ঘরে অর্গানিক অ্যাপেল সিডার ভিনেগার তৈরি করার নিয়ম
তোকমা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
অ্যাপল সিডার ভিনেগারের সাথে আমরা অনেকে অপরিচিত। এটি ব্যবহার সম্পর্কেও আমরা
জানি না। তাই আজকের আর্টিকেলে ঘরে অর্গানিক অ্যাপল সিডার ভিনেগার তৈরি করার
নিয়ম, রূপচর্চায় অ্যাপেল সিডার ভিনেগারের উপকারিতা ও এর অপকারিতা সম্পর্কে
জানতে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন। আশা করি আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়লে ঘরে অর্গানিক
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার তৈরি করা সহজ হয়ে যাবে।
ভূমিকা
রূপচর্চা থেকে শুরু করে শারীরিক বিভিন্ন কাজে আমরা অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার
করি। এটির দাম একটু বেশি বলে অনেকেই এটি ক্রয় করে ব্যবহার করতে পারে না। মার্কেট
থেকে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার না কিনেও ঘরে এটি তৈরি করা যায়।
শুধুমাত্র তৈরির নিয়মটাই জানা প্রয়োজন। অর্গানিক অ্যাপল সিডার ভিনেগার তৈরি ও
এর সংরক্ষণ সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেল। তাছাড়া আরও রয়েছে রূপচর্চায় অ্যাপেল
সিডার ভিনেগারের উপকারিতা, স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অ্যাপেল সিডার ভিনেগারের উপকারিতা
ও এর অপকারিতা সম্পর্কে।
ঘরে অর্গানিক অ্যাপেল সিডার ভিনেগার তৈরি করার নিয়ম
রূপচর্চা, শারীরিক সুস্থতা ও ডায়েট করার জন্য অ্যাপেল সিডার ভিনেগার বিশেষ
ভূমিকা পালন করে। বর্তমান সময়ে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার রূপচর্চার জন্য অধিক
ব্যবহৃত হয়। ব্যবহার করার জন্য অনেকেই আমরা মার্কেট থেকে এটি চওড়া দামে কিনে
থাকি।
আরো পড়ুন:লবঙ্গ (clove) এর যত উপকারিতা
তার ওপর আবার এগুলো ভালো কিনা তাও যাচাই-বাছাই করি না। তাই ঘরে অর্গানিক অ্যাপেল
সিডার ভিনেগার তৈরি করার নিয়ম জানা প্রয়োজন। চলুন তাহলে এই নিয়ম সম্পর্কে জানা
যাক:
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ:
- ১০ থেকে ১২টি লাল অ্যাপল।
- ব্রাউন সুগার।
- একটি কাচের জার।
- সাদা ভিনেগার।
তৈরি করার নিয়ম:
প্রথমেই ১০ থেকে ১২ টি লাল এরপর ভালোভাবে ধুয়ে সমান সাইজ করে কেটে নিতে হবে।
তারপর কেটে নেওয়া আপেল গুলোকে একটি কাজের জারে করে রোদে শুকাতে দিতে হবে।
আপেলগুলো বাদামী রং হওয়ার আগ পর্যন্ত শুকাতে হবে। ঠিক মতো শুকিয়ে যাওয়ার পর
অন্য একটি কাজের যারে আপেল গুলো নিতে হবে।
এরপর পরিষ্কার পানিতে কিছুটা ব্রাউন সুগার যোগ করতে হবে। চিনি মিশ্রিত পানি
দেওয়ার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যে আপেলগুলো যেন ভেসে না থাকে। আপেল ও চিনি
মিশ্রিত পানি অবশ্যই ভালো করে মিশাতে হবে। মিশানোর সময় কাঠের চামচ ব্যবহার করতে
হবে। মিশানো হয়ে গেলে সুতি কাপড় দিয়ে জারের মুখ শক্ত করে বেঁধে দিতে হবে।
আরো পড়ুন:ভারতের দর্শনীয় স্থানের ভ্রমণ গাইড
এরপর এই জারটি কে রান্নাঘরের অন্ধকার কোন স্থানে রেখে দিতে হবে। জার টিকে তিন
সপ্তাহ যাবৎ রেখে দিতে হবে এবং দু-এক দিন পর পর খুলে কাঠের চামচ দিয়ে মিশিয়ে
দিতে হবে। তিন সপ্তাহ পর এটি অন্য একটি পাত্রে নিতে হবে।
এই অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ছেকেও ব্যবহার করা যাবে। তাছাড়া আপনি না ছেঁকেও এটি
ব্যবহার করতে পারবেন। ব্যাস তৈরি হয়ে গেল অর্গানিক অ্যাপেল সিডার ভিনেগার। তৈরি
হয়ে যাওয়ার পর অবশ্যই এটিকে ঠান্ডা স্থানে সংরক্ষণ করতে হবে।
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার কোনটি ভালো
আমরা যখন মার্কেট থেকে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার কিনতে যাই তখন আমাদের মনে প্রশ্ন
ওঠে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার কোনটি ভালো ? মার্কেটে প্রায় অনেক ধরনের অ্যাপেল
সিডার ভিনেগার পাওয়া যায়। তার মধ্যে কোনটি ভালো তা বাছাই করতে করতে হয় নানান
রকম ঝামেলায়। আবার বাছাই করার পরও ব্যবহার করে দেখা যায় এর বিভিন্ন পার্শ্ব
প্রতিক্রিয়া।
আরো পড়ুন:পড়ালেখায় মনোযোগ বৃদ্ধির উপায়
সে ক্ষেত্রে বলা যায় যে ঘরে অর্গানিক অ্যাপেল সিডার ভিনেগার তৈরি করে ব্যবহার
করাই উত্তম। যদি মার্কেট থেকে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ক্রয় করে ব্যবহার করতে চান
তাহলে কোনটি ভাল হবে এরকম প্রশ্নের উত্তরে বলব যে সকল অ্যাপেল সিডার ভিনেগার এর
ওপরে গলে যাওয়া আপেল দেখা যাবে এবং ভিনেগারটি কিছুটা ঘোলা হবে সে সকল অ্যাপেল
সিডার ভিনেগারকে অর্গানিক বলা যাবে।
আর যে সকল অ্যাপেল সিডার ভিনেগার দেখতে হলুদ রঙের বা একদম পরিষ্কার তাহলে সেটি
ব্যবহারযোগ্য হবে না। যদি আমরা অর্গানিক বা ভালো অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার
না করি তাহলে এটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে। তাই মার্কেট থেকে ক্রয় করার
পূর্বে অবশ্যই সতর্কতার সাথে ক্রয় করতে হবে। তাছাড়া আপনারা ঘরে অর্গানিক
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার তৈরি নিয়ম দেখেও নিজেরাই তৈরি করতে পারবেন।
অ্যাপেল সিডার ভিনেগারের দাম
অর্গানিক ভাবে তৈরি অ্যাপেল সিডার ভিনেগারের দাম একটু চওড়া। বিভিন্ন মার্কেটে এই
দাম বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। ৬০০ থেকে শুরু করে ১০০০,১৬০০,২০০০ টাকাও হয়ে থাকে।
দামটি নির্ভর করে প্রোডাক্টটি কতটুকু অর্গানিক এবং এটি কত মিলি লিটার।
আরো পড়ুন:নাক দিয়ে রক্ত পড়ার কারন
আপনি যদি ৫০০ মিলি লিটারের ভিনেগার নিতে চান তাহলে এটার দাম পড়বে ৬০০ থেকে ৭০০
টাকা। আর যদি ১০০০ লিটারের নিতে চান তাহলে এর দাম পড়বে ১০০০,১৬০০,২০০০ টাকার মত।
দামটি কম বেশি হবে শুধুমাত্র প্রোডাক্টটির গুণাগুণের উপর ভিত্তি করে। অবশ্যই
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার কেনার পূর্বে প্রোডাক্টটির গুনাগুন সম্পর্কে জেনে নিবেন।
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার নিয়ম
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া যায়। বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি,
ডায়েট হিসেবে এবং শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সিডার ভিনেগার খাওয়া হয়।
সবচেয়ে সেরা উপায়ে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার নিয়ম জানতে নিচে লক্ষ্য
করুন:
নিয়ম ১: এক টেবিল চামচ এপল সিডার ভিনেগার এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে সকালে
এবং রাতে খেতে পারেন।
নিয়ম ২: খালি পেটে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খেতে এক টেবিল চামচ ভিনেগার
কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে খাওয়ার ১০ মিনিট পূর্বে খাবেন।
নিয়ম ৩: জুস কিংবা চায়ের সাথে মিশিয়ে ও আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়া
যায়। এক টেবিল চামচ এপেল সিডার ভিনেগার জুস বা চা এর সাথে ভালো করে মিশিয়ে খেতে
হবে।
নিয়ম ৪: বিভিন্ন সালাতের সাথে এক টেবিল চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ভালো
করে মিশিয়ে খেতে পারেন।
নিয়ম ৫: যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে তারা পানি ও আপেল সিডার ভিনেগার
মিশিয়ে এতে কিছুটা পরিমাণের মধু দিয়ে খেতে পারেন।এতে করে তাদের রক্তে শর্করার
পরিমাণ সামঞ্জস্য থাকবে।
রূপচর্চায় অ্যাপেল সিডার ভিনেগারের উপকারিতা
বর্তমান সময়ে রূপচর্চায় অ্যাপেল সিডার ভিনেগারের উপকারিতা রয়েছে প্রচুর। নারী
ও পুরুষ উভয়ের রূপচর্চার কাজে এবং লিডার ভিনেগার ব্যবহার করতে পারবেন। এতে করে
আপনার ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধান পাওয়া যাবে সহজেই। চলুন তাহলে
রূপচর্চা অ্যাপেল সিডার ভিনেগারের উপকারিতা সম্পর্কে জানা যাক:
আরো পড়ুন:ত্বক ফর্সা করার উপায়
১. আমাদের মধ্যে অনেকেরই দাঁত হলদে ভাব হয়ে থাকে। যা দেখতে খুবই বিরক্তিকর এবং
অন্য কারো সামনে কথা বলতেও লজ্জা লাগে। দাঁতের এই হলদে ভাব দূর করার জন্য অ্যাপেল
ফিডার ভিনেগারের অনেক তুলনা রয়েছে। যাদের দাঁতে হলদে ভাবের সমস্যা রয়েছে তারা
পরিষ্কার পানির সাথে ভিনেগার মিশিয়ে গড়গড়া করতে পারেন। এতে করে দাঁতের হলদে
ভাব দূর হবে।
২. অনেক সময় চুলে শ্যাম্পু করার পর চুল খসখসে হয়ে থাকে। আবার চুলে খুশকিও দেখা
দেয়। এরকম সমস্যা থাকলে চুল শ্যাম্পু করার পর অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার
করবেন। এটি চুলের কন্ডিশনিং করবে, খুশকি দূর করবে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য
করবে। একটি বোতলে কিছুটা অ্যাপেল সিডার ভিনেগার দিয়ে এতে এক কাপ পরিমাণ পানি
মিশিয়ে পুরো চুলে স্প্রে করবেন। এতে করে চুলে যাবতীয় সমস্যা সমাধান হবে।
৩. অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ত্বকে টোনার হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। নিয়মিত অ্যাপেল
সিডার ভিনেগার ত্বকে ব্যবহার করার ফলে রোদে পোড়া দাগ, ব্রণের দাগ ও ত্বকের
অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব দূর হবে। প্রতিদিন রাতে ঘুমোনোর আগে মুখ পরিষ্কার করে
সামান্য পরিমাণ অ্যাপেল সিডার মুখে লাগিয়ে নিবেন। তারপর আপনার নিয়মিত ব্যবহৃত
কোন ক্রিম লাগাবেন।
৪. অ্যাপেল সিডার ভিনেগার শুধু ত্বকে ব্যবহার করার ফলে ত্বকের সমস্যা দূর হয় না।
ত্বকের ভিতরের বিভিন্ন সংসা দূর করে। যেমন: অ্যাপেল সিডার ভিনেগার হাতে ও পায়ে
নিয়মিত ম্যাসাজ করলে দেহের ক্লান্তি দূর হবে এবং মন ফুরফুরে হবে।
৫. যদি মুখে নিঃশ্বাসের সাথে দুর্গন্ধ হয় তাহলে আপনি নিয়মিত সামান্য পানির সাথে
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে গারগিল করতে পারেন। এতে করে মুখের দুর্গন্ধ দূর
হবে।
৬. অ্যাপেল সীডার ভিনেগার গোসলের পানির সাথে মিশিয়েও শরীরের রোদে পোড়া ভাব দূর
করা যায়। প্রতিদিন গোসলের ১০ মিনিট আগে সারা শরীরে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মাখলে
রোদে পোড়া দাগ কমে যায়।
স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অ্যাপেল সিডার ভিনেগারের উপকারিতা
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার যেমন ত্বকের জন্য উপকারী তেমনি স্বাস্থ্য সুরক্ষায়
অ্যাপেল সিডার ভিনেগারের উপকারিতা ও অপরিসীম। নিয়মিত নিয়ম করে অ্যাপেল সিডার
ভিনেগার খাওয়ার ফলে শরীরের বিভিন্ন রকম সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। চলুন
তাহলে জেনে নেয়া যাক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অ্যাপেল সিডার ভিনেগারের উপকারিতা:
১.প্রতিদিন অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার ফলে শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমে যায়।
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার থাকা এসিটিক এসিড যা আমাদের পেটের ফ্যাট কমাতে অনেক
সাহায্য করে।
২. অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার ফলে আমাদের লিভার ভালো থাকে ও এলার্জি সমস্যা
থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
৩. আমাদের অনেকেরই এসিডিটির সমস্যা থাকে। এ সমস্যার কারণে আমরা নানা রকম
গ্যাস্ট্রিক এর ওষুধ খেয়ে থাকি। অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার ফলে আমাদের এই
এসিডিটি সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে পারবো। প্রতিদিন শুধু এক গ্লাস পানিতে এক চামচ
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে খেলে এসিডিটি বা আলসার জাতীয় সমস্যা থেকে
তাড়াতাড়ি রেহাই পাওয়া যায়।
৪. প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে দুই টেবিল চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার ফলে
ডায়াবেটিস রোগীদের খুব উপকারে আসে। ডায়াবেটিস রোগীরা এই ভিনেগার খাওয়ার ফলে
তাদের রক্তের শর্করা প্রায় তিন শতাংশ কমে যায়।
৫. অ্যাপেল সিডার ভিনিগার খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ
থেকে রক্ষা পায়। নখের ছত্রাক, উকুন, কানের ইনফেকশন সারাতে ও আপেল সিডার ভিনেগার
ব্যবহার করা যেতে পারে।
৬. অ্যাপেল সিডার ভিনেগার রক্তের কোলেস্টেরলের পরিমাণ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য
করে। যার কারনে হৃদরোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার একটি শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধী। নিয়মিত খাওয়ার ফলে
বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। আশা করি স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অ্যাপেল সিডার
ভিনেগারের উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা কিছুটা ধারণা পেয়েছেন।
অ্যাপেল সিডার ভিনেগারের অপকারিতা
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার এর উপকারিতা আমরা সবাই জানি। কিন্তু অ্যাপেল সিডার ভিনিগার
এর অপকারিতা সম্পর্কে কি আমরা কেউ জানি? না জানিনা। নিয়মিত অ্যাপেল সিডার
ভিনেগার খেলে যেমন উপকারিতা হয় তেমনি নিয়ম করে না খেলে এর অপকারিতা হয়। চলুন
তাহলে এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক:
বর্তমান সময়ের সকলেই ওজন কমানোর জন্য অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খেয়ে থাকি। আমরা
জানি ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খেলে ওজন কমানো খুব সহজ হয়ে
যায়। কিন্তু এটি খাওয়ার পর আমরা অনেকক্ষণ যাবত অভুক্ত থাকি। যার ফলে আমাদের
পেটে বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দেয় যেমন: বদহজম ও ডায়রিয়া ইত্যাদি।
আরো পড়ুন:শীতকালে ঠোঁট ফাটা রোধের উপায়
আবার বেশি পরিমাণ খাওয়ার ফলে দাঁতে ও আমাদের পেটে বিভিন্ন জায়গায় ইনফেকশন হতে
পারে। পানি ছাড়া অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খেলে তা আমাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায়
পটাশিয়ামের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে। যার ফলে আমাদের হাড়ের মারাত্মক ক্ষতি হতে
পারে।
আবার অনেকে তাড়াতাড়ি কাজ করবে বলে ট্যুর জায়গায় আরেকটু নিয়ে খেয়ে ফেলি।
কখনোই ভাবি না বেশি খেলে কি কোন ক্ষতি হবে কি না। আমাদের উচিত সমপরিমাণ পানির
সাথে এক টেবিল চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে খাওয়া। এর বেশি খেলে আমাদের
শরীরে বিভিন্ন জায়গায় নানা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
আশাকরি অ্যাপেল সিডার ভিনেগারের অপকারিতা সম্পর্কে আপনারা অবগত হয়েছেন। অ্যাপেল
সিডার ভিনেগার খাওয়া ভালো কিন্তু অবশ্যই আমাদেরকে পরিমাণ মত খেতে হবে। নয়তো এটি
বইয়ে আনতে পারে আমাদের শরীরের নানা রকম জটিলতা।
মন্তব্য
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার অপরিচিত একটি খাদ্য যা আমাদের শরীরে অনেক উপকারে আসে। আশা
করি অ্যাপেল সিডার ভিনেগার সম্পর্কে আপনাদেরকে কিছুটা ধারণা দিতে পেরেছি। অ্যাপেল
সিডার ভিনেগারের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং আরো অনেক তথ্য সম্পর্কে সকলকে জানাতে
আর্টিকেলটি শেয়ার করুন। আরো অনেক মজার তথ্য পেতে
www.twestinfo.com পেজে চোখ রাখুন।
পোস্টি ভালো হয়েছে।