এই শীতে কোথায় ঘুরতে যাবেন?

ভারতের দর্শনীয় স্থানের ভ্রমণ গাইড শীতকাল আসলেই প্রথমে কী মাথায় আসে কেউ কী বলতে পারবেন? থাক আমিই বলি , আমারতো ঘুরতে ইচ্ছা করে।শীতকালে নেই কোনো ভয়াবহ গরমের কান্তি, নেই কোনো বৃষ্টিতে ভিজে অসুস্থ হওয়ার ভয়।শীতের শিশির ভেজা ঘাস,রাস্তা, ভোরের সেই অপরূপ সোন্দর্য দেখে মন/চোখ জুড়ায় যায়। শীতকাল মানেই স্কুল/কলেজের বনভোজনের থুম।
এই শীতে কোথায় ঘুরতে যাবেন
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতে,

দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া,
ঘর হতে দুই পা ফেলিয়া,
একটি ধানের শিষের ,
ওপরে একটি শিশির বিন্দু।

এই কবিতার মাঝে প্রকৃতিকে খুঁজে পাওয়া যায়। তাহলে চলুন. শীতকালে ঘুড়ার মতো বাংলাদেশের জনপ্রিয় কিছু জায়গার নাম জেনে নেয়া যাক।
সূচিপত্র:

সাজেক ভ্যালি, রাঙামাটি

সাজেক ত্রিপুরি ভ্যালি রাঙামাটি জেলায় বাঘাইছরি উপজেলার একটি বিখ্যাত পর্যটন এলাকা। সাজেক ভ্যালিকে রাঙামাটির ছাদ বলা হয়। সাজেকের চারদিকে মেঘ,পাহাড় ও সবুজ পরিবেশে সকলকে মুগ্ধ করে। সাজেকে ৩টি হ্যলিপেড রয়েছে, যেখানে দাড়িয়ে সুর্যদয় ও সূর্যাস্তের অপরুপ দৃশ্য উপভোগ করা যায়। সেখানে ২৪ ঘন্টায় পরিবেশের ৩টি মনরম দৃশ্য দেখা যায়।
 কখনো রোদ, কখনো বৃষ্টি, কখনোও আবার ঢেকে যায় মেঘে তাই সবাই বলে এ নাকি মেঘের উপত্যকা। সাজেক থেকে সহজেই কংলাক পাহাড়ে যাওয়া যায়। কংলাক পাহাড়কে সাজেকের সবোর্চ্চ চূড়া বলা হয়। তাছাড়া সেখানে যাতায়াত করার জন্য এক ধরনের যানবাহন ব্যবহার করা হয়, যাকে স্থানীয়রা চাঁন্দের গাড়ি বলে।সাজেকের আদিবাসীরা অত্যন্ত বন্ধুসুলভ।

সেন্ট মার্টিন দ্বীপ, কক্সবাজার

সেন্ট মার্টিন দ্বীপ বাংলাদেশের সর্ববৃহত বঙ্গোপোসাগরের উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত ছোট একটি প্রবাল দ্বিপ। যা কক্সবাজার জেলা থেকে ৯ কিলোমিটার দক্ষিনে অবস্থিত। এই দ্বিপ একটি জনপ্রিয় ভ্রমন এলাকা। বছরে অনেক পর্যটক ঘুরতে যায়। মনোরম ও মনমুগ্ধ পরিবেশ সকলের মন কেড়ে নেয়।

সেখানে প্রচুর নারিকেল পাওয়া যায় তাই সেখানের স্থানীয়রা একে নারিকেল জিঞ্জিরা বলে। সেন্ট মার্টিন দ্বীপ সমতল ভূ্মিষ্ঠ। এই দ্বীপটি অধিকাংশ চুনাপাথড় সমৃদ্ধ। তাছাড়া সেখানে দেখার মত কেওড়া বন রয়েছে। সেন্ট মার্টিন দ্বীপে বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ রয়েছে যেমন: সাগরতলা, বাইন.কেয়া, শ্যাওড়া, নাড়িকেল ইত্যাদি।

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ,পটোয়াখালি

কুয়াকাটা বাংলাদেশের একটি অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। এটি পটোয়াখালি জেলার একটি শহর। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের সকলের কাছে সাগর কন্যা নামে পরিচিত। সাগর কন্যার এত সুন্দর্য সূর্যদয় ও সূর্যাস্ত একে আরো নৈর্সগিক করে দেয়। 
কুয়াকাটা থেকে সুন্দরবনের পশ্মিম দিকের ম্যানগ্রোভ বন দেখা যায় , যাকে ২য় সুন্দরবন বলা হয়। সেখানে বিভিন্ন আদিবাসীর বসবাস রয়েছে যেমন- রাখাইন। তাছাড়া রয়েছে বৌদ্ধ বিহার। অন্যান্য ধর্মের মানুষরা রাশ পূর্ণিমা ও মাঘী পূর্ণিমা উৎসবে সেখানে উপস্থিত হন।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, চট্রগ্রাম

কক্সবাজার বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। এটিকে মৎস বন্দরও বলা হয়। কক্সবাজার চট্রগ্রাম জেলায় অবস্থিত। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত তার অসংখ্য ঢেউ, স্বচ্ছ পানি, বালুময় পরিবেশ পর্যটকদের মন কাড়ে। কক্সবাজারে বিভিন্ন ধরনের মাছ পাওয়া যায়।

 তাছাড়া কক্সবাজারকে সাবমেরিন স্টেশনও বলা হয়। কক্সবাজারের অন্য নাম হলো প্যানোয়া বা হলুদ ফুল ও পালঙ্কি ( প্রাচীনকালের দেওয়া নাম। সেখানে রয়েছে প্যারাসিলিং, ওয়াটার রাইডিং, বিচ বাইকিং, নগর ইকো পার্ক, সার্কাস শো ইত্যাদি।বালু ও পানির এক অপরূপ মিশ্রন সূর্যাস্ত ও সূর্যাদয় পরিবেশকে এক অমায়িক রূপ দেয়।

নিঝুম দ্বীপ, নোয়াখালী

নিঝুম দ্বীপ নোয়াখালীর জেলার হাতিয়া উপজেলার একটি ছোট দ্বীপ। নিঝুম দ্বীপের পূর্বের নাম ছিল বাউলার চর বা ইছামতীর চর। বর্তমানে এই দ্বীপকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষনা করেছে। মেঘনা নদি ও বঙ্গোপসাগর দিয়ে ঘেরা এই নিঝুম দ্বীপ। 

এখানে কোনো হিংস্র প্রাণি পাওয়া যায় না। কেওড়া গাছে ঘেরা এই দ্বীপে পাতার আড়ালে লুকিয়ে থাকে হরিণ। এই দ্বীপে অসংখ্য খাল রয়েছে , তাদের মধ্যে অন্যতম- লেংটা খাল,ডুবাই খাল,সোয়ানখালি খাল,কাউনিয়া খাল ইত্যাদি।

মন্তব্য:

বছরে নভেম্বর থেকে ফ্রেরুয়ারি মাস পর্যন্ত সারা দেশে ভ্রমনের ধুম পড়ে। ভ্রমনই পারে সকল বিস্নতা দূর করতে । আমাদের সকলের উচিত কর্মব্যস্ততা ফাকে পরিবার ও প্রিয়জনদের নিয়ে বিভিন্ন দর্শনিয় স্থান ঘুরে আসা। বাংলাদেশে বিভিন্ন পর্যটন স্থানের সর্ম্পকে ও আরো সকল বিষয়ে জানতে www.twestinfo.com তে চোখ রাখুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

টুইস্ট ইনফোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।প্রতিটি কমেন্টের উত্তর দেয়া হয়।

comment url