চুল পড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজানোর উপায়

অ্যাপেল সিডার ভিনেগার তৈরি করার নিয়ম আমাদের অনেকের একটি কমন প্রবলেম চুল পড়ে যাওয়া।কেন পড়ে যায় এটার কারন কেউ খুঁজে পায় না। আমাদের চলাফেরা বা খাদ্যাভাস বা দৈনিক বিভিন্ন ধরনের কাজের কারণেও চুল পড়তে পারে। এ সকল কারণ অনেকের‌ই অজানা।

চুল পড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজানোর উপায়

তাহলে চলুন এই সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেয়া যাক।আজকের পোষ্টে থাকছে অল্প বয়সে চুল পড়ার কারন, চুল পড়া কিসের লক্ষন, নতুন চুল গজানোর উপায় আরো অনেক প্রয়োজনীয় বিষয় । আপনাদের সকল প্রশ্নের উত্তর পেতে অবশ্যই সম্পূর্ন পোষ্টটি পড়ুন।
সূচিপত্র:চুল পড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজানোর উপায় 

অল্প বয়সে চুল পড়ার কারণ

তরুণ প্রজন্মের অনেক ছেলে মেয়েদের চুল পড়া একটি দৈনিক সমস্যা । কেন এমন সমস্যা হয় তাড়া নিজেরাও জানে না। তাদের এই সমস্যার প্রধান কারণ হচ্ছে মানসিক অশান্তি, দুশ্চিন্তা,মাত্রা অতিরিক্ত ডায়েট, বিষণ্নতা ইত্যাদি। তাছাড়া শারীরিক অসুস্থতার কারণেও চুল পড়তে পারে। জ্বর,ক্যামোথেরাপি,কিডনির সমস্যা , লিভারের রোগ এসব কারণেও চুল পড়ে। 

বর্তমান প্রজন্ম লেখা পড়ার দিক থেকেও মানসিক অশান্তি সৃষ্টি হয়। অনিয়মিত ঘুম, খাওয়া দাওয়া তাদের চুল পড়ার প্রধান কারণ। মাত্রা অতিরিক্ত ফাস্টফুড খাওয়া,সবুজ সবজি, ফলমূল এরিয়ে চলা । এতে করে শরীরে পুষ্টি উপাদান কমে যায়। অতিরিক্ত ওষুধ সেবন করা বা থাইরয়েডের সমস্যার কারণেও চুল পড়তে পারে।

 তাছাড়া জীনগত সমস্যার কারণেও চুল পড়ে।খুশকি,শূষ্কতা, উকুন , চটচটে মাথার ত্বক থাকার কারনেও এই সমস্যা হয়ে থাকে। চুল পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে অ্যালোপেশিয়া এরিয়েটা রোগ। এর ফলে মাথার একপাশে অনেক জায়গার চুল পড়ে যেতে পারে।

নারী,পুরুষ ও বাচ্চাদের ও এই রোগ হতে পারে। বংশগত ভাবেও হতে পারে বা অন্যকারো মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। ওষুধের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান পাওয়া যায় না। বিভিন্ন শ্যম্পু ব্যবহার করার কারণেও চুল পড়তে পারে। মাথার ত্বকে ছত্রাকের আক্রমণের কারণেও চুল পড়তে পারে।

অতিরিক্ত চুল পড়া কিসের লক্ষণ

অতিরিক্ত চুল পড়া হতে পারে বিভিন্ন রোগের লক্ষণ। একজন মানুষের দৈনিক ৫০-১০০ বা তার কম চুল পড়তে পারে। আবার গজিয়েও যায়। কিন্তু যদি চুল না গজায় তাহলে বুঝতে হবে যে কোনো শারীরিক অসুস্থতার কারণে চুল গজায় না। বিশেষ ধরনের কিছু রোগ হতে পারে সেগুলো হলো:
  • রক্তশূন্যতা
  • এস‌এল‌ই বা লুপাস
  • হাইপার থা‌ইরয়েডিজম
  • হা‌ইপোথাইরয়েডিজম
  • মাথার ত্বকের রোগ
  • এলেপেশিয়া এরিএটা
  • পলিষ্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম

চুল পড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজানোর উপায়

মানুষের দেহের আকর্ষণীয় অংশ হচ্ছে চুল। চুল চেহারার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। এই চুল যদি পড়ে যায় তাহলে দুশ্চিন্তার ছাপ চেহারায় স্পষ্ট ভেসে ওঠে।তাই চুল পড়া বন্ধ করতে কিছু টিপস আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম

১. নারিকেলের তেল: চুলের জন্য নারিকেলের তেল অত্যন্ত উপকারী একটি তেল ।একে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার বলা হয়। নারিকেলের তেল ব্যবহারের ফলে মাথার ত্বকের ডেডসেল দুর করে। চুল ঘন,লম্বা ও ঝলমলে করতে সাহায্য করে।

২.নারিকেলের দুধ: নারিকেলের দুধ চুল পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে। তাছাড়া খুশকি ও দুর করে। অনেকেই নারিকেলের দুধ তৈরি করতে জানি না, এটি তৈরি করা অনেক সহজ। নারিকেল কুরিয়ে নিয়ে সামান্য পরিমাণ পানি দিয়ে ব্লেড করে ছেকে নিলে তৈরি হয়ে যাবে নারিকেলের দুধ।

৩.মেহেদি: মেহেদি চুল পড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজাতে অনেকটাই সাহায্য করে। মেহেদি পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমানের গ্লাইকোসাইড রঞ্জক লসোন ও টেনিন উদভুত হেনোটনিক এসিড। এসকল উপাদান আমাদের চুলের জন্য অতন্ত্য উপকারি।

৪.মেথি যুক্ত তেল: নারিকেল তেল বা অন্য কোনো তেলের সাথে মেথি মিশিয়ে জাল করে চুলের গোড়ায় দিলে চুল মজবুদ হয়। মেথি পেষ্ট করেও চুলে দেয়া যায় ।

৫.আমলকি ও পেয়াজ: চুল পড়া ও নতুন চুল গজাতে আমলকি ও পেয়াজ এর ভুমিকা অনেক। পেয়াজের রস করে চুলে দিয়ে ১ থেকে ২ ঘন্টা রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।আমলকি তেলের সাথে অধবা ছেচে রস করে চুলে ব্যবহার করতে হবে।

কত বছর বয়স পর্যন্ত চুল গজায়

আমরা সকলেই জানি বা দেখেছি শিশু জন্ম হওয়ার সময়ই চুল নিয়ে জন্মায়। আস্তে আস্তে চুল বড় হতে থাকে। বয়সের সাথে সাথে চুল বড় হয় আবার এক সময় ঝড়েও যায়। আসলে চুল গজানোর কোনো বয়স নেই। 
চুলের যথাযথ যন্ত করলে বৃদ্ধ বয়সেও আপনার মাথায় চুল থাকবে। পারিবারিক কোনো সমস্যা বা বংশ পরমপরায় কোনো সমস্যা না থাকলে চুল পড়ার কোনো সম্ভবনা নেই।পুষ্টিকর খাবার ও যথাযথ যত্ন আমাদের চুলকে আরো সুন্দর করে তুলবে।

মেয়েদের চুল পড়ার কারণ ও প্রতিকার

মেয়েদের চুল পড়ার কারনকে অ্যানড্রোজেনেটিক অ্যালোপিসিয়া বলে। প্রতিদিন ১০০-১২০ সংখ্যায় চুল পড়তে পারে আবার গজায়ও । যদি গজানোর থেকে পড়ার সংখ্যা বেশি হয় তাহলে বুঝতে হবে আপনি হেয়ার ফল রোগে ভুগছেন।মেয়েদের এই সমস্যা বেশি হয়।

কারণ:
  • ভিটামিন বি ১২ ও ভিটামিন ডি এর অভাব
  • ডায়েট করা
  • সুষম খাদ্যের অভাব
  • জন্মনিয়ন্ত্রন বড়ি সেবন
  • ষ্টাইল করতে গিয়ে রং ব্যবহার
  • হরমোন ও থাইরয়েড জনিত সমস্যা
প্রতিকার:
  • সূর্যের UV রশ্নি থেকে দূরে থাকা।
  • সুষম খাবার খাওয়া।
  • অতিরিক্ত বিচিং ও ডাই ব্যবহার না করা।
  • চুল পরিষ্কার করা।
  • ঘুমানোর আগে চুল শক্ত করে না বাধা।
  • অতিরিক্ত ভিটামিন না খাওয়া।

ছেলেদের চুল পড়ার কারণ ও প্রতিকার

চুল পড়া ছেলেদেরও একটি কমন সমস্যা । অনেক ছেলেদের অল্প বয়সে প্রচুর পরিমানের চুল পড়ে। তাদের চলাফেরা ও নানান রকম কারনে তাদের চুল পড়ে। চলুন এর কারন ও প্রতিকার সম্পর্কেৃ জানা যাক।

কারন:
  • হরমোন জনিত
  • স্টেস বা মানসিক চাপ
  • খুশকি
  • মাদকাসক্তি
  • স্বাস্থ্যগত সমস্যা
প্রতিকার
  • বেশি পরিমান পানি পান করা।
  • নিয়মিত তেল ব্যবহার করা।
  • আমিষ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া।
  • ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া।
  • নিয়মিত চুল পরিষ্কার করা।
  • মানসিক চাপ কমানো।

লেখকের মন্তব্য

চুল আমাদের বাহ্যিক সূন্দর্যকে আরো ফুটিয়ে তুলে। দেহের যত্নের পাশাপাশি চুলেরও যত্ন নেয়া অত্যন্ত জরুরি। আরো অনেক টিপস পেতে আমাদের সাথে থাকুন এবং www.twestinfo.com এর সাথে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

টুইস্ট ইনফোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।প্রতিটি কমেন্টের উত্তর দেয়া হয়।

comment url