গর্ভাবস্থায় ফলিক এসিড খাওয়ার নিয়ম ও ফলিক এসিডের অভাবে কি হয়
ইউরিক এসিড কমানোর ঘরোয়া উপায়
প্রিয় পাঠকগণ, আপনি কি গর্ভাবস্থায় ফলিক এসিড খাওয়ার নিয়ম, ফলিক এসিডের অভাবে
কি হয়, ফলিক এসিড এর কাজ কি, ফলিক এসিড কোন কোন ফলে রয়েছে এবং ফলিক এসিড
সমৃদ্ধ খাবার সম্পর্কে জানতে গুগলে সার্চ করেছেন ।
তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এই আর্টিকেলে ফলিক এসিড সম্পর্কে যাবতীয়
তথ্য আলোচনা করা হয়েছে। তাই আপনি ফলিক এসিড সম্পর্কে জানতে চাইলে অবশ্যই
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন।
সূচিপত্র: গর্ভাবস্থায় ফলিক এসিড খাওয়ার নিয়ম ও ফলিক এসিডের অভাবে কি হয়
ভূমিকা
ফলিক এসিড আমাদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। তবে আমরা সকলেই জানি
গর্ভঅবস্থায় ফলিক এসিড খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। কারণ ফলিক এসিড খাওয়ার কারণে
একজন শিশুর সঠিক দেহ ও মস্তিষ্ক গঠনের সহায়তা করে। তাই আজকের আর্টিকেলে
গর্ভাবস্থায় ফলিক এসিড খাওয়ার নিয়ম ও ফলিক এসিডের অভাবে কি হয় সে সম্পর্কে
আলোচনা করব।
ফলিক এসিড কি
ফলিক এসিড হল পানিতে দ্রবণীয় এক ধরনের ভিটামিন বি নাইন। এই এসিড একটি মানবদেহে
ডিএনএ গঠন বা সিন্থেসাইজেশন,কোষ বিভাজন এবং ডিএনএ সঠিক মেরামত করতে সাহায্য করে।
তাছাড়া ফলিক এসিড একটি শিশু ও পূর্ণবয়স্কের জন্য লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করে এবং
রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে। ফলিক এসির মানবদেহের যকৃতের ডাইহাইড্রোফনিক
এসিড হতে রূপান্তর হয়। তাছাড়া টেট্রা হাইড্রোফোলেড এবং অন্যান্য কারণেও ফলিক
এসিড একটি মানব দেহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ফলিক এসিড কেন খায়
ফলিক এসিড হল পানিতে দ্রবণীয় একটি ভিটামিন যা ভিটামিন বি নাইন হিসেবে সকলের
কাছে পরিচিত। ফলিক এসিড শরীরে রক্তস্বল্পতা দূর করে, লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করতে
সাহায্য করে এবং আয়রনের ঘাটতিও পূরণ করে থাকে। ফলিক এসিড আমাদের শরীরের জন্য
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফলিক এসিড পানিতে দ্রবীভূত হওয়ায় এটি শরীর থেকে
প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হয়ে যায় ফলে শরীরের সঞ্চিত হিসেবে কোন ফলিক
এসিড থাকে না।
আরো পড়ুন:কোলেস্টেরল বাড়লে কি হয়
তাই আমাদেরকে ফলিক এসিড নিয়মিত খেতে হবে ফলিক এসিড না খাওয়ার কারণে শরীরে লোহিত
রক্তকণিকা সৃষ্টি হবে না। বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা পেতে আমাদেরকে প্রতিদিন খাদ্য
তালিকায় ফলিক এসিড রাখতে হবে। ফলিক এসিড না খাওয়ার কারণে রক্তশূন্যতার মতো
আরও অনেক বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন: শরীরে দুর্বলতা, চুল সাদা হয়ে
যাওয়া, মুখের আলসার, জিব্বা ফোলা, হাড় ক্ষয় ইত্যাদি। আশা করি ফলিক এসিড কেন
খায় আপনারা জানতে পেরেছেন।
ফলিক এসিডের অভাবে কি হয়
ফলিক এসিডের অভাবে আমাদের শরীরে নানান রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। আমরা জানি ফলিক
এসিড একজন মানুষের শরীরের জন্য কত গুরুত্বপূর্ণ। ফলিক এসিড একটি শিশুর কোষ বিভাজন
এবং ডিএনএ তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।তাছাড়া পূর্ণবয়স্ক একজন মানুষের জন্য
ফলিক এসিড বিভিন্ন ধরনের কাজ করে যেমন: লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করে, হাড় মজবুত
করে, শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে ইত্যাদি। তাই ফলিক এসিডের অভাবে কি হয় সেই
সম্পর্কে নিচে লক্ষ্য করুন।
- ফলিক এসিডের অভাবে আপনার চুল অল্প বয়সে সাদা হয়ে যেতে পারে।
- চামড়া ফ্যাকাশে ভাব চলে আসবে যদি আপনার শরীরে ফলিক এসিড পরিপূর্ণ না থাকে।
- ফলিক এসিডের অভাবে শরীরে ক্লান্তি ভাব চলে আসে।
- ফলিক এসিডের অভাবে মুখে ও জিহ্বায় ঘাস সৃষ্টি হতে পারে।
- ফলিক এসিডের অভাবে অ্যানিমিয়া রোগ দেখা দেয়।
- ফলিক এসিডের অভাবে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়।
- শারীরিক বৃদ্ধিতে ফলিক এসিড বেশ সহায়তা করে তাই ফলিক এসিডের অভাবে আপনার শারীরিক বৃদ্ধি ধীরগতি সম্পন্ন হতে পারে।
ফলিক এসিডের অভাবে আপনার উপরোক্ত সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে। তাই নিয়মিত ফলিক
এসিড সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে এবং সুস্থ জীবন যাপন করতে হবে। আশা করি ফলিক এসিডের
অভাবে কি হয় সে সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন।
ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম
যাদের শরীরে ফলিক এসিডের অভাব রয়েছে তারা নিয়মিত ফলিক এসিড ট্যাবলেট খেতে
পারেন। ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার সময় অবশ্যই আপনাকে নিয়ম মেনে খেতে হবে। ফলিক
এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম হলো খালি পেটে খাওয়া। আপনি যদি ফলিক
এসিডের ট্যাবলেট খালি পেটে খান তাহলে এর ভালো কাজ দেখবেন।
আরো পড়ুন:এলোভেরা খাওয়ার নিয়ম
তাই খালি পেটে বা খাবার খাওয়ার এক থেকে দুই ঘন্টা আগে ফলিক এসিডে ট্যাবলেট
খাওয়া উত্তম। আর আপনি যদি খাবার পরে খেতে চান তাহলে দুই ঘন্টা পর এক গ্লাস পানি
দিয়ে ফলিক এসিডের ট্যাবলেট খেয়ে নিবেন। অনেকে আবার চা কিংবা দুধের সাথেও ফলিক
এসিডের ট্যাবলেট খেয়ে থাকে।
আরো পড়ুন:শিমুল আলু বা কাসাভা কিভাবে খায়
আবার কেউ কেউ কমলার রস দিয়েও ফলিক এসিডের ট্যাবলেট খায়। তাই বলা যায় আপনার যে
রোগ কম ভাবে খেতে স্বস্থি মনে হয় সেই নিয়ম অবলম্বন করতে পারেন। অবশ্যই ফলিক
এসিডের ট্যাবলেট খাওয়ার পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উত্তম।
গর্ভাবস্থায় ফলিক এসিড খাওয়ার নিয়ম
গর্ভাবস্থায় ফলিক এসিড খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। কারণ ফলিক এসিড
অ্যাক্টিভ ভিটামিন বি নাইন যা শিশুর মস্তিষ্ক ও স্নায়ুরঞ্জু গঠনে বিশেষ ভূমিকা
পালন করে। তাই অবশ্যই আপনাকে গর্ভাবস্থায় ফলিক এসিড খেতে হবে। কিন্তু অবশ্যই
আপনাকে নিয়ম মেনে খেতে হবে।
আরো পড়ুন:Fox nut বা মাখনা ফল খাওয়ার নিয়ম
গর্ভাবস্থায় ফলিক এসিড খাওয়ার নিয়ম হলো সন্তান যখন নেওয়ার চেষ্টা করবেন সেই
সময় থেকে সন্তান জন্ম দেওয়ার ৩ মাস পর্যন্ত আপনাকে ফলিক এসিড ট্যাবলেট খেতে
হবে।তাছাড়া গর্ভাধানের তিন মাস পর্যন্ত নিয়মিত আপনাকে ফলিক এসিড খেতে হবে।
অবশ্যই খাওয়ার পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে। আশা করি
গর্ভাবস্থায় ফলিক এসিড খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন।
ফলিক এসিড ট্যাবলেট কখন খেতে হয়
অনেকের মনে প্রশ্ন আসে ফলিক এসিড ট্যাবলেট কখন খেতে হয়। এই প্রশ্নের উত্তরে বলব
যার যার শরীরের পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে আপনাকে ফলিক এসিড খেতে হবে। অনেকের
শরীরে ফলিক এসিডের অভাবে রক্তস্বল্পতা সহ আরও নানান ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এরকম
সমস্যা দেখা দিলে তখন আপনি ফলিক এসিড খেতে পারেন।
আরো পড়ুন:চিয়া সিড খাওয়ার সময়
তাছাড়া এরকম সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আপনি ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাবার খেতে
পারেন। গর্ভাবস্থায় ফলিক এসিড খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সন্তান জন্ম
দেওয়ার আগে এবং সন্তান জন্ম দেওয়ার পর পর্যন্ত ফলিক এসিড খেতে হয়। তাছাড়া
সবাই চাইলে ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাবার খেয়ে নানান রকম সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে পারে।
ফলিক এসিড এর কাজ কি
ফলিক এসিড আমাদের শরীরে বিভিন্ন কাজ করে। ফলিক এসিডিএন এ গঠন করে। কোষ বিভাজন করে
এবং কোষের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাছাড়া ফলিক এসিড শরীরে রক্তস্বল্পতা দূর করতে
লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করে।
আরো পড়ুন:আনারকলি ফলের পুষ্টিগুণ
একজন নবজাতক শিশুর সঠিক কোষ বৃদ্ধি ও ডি এন এ গঠন করতে গর্ভাবস্থায় ফলিক এসিড
খাওয়ার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। তাছাড়া ফলিক এসিড শরীরে লৌহ রক্তকণিকা তৈরি করাতে
এটি শিশু এবং পূর্ণবয়স্ক মানুষের উভয়ের জন্য বিশেষ প্রয়োজন। ফলিক এসিড এর কাজ
কি আশা করি জানতে পেরেছেন।
ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর দাম কত
বাংলাদেশের ফলিক এসিডের প্রায় অনেক ধরনের ট্যাবলেট রয়েছে। এই ট্যাবলেট গুলোর
মধ্যে আপনি ৫ মিলিগ্রাম ফলিক এসিড এবং ২০ মিলিগ্রাম জিংক সালফাইট মনোহাইড্রেট
পেয়ে যাবেন। প্রতিটি ফলিক এসিড ট্যাবলেটের দাম দুই থেকে তিন টাকা। আর আপনি যদি
ফলিক এসিডের স্ট্রিপ কিনতে চান তাহলে এক পাতা এর দাম ২৫ টাকা করে পড়বে। দশ পাতা
ট্যাবলেটের দাম পড়বে ২৫০ টাকা।
ফলিক এসিড কোন কোন ফলে রয়েছে
ফলিক এসিড সমৃদ্ধ প্রায় প্রচুর ফল রয়েছে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ফল হল কমলা,
আঙ্গুর, মাল্টা, পেয়ারা ইত্যাদি। এ সকল ফল খাওয়ার মাধ্যমে আপনি প্রচুর পরিমাণ
এর ফলিক এসিড পেয়ে যাবেন। তাছাড়া বিভিন্ন বাদামে ও প্রচুর পরিমাণ এর ফলিক এসিড
রয়েছে। চিনা বাদাম, কাজুবাদাম ,কাঠবাদাম ইত্যাদি। এ সকল বাদাম খাওয়ার ফলে ও
আপনি প্রচুর পরিমাণ এর ফলিক এসিড পেয়ে যাবেন।
ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাবার
আমাদের আশেপাশে প্রচুর এমন খাবার রয়েছে যেগুলোতে প্রচুর পরিমাণ এর ফলিক এসিড
রয়েছে। বিভিন্ন সবুজ শাকসবজি থেকে শুরু করে, সবজি, ডাল, ফল, বাদাম ইত্যাদি
খাবারে প্রচুর পরিমাণে ফলিক এসিড রয়েছে। ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাবারগুলো হল শাক
যেমন: পালং শাক, পুঁইশাক,কচুর শাক, সজনে শাক, লাল শাক, সবুজ ডাটা শাক, মুলা শাক,
লাউ শাক ইত্যাদি।
আরো পড়ুন:ইউরিক এসিডে নিষিদ্ধ খাবার
এ সকল শাক খেলে আপনার কোন ফলিক এসিডের ঔষধ খাওয়া লাগবে না। তাছাড়া বিভিন্ন সবজি
রয়েছে যেমন: ফুলকপি, ব্রকলি, বাঁধাকপি, ঢেঁড়স, মটরশুঁটি, সিম, বরবটি ইত্যাদি।
এই সকল খাবারে প্রচুর পরিমাণ এর ফলিক এসিড রয়েছে।
আরো পড়ুন:ত্বীন ফলের পুষ্টিগুণ
তাছাড়া বিভিন্ন ফলে ও আপনি ফলিক এসিড পেয়ে যাবেন। ফলগুলোর মধ্যে রয়েছে কমলা,
মালটা, আঙ্গুর ইত্যাদি। বাদামে ও প্রচুর পরিমাণ এর ফলিক এসিড রয়েছে যেমন: চিনা
বাদাম, কাঠ বাদাম, পেস্তা বাদাম ইত্যাদি। আশা করি ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাবার
সম্পর্কে আপনারা অবগত হয়েছেন।
ফলিক এসিড কি আয়রন
আমরা মনে করি ফলিক এসিড এক ধরনের আয়রন। আসলে ফলিক এসিড এবং আয়রন এক জিনিস নয়।
ফলিক এসিড হল পানিতে থাকা এক ধরনের ভিটামিন যা ভিটামিন বি নয় বলে সকলের কাছে
পরিচিত। এই ফলিক এসিড রক্তস্বল্পতার জন্য খাওয়া হয় এবং আয়রনের সাথে খেতে বলা
হয়।
আরো পড়ুন:কিউই ফল এর পুষ্টিগুণ
কিন্তু ফলিক এসিড কোন আয়রন নয়। ফলিক এসিড কে আয়রনের সাথে খেতে বলা হয় তাই
আমরা সকলে মনে করি এটি একটি আয়রন। গর্ভবতী মহিলাদের শুধু ফলিক এসিড খেতে বলা
হয়। যদি প্রশ্ন করা হয় ফলিক এসিড কি আয়রন তাহলে এর উত্তরে বলতে হবে ফলিক এসিড
আয়রন নয়।
ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর উপকারিতা
ফলিক এসিড আমাদের শরীরে নানান কাজে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর মধ্যে
কিছু উল্লেখযোগ্য ভূমিকা হল:
- শরীরের লৌহিত রক্তকণিকা তৈরি করে।
- রক্তশূন্যতা কমায়
- প্রোটিন তৈরি করতে সাহায্য করে।
- গর্ভের শিশুর কোষ গঠনে মস্তিষ্ক গঠনে ও স্নায়ুতন্ত্র গঠনে বিশেষভাবে সাহায্য করে।
- ফলিক এসিড শরীরের দুর্বলতা হ্রাস করে।
- ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
- জিব্বায় ঘা হাওয়া থেকে রক্ষা করে।
- চুলের রং ঠিক রাখে।
নিয়মিত ফলিক অ্যাসি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার কারণে উপরোক্ত সমস্যাগুলো থেকে সহজেই
রেহাই পেতে পারবেন। তাছাড়া গর্ভের শিশুর সঠিক গঠন এর জন্যেও ফলিক এসিড খেতে হবে।
ফলিক এসিডের উপকারিতা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বেশ ভূমিকা রাখে।
ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
ফলিক এসির যেমন আমাদের শরীরে বিভিন্ন উপকার করে তেমনি অতিরিক্ত ফলিক এসিড খাওয়ার
কারণে শরীরে বিভিন্ন রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। অবশ্যই ফলিক এসিড
খাওয়ার পূর্বে ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানতে হবে।
চলুন তাহলে ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানা যাক।
- অতিরিক্ত ফলিক এসিড খাওয়ার ফলে শরীরে দুর্বলতা ও অস্বস্তি বোধ হতে পারে।
- তাছাড়া যাদের অ্যালার্জি সমস্যা রয়েছে তারা অতিরিক্ত ফলিক এসিড খেলে চুলকানি বা রেস তৈরি হতে পারে।
- অ্যাজমার সমস্যা থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ফলিক এসিড খেতে হবে নয়তো শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে।
- অতিরিক্ত ফলিক এসিড খাওয়ার ফলে পেটে বিপরীত বিক্রিয়া ঘটতে পারে যার কারণে পেটের ভেতর অস্বস্তি এবং ব্যথা অনুভূত হতে পারে।
- অতিরিক্ত ফলিক এসিড খাওয়ার কারণে অনেকের জ্বর হতে পারে।
উপরোক্ত সমস্যাগুলোর দিকে খেয়াল রেখে অবশ্যই আমাদেরকে নিয়মিত সমপরিমাণ এবং
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ফলিক এসিড গ্রহণ করতে হবে। ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থেকে রক্ষা পেতে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন।
পরিশেষের কথা
ফলিক এসিড একজন মায়ের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। তাই নিয়মিত ফলিক
এসিড খেতে হবে এবং অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণের খেতে হবে। ফলিক এসিড খাওয়ার পূর্বে
খেয়াল রাখতে হবে যে ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া যেন না হয়।
আশা করি গর্ভাবস্থায় ফলিক এসিড খাওয়ার নিয়ম ও ফলিক এসিডের অভাবে কি হয়, ফলিক
এসিড ট্যাবলেট এর উপকারিতা, ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাবার ও ফলিক এসিড কোন কোন ফলে
রয়েছে সে সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন। কমেন্টের মাধ্যমে আপনাদের মতামত প্রকাশ
করুন এবং এরকম আরো তথ্য পেতে
www.twestinfo.com পেজে চোখ রাখুন।
টুইস্ট ইনফোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।প্রতিটি কমেন্টের উত্তর দেয়া হয়।
comment url