিক্সকরে কিছুক্ষণ পায়ের গোড়ালীতে সরকার করুন। এটি‌ কিছুদিন করার পর ফাটা স্থানে কোন ভরাট হতে থাকবে।
গ্লিসারিন: গ্লিসারিন ব্যবহার করেও পা ফাটা কমানো যায়। নিয়মিত ব্যবহারে তাড়াতাড়ি সমাধান পাওয়া যাবে।
অলিভ অয়েল: অলিভ অয়েল ব্যবহার করেও এই সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবে। প্রতিদিন কিছু সময় পায়ের গোড়ালীতে ম্যাশাজ করুন।
পেট্রোলিয়াম জেলি: এটি ব্যবহারে আমাদের শুষ্ক ত্বককে মসৃণ করে। তাই পায়ে ব্যবহারে ভালো ফল পাওয়া যাবে।

পা ফাটা রোধের কিছু ঔষধ:

  • বোরো প্লাস
  • ইমুলিয়া ২৫
  • রেমি পা ফাটা
  • হিমালয় ফুট কেয়ার প্রভৃতি।
সর্তক: ব্যবহারের পূর্বে ব্যবহারবিধি অবশ্যই পড়ে নেয়া আবশ্যক।

লেখকের মন্তব্য 

সঠিক নিয়ম ও চর্চার মাধ্যমে আপনার পা ফাটা দূর হতে পারে। আশা করি আমার পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন আরো অনেকের কাছে এই সমস্যা তুলে ধরতে এবং এর সমাধান জানাতে শেয়ার করুন।আরো বিষয়ে জানতে www.twestinfo.com চোখ রাখুন। কমেন্ট করে আপনাদের মতামত জানাবেন । প্রতিটি কমেন্টের মূল্যায়ন করা হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

টুইস্ট ইনফোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।প্রতিটি কমেন্টের উত্তর দেয়া হয়।

comment url