অতিরিক্ত কৃমি হলে করনীয় কী বিস্তারিত পড়ুন

চোখের বিভিন্ন অংশের বিবরন , রোগ ও প্রতিকার আমরা অনেকেই কৃমির সমস্যায় ভুগি। কিন্তু জানি না কৃমি হলে কি করব। এটি সকলেরই হয়ে থাকে।তাই এই সমস্যা কেন হয়, করনীয় কি? ইত্যাদি বিষয়ে কিছু তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করলাম। আশা করি সকলের কাজে আসবে। কৃমি সর্ম্পকে সকল তথ্য পেতে অবশ্যই সম্পূর্ন পোষ্টটি পড়ুন।
অতিরিক্ত কৃমি হলে করনীয় কী বিস্তারিত পড়ুন
কৃমি মানুষের শরীরে আন্তপরজীবি হিসেবে বসবাস করে। কৃমি হওয়া মারাত্মক কোনো রোগ নয়। এটা হয় অবার যথাযথ নিয়ম মেনে চলাফেরা করলে সেরেও যায়। শিশু বাচ্চা থেকে শুরু করে প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির ও কৃমি হতে পারে। বাচ্চাদের কৃমি হলে তাদের শরীর দূর্বল হয়ে যেতে পারে।
আজকের পোষ্টে নিচের বিষয় গুলো তুলে ধরা হয়েছে:

সূচিপত্র:অতিরিক্ত কৃমি হলে করনীয়।

কৃমি কেন হয়?

আমরা প্রতিদিন যে খাবারটা খেয়ে থাকি তার থেকে কৃমি হতে পারে নাকি কখনও ভেবেছেন? শুনতে আশ্চর্য মনে হলেও সত্যটা হলো হ্যাঁ হতে পারে । বিভিন্ন প্রকার শাকসবজি , ফলমূল খাওয়ার পূর্বে তা ঠিকমত পরিষ্কার করা হয়েছে কিনা তা কেউই লক্ষ্য করি না । এসকল শাকসবজি ও ফলমূলে ছোট ছোট পোকা থাকে যা আমরা খালি চোখে দেখি না।
এসব পোকা আমাদের পেটে কৃমি সৃষ্টি করতে পারে। তাছাড়া দূষিত মাটি থেকে আমাদের কৃমি হতে পারে। দূষিত মাটিতে কৃমির ডিম হাতে পায়ে লাগে এবং তা আমাদের শরীরে প্রবেশ করে । দূষিত পানি পানের মাধ্যমেও কৃমির উপদ্রব হতে পারে। অনেক সময় দৈনিক খাবার সম্পূর্ন সিদ্ধ করে খাই না । এই অর্ধসিদ্ধ খাবারও কৃমি তৈরি করে।

অতিরিক্ত কৃমির হলে যে সকল লক্ষন দেখা দিবে:

  • পেটে ব্যাথা অনভূত হয়
  • বমি ও কাশি হওয়া
  • মালদয়ে চুলকানি ও ঘুম কমে যাওয়া
  • খেতে না পারা
  • খাবার হজম না হওয়া
  • ডাইরিয়া হওয়া
  • ওজন কমে যাওয়া
  • কৃমির কারনে খিচুনি হওয়া।
 কৃমি হলে করনীয়:

  • খালি পায়ে হাটা যাবে না।
  • শাকসবজি খাওয়ার আগে ভাল করে পরিষ্কার করতে নো ওয়ার নো ওয়ার্ম নোওর্ম হবে।
  • পানি ফ্লিটার করে খেতে হবে।
  • নখ বড় রাখা যাবে না ।
  • ঘর বাড়ি পরিষ্কার করে রাখতে হবে।
  • পরিষ্কার কাপড় পরিধান করতে হরে।
  • টয়লেট ব্যবহারের পর সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
  • শশা খেলে কৃমি কমে যায়। তাই কৃমি হলে বেশি করে শশা খেতে হবে।
  • গাজরে থাকা ভিটামিন এ ও সি, বিটা ক্যারোটিন ও জিঙ্ক কৃমি নিয়ামকে সহায়ক।

কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম


কৃমির ঔষধ সাধারণত ৭ থেকে ১০ দিন পুনরায় ডোজ দিতে হয়। কৃমির ঔষধ কৃমি মেরে ফেলে কিন্তু কৃমির ডিম মারতে পারেনা তাই ৬ মাস পর পর বাচ্চাকে ও বয়স্কদেরও ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কৃমির ঔষধ খাওয়া আবশ্যক। কৃমির ঔষধ অতিরিক্ত গরমে খাওয়া উচিত নয়। 
সাধারণত ঠান্ডা বা শীতের সময় কৃমির ঔষধ খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয় গরমের মধ্যে খেলে ওষুধের প্রতিক্রিয়া হতে পারে। কৃমির ঔষধ খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই আমাদের পেট ভরপুর হতে হবে ।খালি পেটে খেলে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

সর্বশেষ কথা

কৃমি মারাত্মক কিছু না হলেও অনেক সময় এটি মারাত্মক দিকে যেতে পারে । সুতরাং কৃমি হলে অবশ্যই ঘরোয়া বা ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া অত্যাবর্শক।এই সম্পর্কে আরো অনেককে জানাতে শেয়ার করুন। ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আরো তথ্য জানতে www.twestinfo.com পাশে থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

টুইস্ট ইনফোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।প্রতিটি কমেন্টের উত্তর দেয়া হয়।

comment url