ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম বিস্তারিত পড়ুন
তোকমা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা অনেকেই আমরা অতিরিক্ত ওজন সমস্যায় ভুগি। এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়ার উপায় অনেক জানা আছে কিন্তু কার্যকরী সহজ উপায় হয়তো আমরা কেউই জানিনা। এই সহজ উপায় জানার জন্য অনেক সময় আমরা গুগলে সার্চ করে থাকি।
তখন চিয়া সিড সম্পর্কে দেখলেও বুঝতে পারিনা এই জিনিসটা কি।চিয়া সিড দেখলে
মনে হতে পারে এ কেমন জিনিস আর কিভাবে বা খায়। আসলেই কাজ করে নাকি খাওয়ার পর
কোন কাজই হয় না, সময় অর্থ সবই কি নষ্ট হয় নাকি। এমন প্রশ্ন যাদের মনে জাগে
আজকের পোস্ট তাদের জন্য। চিয়া সিড সম্পর্কে জানতে অবশ্যই সম্পূর্ণ পোস্টটি
পড়ুন।
সূচিপত্র:চিয়া সিড সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন।
ভূমিকা
শাড়ি,পাঞ্জাবি পড়তে কার না ভালো লাগে? বিয়ের দাওয়াতে, অফিসের অনুষ্ঠানে,
জন্মদিনের দাওয়াতে যেতে তখনই শাড়ি, পাঞ্জাবি পড়ার ইচ্ছা হয়।পড়তে গিয়ে
আয়নার সামনে দাঁড়ালে প্রথমেই চোখে পড়ে পেটে বেড়ে যাওয়া মেদ। এই মেঘ থেকে
রেহাই পাওয়ার সহজ পদ্ধতি নিয়ে আজকের এই পোস্ট লিখা। আজকের পোস্টে থাকছে চিয়া
সিড সম্পর্কে সকল তথ্য।
অতিরিক্ত মেদ কমাতে চিয়া সিড খুবই উপকারী একটি ডায়েট ফুট। চিয়া সিড খাওয়ার
কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। এটি আমাদের শরীরের শুধু মেদ কমাতে সাহায্য করে না
আরো অনেক পুষ্টি সাধনে ভূমিকা পালন করে। চলুন তাহলে চিয়া সিড সম্পর্কে সকলের
মনের প্রশ্নের উত্তর দেয়া যাক। নিম্নোক্ত বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করা হলো।
চিয়া সিড কি?
চিয়া সিড আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি সিড বা বীজ। একটি সাধারণত মরুভূমিতে জন্মায়। এই বৃষ্টির আদি জন্মস্থান সেন্ট্রাল আমেরিকায়। সেখানকার আদিবাসী অ্যাজটেক জাতির প্রিয় একটি খাবার। তারা মনে করতেন এই খাবার তাদের শক্তি ও সাহসের প্রধান উৎস। এটিকে তারা স্বর্ণের চেয়েও মূল্যবান হিসাবে মনে করতেন।
এটি সালবিয়া হিসপানিকা উদ্ভিদের ফল। এই বীজ সব ধরনের আবহাওয়ায় হয় বলে এতে
পোকামাকড় আক্রমণও কম হয়। এটি দেখতে সাদা ও কালো রঙের অতি ক্ষুদ্র বীজ। চিয়া
সিড দেখতে অনেকটাই তোকমার মত হয়ে থাকে বলে সকলেই এদের মধ্যে মিলিয়ে
ফেলে।তোকমাকেই চিয়া সিড বলে মনে করে। তোকমার চেয়ে চিয়া সিড এর পুষ্টিগুণ অনেক
বেশি।
চিয়া সিডের পুষ্টিগুণ:
চিয়া সিড হলো পুষ্টির শক্তিশালা। এটি আমাদের মাংসপেশী, হার মজবুত করে। চিয়া
সিড এর এত গুণ থাকায় একে সুপার ফুড হিসেবেও স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। যারা
ডায়েট করার কারণে খাদ্য তালিকায় সীমাবদ্ধতা দিয়েছেন তাদের জন্য চিয়া সিড
একটি বিশেষ লোভনীয় খাবার। ছোট পরিবেশনে ফসফরাস ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়ামের
মত পুষ্টিগুণ থাকায় সত্যিই এটি একটি সুষম ও স্বাস্থ্যকর লোভনীয় সুপারফুড।
চলুন তাহলে চিয়া সিডের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানা যাক:
পুষ্টিগুণ: চিয়া সিডে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম
ফাইবার,ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড, এন্টি অক্সিডেন্ট কুয়েরসেটিন, ক্লোরোজেনিক,
ক্যাফিক এসিড,আয়রন এবং দ্রবণীয় ও অদ্রবনীয় খাদ্য আশ। চিয়া সিটের রয়েছে
দুধের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি ক্যালসিয়াম।
পালং শাক থেকে বেশি আয়রন। কমলা লেবু এসব ভিটামিন সি যুক্ত খাবার থেকেও বেশি
ভিটামিন সি চিয়া সিড এ রয়েছে। মাছ ও মাংস থেকে বেশি প্রোটিন।এটি আমাদের
শরীরের বিভিন্ন পুষ্টিগুণ সাধনের ক্ষমতা রাখে।
চিয়া সিড খেলে কি হয়
চিয়া সিড একটি পুষ্টিকর খাবার। এটি আমাদের শরীরের অনেক উপকারে আসে। কিন্তু
আমাদের এই চিয়া সিড সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা নেই। চিয়া সিড আমাদের শরীরের
নানান কাজে পুষ্টি যোগান দেয়। তবে একে ওজন কমানোর প্রধান খাদ্য হিসেবে অনেকের
কাছেই পরিচিত।
চিয়া সিড ওজন কমানোর সাথে সাথে আমাদের শরীরে হাড় মজবুত করে। শরীর থেকে
বিভিন্ন টক্সিক জাতীয় পদার্থ বের করে দেয়। চিয়া সিডে বিদ্যমান অসংখ্য
পুষ্টিকর উপাদান যা আমাদের হার্টকে সুরক্ষা করে। তাছাড়া আমাদের ত্বকের সুন্দর
করে,হজমে সাহায্য করে,ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে, শরীরে প্রচুর শক্তি বৃদ্ধি
করে, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় আরো নানান দিক থেকে এটি আমাদের সুরক্ষা করে।
অনেকের কাছেই চিয়া সিড একটি অপরিচিত নাম। তবে অনেকের কাছে ওজন কমাতে
চিয়া সিড প্রধান ঔষধ। নিয়মিত খাওয়ার কারণে আমাদের ওজন কমার সাথে সাথে শরীরের
বিভিন্ন উপকারে আসে।
ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম
চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম খুবই সহজ। এটাকে রান্না করে খেতে হয় না বা এটাকে তৈরি
করার জন্য কোন কষ্ট করতে হয় না। এটি একটি স্বাদ ও গন্ধহীন খাবার। চিয়া সিড
খাওয়ার অনেক নিয়ম রয়েছে। তবে ওজন কমানোর জন্য একটি কার্যকরী নিয়ম হলো লেবুর
রসের সাথে মিশিয়ে খাওয়া। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক ওজন কমাতে চিয়া সিড
খাওয়ার নিয়ম:
১. লেবু ও চিয়া সিড: চিয়া সিড খাওয়ার আগে অবশ্যই এটিকে ভিজিয়ে
রাখতে হয়। ১০ থেকে ২০ মিনিট এর মত চিয়া সিড পরিষ্কার পানিতে ভিজিয়ে
নিন।সামান্য পরিমান লেবুর রসের সাথে ভিজিয়ে রাখা চিয়া সিড মিশিয়ে খান। এই
পদ্ধতি সকালে খালি পেটে খেলে তাড়াতাড়ি কার্যকর হবে।
২. মধু ও চিয়া সিড: মধু আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এক টেবিল
চামচ পরিমাণ মধু নিয়ে তাতে ভিজিয়ে রাখা অল্প পরিমাণ চিয়া সিড মিশিয়ে
ডেজার্ট হিসেবে খেতে পারেন।
৩. টক দই ও চিয়া সিড: টক দইয়ের সাথে ভিজানো চিয়া সিড মিশিয়ে
খেলে দ্রুত ওজন কমে যাবে। এটি আমাদের শরীরের কোন ক্ষতি করবে না বরং ওজন কমার
সাথে সাথে আরো অনেক উপকারে আসবে।
৪. পুডিং: দুধ মধু ও চিয়া সিড একসাথে মিশিয়ে পুডিং বানিয়ে খেতে
পারেন। এতে এটি স্বাদ আরো বৃদ্ধি পাবে। দুধ ও মধু থেকে চিয়া সিড বেশি প্রোটিন
সমৃদ্ধ খাবার।
৫. নারিকেলের পানি ও চিয়া সিড: দুই বা তিন কাপ নারিকেলের পানির
সাথে দুই থেকে তিন টেবিল চামচ চিয়া সিড মিশিয়ে বানিয়ে নিন পছন্দের জুস।
এখানে আপনি যে কোন ফলের রসের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।
তাছাড়া চিয়া সিড খাওয়ার আরো অনেক নিয়ম রয়েছে। চিয়া সিড সালাদ এর সাথে
ব্যবহার করেও খাওয়া যায়। শসা, বাঙ্গি, আম এ সকল ফলের রস তৈরি করে এতে চিয়া
সিড মিশিয়ে খেতে পারেন। যেহেতু চিয়া সিড এর কোন স্বাদ নেই তাই আপনি যেকোনো
জুসি খাবারের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।
চিয়া সিড ভিজানো পানি পান করলে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি হবে ও কোষ্ঠকাঠিন্যের
সমস্যা দূর হবে এতে সহজে ওজন কমানো যায়। আরো অনেক কাজে চিয়া সিড বিশেষ বিশেষ
ভূমিকা পালন করে। এটি আপনার শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হিসেবেও দাঁড়াতে
পারে।
চিয়া সিড খাওয়ার সময়
চিয়া সিডে রয়েছে হাজারো পুষ্টি সমৃদ্ধ ভিটামিন। এক চামচ অর্থাৎ ১৫ গ্রাম
চিয়া সিড খেলে ৬০ ক্যালোরি ৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট ২৩ গ্রাম প্রোটিন ৪ গ্রাম
ফ্যাট,৪ গ্রাম ফাইবার, ৮০ এম জি ক্যালসিয়াম, ১০৮ এমজি আয়রন পাবেন। ওমেগা তিন
ফাটি এসিড, এন্টি অক্সিডেন্ট, ও ফাইবারের মতো পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ যা আপনার শরীরের
বিভিন্ন উপকারে আসতে পারে।
তাই রোজ খেলে আপনার হাজারো উপকারে আসবে। কিন্তু চিয়া সিড তুলনামূলক প্রচুর
দামে বিক্রি হয়। তাই অনেকেই একে দিনে একবার বা দুইবার খেয়ে থাকেন। ওজন কমানোর
জন্য এটি সকালে খালি পেটে খেলে বেশি উপকৃত হবেন। তাছাড়া রাতে ঘুমানোর আগে
চিয়া সিড খেলে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি হবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূর
করবে।
অনেকে আবার খাবার খাওয়ার পর খেয়ে থাকেন। এতে করে কিছুটা সমস্যা দেখা দিতে
পারে। কারণ খাবার খাওয়ার পর আমাদের সুগার লেভেল বেড়ে যায়। যেহেতু চিয়া সিড
আমাদের দেহের ইনসুলিন হরমোনের সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে তুলে এবং শর্করার মাত্রা
সমতায় রাখে সেহেতু খাবার পরে না খেয়ে সঠিক সময়ে চিয়া সিড খেতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে চিয়া সিড ভেজানো পানি ঘুমানোর আগে খাওয়া উত্তম। তাই বলা যায়
চিয়া সিড খাওয়ার উত্তম সময় হলো সকালে খালি পেটে এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার
আগে।
চিয়া সিড কতক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হয়
অনেকের প্রশ্ন জাগতে পারে চিয়া সিট কতক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হয়? আসলে এটি তোকমার
মতো হয়ে থাকে। তোকমা যেমন বেশিক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হয় না তেমনি চিয়া সিড ও
বেশিক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হয় না। সর্বোচ্চ ২০ থেকে ৩০ মিনিট চিয়া সিড ভিজিয়ে
রাখায় উত্তম। যদি আপনি চিয়া সিডের ভেজানো পানি খেতে চান তাহলে ৩০ থেকে ৪০
মিনিট সময় ভিজিয়ে রাখায় যথেষ্ট হবে।
চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা
ওজন কমাতে: চিয়া সিডে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার রয়েছে। ফাইবার থাকার
কারণে এটি আমাদের মুখে রুচি বৃদ্ধি করে এবং পেটে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে। উক্ত
সাইবার খুদার নিয়ন্ত্রণ করে বলে আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়ে যায়।
আরো পড়ুনঃ বিটরুট পাউডার এর উপকারিতা
হজমে সাহায্য: চিয়া সিডে বিদ্যমান ফাইবার আমাদের পেটের
পাচনতন্ত্রকে একটিভ করে। যার ফলে কুষ্ঠ কাঠিন্য দূর হয় এবং মলত্যাগে সাহায্য
করে।
হার্টের সুরক্ষা:চিয়া সিডে বিদ্যমান ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড হার্টের নানান
রোগ থেকে রক্ষা করে যেমন কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে, রক্ত চলাচল সমতা বজায়
রাখে আরো নানান সমস্যা থেকে হার্টকে রক্ষা করতে চিয়া সিড বিশেষ ভূমিকা পালন
করে।
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ: ডায়াবেটিস বা ইনসুলিনের রোগীদের জন্য
চিয়া সিড একটি আদর্শ খাবার। এটি রক্তের সুগার বা শর্করা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ
ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত চিয়া সিড খাওয়ার কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের ব্লাড
সুগার নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে।
শরীরের শক্তি বৃদ্ধি: চিয়া সিডে থাকা ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরের
প্রতিটি হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি করে। চিয়া সিড তার কার্বোহাইড্রেট ধীরে ধীরে
শরীরে ছড়িয়ে দেয় যার ফলে আমরা স্থায়ী শক্তি পেয়ে থাকে।
হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি: চিয়া সিডে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম
ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে। এই তিনটি উপাদান আমাদের শরীরের হারকে মজবুত করে।
যাদের হারের জয়েন্টে ব্যথা করে তারা নিয়মিত চিয়া সিড খাওয়ার কারণে ব্যথা
সেরে যেতে পারে।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানো: চিয়া সিড আমাদের শরীরের কোলন পরিষ্কার
রাখে। কোলন পরিষ্কার রাখার কারণে ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
ত্বকের পুষ্টি বৃদ্ধি: আমাদের ত্বককে সুন্দর করতে চিয়া সিড বিশেষ
ভূমিকা পালন করে। চিয়া সিড আমাদের ত্বককে হাইড্রেট রাখে। তাছাড়া বয়সের দাগ
ত্বক থেকে দূর করে।
টক্সিন বের করা: নিয়মিত চিয়া সিড খাওয়ার কারণে আমাদের শরীর থেকে
টক্সিন নামক পদার্থ বের হয়ে যায়। টক্সিন একটি বিষাক্ত পদার্থ যা আমাদের
শরীরকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত করতে পারে।
চিয়া সিড আমাদের শরীরের অনেক উপকারে আসে। নিয়মিত চিয়া সিড খাওয়ার কারণে
আপনার শরীরের যাবতীয় সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন। তাই বলা যায় চিয়া সিড খাওয়ার
উপকারিতা অপরিসীম।
চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা
ভালো যেমন খারাপ রয়েছে তেমনি প্রতিটা জিনিসেরও ভালো এবং খারাপ দিক। সকলেই একটু
অবাক হতে পারেন যে চিয়া সিড এত উপকারে আসে তার কিভাবে অপকারিতা থাকতে পারে।
বাস্তবতা এই যে চিয়া সিডের ও কিছু অপকারিতা রয়েছে। সেগুলো নিচে ব্যাখ্যা করা
হলো:
বিজ্ঞানীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে দেখা গেছে যে চিয়া সিড বিশেষ কিছু
ক্ষতি করে থাকে। অতিরিক্ত চিয়া সেট খাওয়ার কারণে প্রোটেস্ট ক্যান্সার এবং
স্তন ক্যান্সার হতে পারে। তাছাড়া চিয়া সিড বেশি খেলে পেটে সমস্যা দেখা দিতে
পারে কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। মাত্রা অতিরিক্ত ফাইবার খাওয়ার
কারণে আমাদের পেটে হজম শক্তিতে সমস্যা হতে পারে বা লুজ মোশন হতে পারে।
চিয়া সিড খাওয়ার সময় এমন সমস্যা দেখা দিলে সাথে সাথে খাওয়া বন্ধ করে দেয়া
উচিত। চিয়া সিড দীর্ঘদিন খাওয়ার কারণে আমাদের ওজন অস্বাভাবিকভাবে কমে যেতে
পারে। আমরা জানি চিয়া সিড দেহের শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্তচাপ
কম। তাই মাত্র অতিরিক্ত চিয়া সিড খাওয়ার কারণে আমাদের শরীরের রক্তচাপ
অস্বাভাবিক কমে যেতে পারে।
তাই চিয়া সিড আমাদের অবশ্যই পরিমাণ মতো খেতে হবে। এতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি
উপাদান থাকায় অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে শরীরে পুষ্টির পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে
এবং নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে।
লেখকের মন্তব্য
ওজন কমাতে বা আমাদের শরীরের নানা উপকারিতা পরিপূরণে চিয়া সিড একটি আদর্শ
খাবার। চিয়া সিড খাওয়ার কারণে ডায়েট থেকে মুক্ত হওয়া যায়। অধিকাংশ মানুষই
ওজন কমানোর জন্য এটি খেয়ে থাকে। অবশ্যই আমাদের এটি মাত্রা অতিরিক্ত খাওয়া
থেকে বিরত থাকতে হবে।
আশাকরি আমার লেখা পোস্ট আপনাদের পছন্দ হয়েছে এবং আপনারা উপকৃত হয়েছেন।
আপনাদের আশেপাশের বা বন্ধুবান্ধবদের চিয়া সিড সম্পর্কে আরো ধারণা দেওয়ার জন্য
অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করুন। আরো অনেক তথ্য পেতে www.twestinfo.com ফলো করুন।
টুইস্ট ইনফোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।প্রতিটি কমেন্টের উত্তর দেয়া হয়।
comment url